কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
উদ্দেশ্যের সঙ্গে সমন্বয়
এই অবস্থা লাভ করতে অবশ্যই মন ও উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। তবেই আমরা সুখী হব, কারণ সকল অশান্তির মূল হচ্ছে সঙ্ঘর্ষ বা দ্বৈতভাব।
অপবিত্রতা-বাধা
যখন পবিত্রতার ধ্যান করা হয় তখন যদি মনে বিসদৃশ ভাবের উদয় হয়, পবিত্রতার চিন্তা কিরূপে হবে? আমাদের চতুর্দিকে সুন্দর পুষ্পরাশি তাকতে পারে; পবিত্র ভাবোদ্দীপক চিত্র পটাদি থাকতে পারে, সুরভিত ধূপ থাকতে পারে, কিন্তু মন যদি অপবিত্র থাকে; অর্থাৎ তা যদি একাগ্র না হয়, উদ্দেশ্যের প্রতি স্থির না থাকে— আমাদের কাছে পবিত্রতা বস্তুটি অজ্ঞাতই থেকে যাবে।
পবিত্র মন অবিচলিত
একাগ্রতার শক্তি দ্বারা যে কোন বাহ্য অবস্থা অতিক্রম করা যায়। সংযত মন শক্তিশালী হয় এবং যা কিছু দ্বারা সে বিক্ষিপ্ত হয়, তা হতে নিজেকে বিযুক্ত করার ক্ষমতা তার আয়ত্তে আসে। মন যখন সাধুতা, প্রেম ও পবিত্রতায় দৃঢ়ভাবে স্থিতিশীল হয়, কোন কিছুই আর তখন আমাদের উদ্বিগ্ন করতে পারে না।
বিক্ষিপ্ত মন সুতার ন্যায়
বিক্ষিপ্ত মন একটি সুতোর মতো, তাকে সহজেই ছেঁড়া যায়। কিন্তু একাগ্র মন যেন সুতোর এক গুচ্ছ, তাকে ছেঁড়া কঠিন। অতএব, আমাদের চিন্তারাশি সংযত করে ধ্যেয় বিষয়ে তাদের দৃঢ়ভাবে সংলগ্ন করতে হবে।
বাহ্য বিষয় জয়
মন একাগ্র হলে কিছু শ্রুতিগোচর হয় না, কিছু দৃষ্টিগোচর হয় না— ইন্দ্রিয়সকল নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। বাহ্য শব্দ, বাহ্য দৃষ্টি প্রভৃতি সকল বাহ্যিক ইন্দ্রিয়ের ক্রিয়াসমূহ একাগ্রতা দ্বারা জয় করা যায়।
ধ্যানের সর্বোচ্চ রূপ
একাগ্রতার তীব্রতায় ধ্যান হয়। কিন্তু ধ্যান সহজ নয়। ধ্যানের অর্থ অন্তরে ঈশ্বরের অস্তিত্ব অনুভব করা। ধ্যানের সর্বোচ্চ রূপ হল, মনকে সৎ বস্তুকে, যা অপরিবর্তনীয় তাঁতে স্থির করা।
বিষয়াতীত সৌন্দর্য
শিল্পী প্রাকৃতিক বিষয়ে মন একাগ্র করে সুন্দর চিত্র অঙ্কন করতে পারে। কিন্তু যদি সে তার চিন্তাকে বিষয়াতীত সৌন্দর্যের স্তরে নিয়ে যায়, সে ধ্যানাবস্থা প্রাপ্ত হতে পারে।