কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
মা। হাঁ যে পথের খবর বলে সে দুরকম ভাবে বল্তে পারে। এক বই পুস্তকে প’ড়ে ট’ড়ে কিম্বা নিজে প্রত্যক্ষ ক’রে। যে যতটুকু গিয়েছে সে সকল ততটুকুর কথা বল্তে পারে। যেমন যে বাল্য-শিক্ষা ছাড়িয়া আর একখান বই পড়েছে সে বাল্য-শিক্ষা পড়াতে পারে।
ব্রহ্মচারী। যে পথের খবর বল্ছে সেই পথে গেছে বুঝ্তে হবে?
মা। লক্ষণ দেখ্তে হবে। কোন্ অবস্থায় গেলে খবর বল্তে পারে এই বুঝে বিচার ক’রে ধর্তে হবে প্রত্যক্ষ হয়েছে কি না! লক্ষণ প্রকাশ হবে।
নরেশদা বলিতেছেন, “আমি রূপ কল্পনা ক’রে ধ্যান কর্তে পারি। আমার মনে হয় এর কিছু মূল্য নেই। এ কল্পনা মাত্র। কোন দেবতার মূর্তি না হয়ে যদি বাঘের মূর্তিও ধ্যান করা যায় তাহলে তারও দর্শন হবে। নিজের ভাবটাকেই দেখা যায়। তার চেয়ে আমি মনে করি স্থির হয়ে ব’সে থাকা ভাল, যা সত্য, আপনিই ফুটে উঠ্বে। মা। কল্পনার ঘরেই বাস করা হয়। বেরোবারও আর কোনও দরজা নেই, কল্পনার দরজা। এই কল্পনার ভিতর দিয়েই যেতে হবেই। যদি কিছু দর্শন হ’ল তখন মনে এই হ’তে পারে এটাও কল্পনা। যেমন সাবান হাতের মধ্যে ঘস্তে হয় তবে ময়লা উঠে। একটা ময়লার উপর আর একটা ঘ’সে শেষে জল দিলে দুটাই উঠে যায়। এইরকম কল্পনায় প্রথমে একটা ধর্তে হয় শেষে কল্পনার বাইরে চ’লে যায়। তবে গুরু যা বলেছেন সেটা ক’রো আর অনেক সময় ত বাজে কাটিয়ে দাও সে সময় নিজের ভাবে বস্লে। এটা বেশ ভাল ভাব, স্বাভাবিক ভাবে ফুট্তে দেওয়া। যদি মা রাগ করেন মনে ক’রো, তিনি যেন আমার উপর রাগ করেন।
নরেশদা (খুব আনন্দে) তোমার মুখ দিয়ে যখন একথা বেরুল, আর কি?
মা। “রাগ করা না করা কি, তুমি এই ভাবটাও তাঁকে ধ’রেই কর্বে। ভাব্বে তিনি এখন আমার কাছে এই ভাবে প্রকাশ পাচ্ছেন। তিনিই ত সব করাচ্ছেন। তিনি মনের এরকম গতি দিলেন কেন?”
নরেশদা। “ঐভাবে আমি ১৫ বছর চেষ্টা ক’রে মূর্তি ধর্তে পার্লুম না।”
মা বল্ছেন, “এইবার তুমি কাঁদ্বে।”
নরেশ। কাঁদার মধ্যে কি আছে। বস্তুলাভ না হওয়া পর্য্যন্ত কি হ’ল। একটা কিছু দিয়ে দাও মা। এসব ত কিছ্ছুনা বাজে। তুমি পার্বে অথচ কর্বে না। তোমাদের আসা কি জন্য যাদের তোমরা টেনে নেবে তাদের জন্য ত কাঁদতে হয়। ইত্যাদি।
মা একবার বলিলেন, “তোমার চক্ষু ত ছল্ছল্ কর্ছে।”
নরেশ কঁদিতে লাগিলেন। বালকের ন্যায় কান্না।
মা। “তোমার ত এই সাধন ভজন। হাঁ যদি তুমি জপ্ টপ্ না ক’রে সর্বক্ষণ এ’ভাব, অভাব বোধ জাগিয়ে রাখ্তে পার— চোখের জল ফেল্তে পার তবে সাধন ভজনের আর দরকার নাই।”