পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ
মোদি-শাহ’র হাতে কাশ্মীরের রাজ্যপাট তুলে দিতে যেভাবে ভূস্বর্গের আসন বিন্যাস করেছে ডিলিমিটেশন কমিশন, তাতে রাজনৈতিক অঙ্ক স্পষ্ট। নতুন বিন্যাস অনুযায়ী এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভার আসন সংখ্যা ৮৩ থেকে বাড়িয়ে ৯০ করা হয়েছে। এর মধ্যে হিন্দুপ্রধান জম্মুতে আসন বেড়েছে ৬টি, মুসলিম প্রধান কাশ্মীরে মাত্র একটি। বিজেপি নেতাদের অঙ্ক হল, জম্মুতে সবক’টি আসন (৪৩টি) জিততে পারলে সরকার গঠনের ম্যাজিক সংখ্যা (৪৬টি)-র কাছাকাছি চলে যাওয়া যাবে। তখন বাকি কয়েকটি আসন দখল করতে আস্তিনে গোটানো ‘তাস’ খেলতে হবে। ঘটনা হল, জম্মু-কাশ্মীর দখলের ছক কষতে শুক্রবার দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ এবং রাজনাথ সিং। নির্বাচনকে ঘিরে বিজেপির এই সক্রিয়তা দেখে প্রশ্ন উঠেছে, ভোটে জিততে বিরোধীরা কতটা প্রস্তুত? বিজেপিকে হারাতে সব আসনেই কি একজন করে প্রার্থী দিতে পারবে বিরোধীরা? ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, কংগ্রেসের মতো দলগুলি কি বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখে আসন সমঝোতা করে একসঙ্গে লড়াই করতে পারবে? ভোট ঘোষণার সময় পর্যন্ত এর উত্তর তেমন স্পষ্ট নয়।
উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়ে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়েছিল মোদি সরকার। সেই উপত্যকা কেমন আছে প্রত্যাশিতভাবেই ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মানুষের সাধারণ অভিজ্ঞতা হল, গত পাঁচ বছরে কাশ্মীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার যে দাবিই করুন প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বাস্তব ছবিটা একেবারেই তা নয়। অনেকেরই অভিজ্ঞতা হল, সেনা নিরাপত্তার বেড়াজালে দম আটকে গিয়েছে কাশ্মীরের। জঙ্গি দমনের নামে সাধারণ মানুষের উপর প্রায়শই নির্যাতন চলছে। হাজারো নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ হারিয়েছে ভূস্বর্গ। এক সেনানির্ভর জীবনযাত্রাই যেন উপত্যকার মানুষের দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্য বলছে, গত ৩৩ মাসে অন্তত ৪০০-র কাছাকাছি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৫২ জন সেনাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার হচ্ছে এই রাজ্য। অর্থনীতির বেহাল দশা, কিন্তু ভোট বড় বালাই। তাই প্রশাসনকে কাজে লাগাতে উপ রাজ্যপালের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ভোটের দিন ঘোষণা হতেই বহু শীর্ষস্থানীয় আমলাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তবু তো দশ বছর পর ভোট। এটাই আশার কথা।