পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ
আলোড়ন ফেলে দেওয়া এই ‘কীর্তির’(নিন্দুকের মতে কুকীর্তি) কথা সামনে আসতেই সে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তাতে বিতর্ক-বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে। কমিশনের সচিবের সাফাই, পঞ্চায়েতের ফলাফল ওয়েবসাইটে জানানো হবে বলে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই ফলাফল কীভাবে ‘আপলোড’ করা হবে, তার মহড়াতেই ওই তথ্য উঠে এসেছে। এটা আসল ফলাফল নয়। প্রশ্ন উঠেছে, মহড়াতে কেন বেছে বেছে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী দেখানো হল? মহড়ার ফলাফল কেন চার দেওয়ালের বাইরে এল? কেন সর্বদল বৈঠকে এই মহড়ার কথা আগেভাগে জানানো হল না? এটা কি আসলে গণনার আগে বিরোধীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার কৌশল? প্রত্যাশিতভাবেই কমিশনের কাছে এমন নানাবিধ প্রশ্নের কোনও সন্তোষজনক জবাব পাওয়া যায়নি। এমনকী এ নিয়ে ভুল স্বীকার করতেও নারাজ কমিশন।
প্রায় তিন দশকের বাম শাসনের ইতি টেনে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ত্রিপুরায় রাজ্যপাট দখল করেছিল মোদি-অমিত শাহের বিজেপি। তারপর সে বছরের পঞ্চায়েতের উপ নির্বাচন, ২০২১-এর পুরভোট, ২০২৩-এর বিধানসভা ভোট ও চলতি পঞ্চায়েত নিয়ে প্রতিটি নির্বাচনে অভূতপূর্ব সন্ত্রাস ও প্রহসনের সাক্ষী থেকেছে ত্রিপুরাবাসী। রাজ্য দখলের পর ১৮’র সেপ্টেম্বরে পঞ্চায়েতের নির্বাচিত বহু সদস্যকে পদত্যাগে ‘বাধ্য’ করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। সে বছর ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ৩৫৬টি ব্লকের ৩ হাজার ৩৮৬টি পঞ্চায়েত আসনে উপ নির্বাচন হয়েছিল। প্রহসনের সেই ভোটে ৯৬ শতাংশ আসনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করে বিজেপি। সেই ধারা বজায় থেকেছে এবারও। চলতি পঞ্চায়েত ভোটে ত্রিস্তরের ৭১ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল নিয়েছে বিজেপি। অভিযোগ ওঠে, ভোটে প্রার্থী খুন থেকে বিরোধীদের মনোনয়নে বাধাদান—ক্ষমতা দখলে রাখতে কোনও পথই বাদ রাখেনি গেরুয়াবাহিনী। গত ৮ আগস্ট যে ২৯ শতাংশ আসনে ভোট হয়েছে, সেদিনও সন্ত্রাসের এক ভয়াবহ চিত্র দেখা গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। এবার আরও গুরুতর অভিযোগ, সেই ভোটেরও কিছু আসনের ফলাফল গণনার আগেই ঘোষণা হয়ে গেল নির্বাচন কমিশনের ‘দাক্ষিণ্যে’! অনেকেই মনে করছেন, ‘প্রহসনে’র এই ভোট ত্রিপুরার প্রায় সব বিরোধী দল বয়কট করলেই বোধহয় গণতন্ত্রের পক্ষে মঙ্গল হতো।