Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জাস্টিস ফর আর জি কর
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জাস্টিস ফর অভয়া।
আপনি কি অভয়ার আসল নাম জানেন? তার হাতের লেখা কেমন ছিল? কিংবা তার ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর? মৃত্যুর পর কেমন দেখতে হয়েছিল তাকে? হয়তো জানেন। সৌজন্যে? সোশ্যাল মিডিয়া। অথচ, এমন কোনওটাই আপনার-আমার জানার কথা ছিল না। দেশের আইন অন্তত তাই বলে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, নির্যাতিতার নাম, ছবি, ঠিকানা এবং এমন কোনও কিছু আমরা প্রকাশ করতে পারি না... যাতে সে চিহ্নিত হয়ে যায়। দিল্লিতে নির্ভয়াকে নারকীয় অত্যাচারের প্রতিবাদেও কিন্তু গোটা দেশ পথে নেমেছিল। কিন্তু আপনি কি জানেন, নির্ভয়ার আসল নাম কী? কবে জানতে পেরেছিলেন? দেখেছিলেন কি তাঁর ক্ষতবিক্ষত ছবি? কেন জানতে পারেননি জানেন? কারণ, তখন আমরা সত্যিই সুনাগরিকের ভূমিকা নিয়েছিলাম। আর সবচেয়ে বড় কথা, মোবাইল ফোন তখন ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার ছিল না। ফরওয়ার্ড, শেয়ার করে আমরা তখন নির্ভয়াকে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে আরও বেশি লাঞ্ছিত করিনি। তাঁকে রাস্তায় টেনে নামাইনি। কিন্তু আজ? কী করছি আমরা? আর জি করের সেই চিকিৎসকের ছবি আজ মোবাইলে-মোবাইলে। সোশ্যাল মিডিয়াওয়ালারা অনেকেই তাঁকে চেনেন, জানেন। পুলিস সেই সব বিশেষজ্ঞ এবং ‘তদন্তকারীদের’ নোটিস পাঠাচ্ছে। এফআইআর করছে। তারপরও আমাদের হেলদোল নেই। ষড়যন্ত্র চলছে। ওই মুঠোফোনে। আমাদের অনেকের মধ্যে এখন বিপ্লবের ভূত ভর করেছে। বিদ্রোহী আমরা। সরকারের বিরোধিতায় সরব। পক্ষে বলা চলবে না। বলতে হবে বিপক্ষে। তাহলেই তুমি আমাদের দলের লোক। বাস্তবসম্মত চিন্তা-ভাবনা করলে, কিংবা বিজ্ঞানভিত্তিক কথাবার্তা বললে তুমি অন্য দলে। যদি বলো রাজ্যটাকে বাংলাদেশ করে দেওয়া যাবে না... তাহলে তুমি চটিচাটা। কারণ, এটাই এখন নতুন ইস্যু। বিরোধিতা। তাই বদলাচ্ছে আবহ... প্রতিবাদের।
আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যু আজ পিছনের সারিতে। চুপিসারে। সেটা আমরা বুঝেও বুঝছি না। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়া সত্ত্বেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হয়েছে। কিন্তু আমরা প্রশ্ন তুলছি না যে, কতটা এগল তারা। চার্জশিট কবে হবে? এই নৃশংস, নারকীয় কাণ্ডের কুশলীর ফাঁসি কবে হবে? আর কেউ কি ছিল তার সঙ্গে? কোনও ঘটনা বা ব্যক্তিকে কি সত্যিই আড়াল করা হচ্ছে? এই প্রশ্নগুলো এখন আর শোনা যাচ্ছে না। প্রশ্নবাণে বিঁধে দেওয়া হচ্ছে না সিবিআইকে। উঠছে শুধু আওয়াজ—উই ওয়ান্ট জাস্টিস। কেমন সেই জাস্টিস? কীভাবে মিলবে? তদন্তে? নাকি বাংলাকে অচল করে দিয়ে?
আম আদমি হিসেবে দাবি করছি, ন্যায়বিচার চাই। আলবাৎ চাই। ওই মেয়েটির জন্য শুধু নয়, আগামী প্রজন্মের জন্য। আপনার-আমার ঘরের ওই কন্যাসন্তানের জন্য। তার স্বাধীনতার জন্য। নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু আন্দোলনকারীদের মাঝে যে রাজনীতির শুঁয়োপোকা নিঃশব্দে জায়গা করে নিয়েছে! তার প্রতিবাদ হবে না কেন? ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল, তা এখন রাজনীতির কানাগলিতে লাট খাচ্ছে। পিতা, স্বামী কিংবা দাদা হিসেবে স্বতঃস্ফূর্ত যে পা-গুলো ‘রাতের দখল’ নিতে পথে নেমেছিল, তাদের ঘিরে ফেলেছে লাল-নীল-গেরুয়ার মেলা। একটি মোমবাতি নিয়ে মিছিলে আসা কিশোরী হঠাৎ দেখতে পাচ্ছে, তার হাতে তেল চকচকে বিরাট একটি ফ্লেক্স। অজানা-অচেনা কেউ ধরিয়ে দিয়ে গিয়েছে। হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ন্যায়বিচারের আশায় বুক বেঁধে হাজির হওয়া যুবক পিছিয়ে গিয়েছে ‘প্রফেশনাল’দের সৃষ্টিতে। মাস তিনেক আগে হয়তো তাঁরা ভেবেছিলেন, আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে ক্রিয়েটিভিটি দেখানোর জন্য। কিন্তু না, এসে গিয়েছে সুযোগ। আবার। তাই আমরা... এই আম জনতা একবারও ভাবিনি, ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় সোদপুরে হঠাৎ কেন ভেঙে দেওয়া হল পুলিসের গাড়ি? কে ভাঙল? শান্তিপূর্ণ মিছিল থেকে কারা ইট ছুড়ে রক্তাক্ত করল বিধাননগর পুলিসের কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিককে? মাথা থেকে, চোখের কোণ ফেটে রক্ত বেরচ্ছিল তাঁর...। কী ছিল অপরাধ? তিনি তো ডিউটি করতেই এসেছিলেন। আপনি যাতে কোনওরকম অশান্তির মধ্যে পড়ে না যান, তাই পাহারায় ছিলেন তিনি। তাহলে কেন এই আক্রোশ? পুলিস বলে? ‘দলদাস’ বলে? যুগে যুগে পুলিস তো দলদাসই। রাজ্য হোক বা কেন্দ্র। এটা সিস্টেমের দোষ। মানুষের নয়। আপনার নয়। কিন্তু হ্যাঁ, শম্পারও নয়। পুলিসেরও আগে তিনি একজন মহিলা। ওই রাতটা তাই ছিল শম্পারও। তারপরও কোনও একটা শ্রেণি স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ-আন্দোলনের সুযোগে রক্তাক্ত করেছে তাঁকে। হামলা চালিয়েছে আর জি কর হাসপাতালে। একইসঙ্গে দাগ লাগিয়েছে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে। আর দায় চেপেছে? প্রশাসনের ঘাড়ে। পুলিসি ব্যর্থতা এগিয়ে এসেছে সামনের সারিতে। আর সিবিআইয়ের তদন্ত? আবডালে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চেয়ে পোস্ট পড়ছে। রাস্তায় নেমে পড়েছে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বিচার চাইছেন। দোষীদের ফাঁসির দাবিতে পথে নামছেন। তা সত্ত্বেও উঠছে স্লোগান। কিন্তু ঘোলা জলে রাজনীতির মেছুরেরা একবারও বলছে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করলেই অপরাধ বন্ধ হয়ে যাবে না। তাহলে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীদের প্রতিদিন একবার করে পদত্যাগ করতে হতো। রাজনীতির কারবারিরা একবারও বলছেন না, এই বিপ্লবের শেষে বাংলার ভবিষ্যৎ কী? এজেন্ডা কী এই রাজনীতির? বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন? উত্তর নেই। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকেও এই ভাবনা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য সবকিছু করছে তারা। আর আমরাও ভেসে চলেছি স্রোতে। ভুলে যাচ্ছি, এরপরও তো নির্বাচন হবে রাজ্যে। তখন সবচেয়ে বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় আসবে কারা? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প নিশ্চয়ই ওই স্রোতমুখী মানুষ ঠিক করে রেখেছেন। কিন্তু যদি তা না হয়? রাজনীতির তল্পিবাহকরা রাজ্যে এবং সমাজে নৈরাজ্য চাইবেই। মানুষকে বুঝে নিতে হবে তার সন্তানের ভবিষ্যৎটা। ন্যায়বিচার যেমন তাঁদের সন্তানের জন্য, একইভাবে প্রযোজ্য তাঁদের রাজ্য-জন্মভূমির জন্যও। ২০১১ সালের পর ঘেরাও-ধর্মঘটের যে রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদায় নিয়েছিল, সেই রাজ্যই এখন অচলাবস্থার প্রাণকেন্দ্র। দেশের আনাচে-কানাচে তো বটেই, ইউরোপ আমেরিকার শহরেও মানুষ বাংলা নিয়ে ছিছিক্কার করছে। এতে কি আমাদের মাথা নিচু হয়ে যায় না? 
জাপানে শ্রমিকরা প্রতিবাদে নামলে বাড়তি কাজ করেন। কারণ, তাতে বেড়ে যাবে কোম্পানির উৎপাদন। বাজারের চাহিদার থেকে বেড়ে যাবে সরবরাহ। কোম্পানিকে হয় মাল ফিরিয়ে নিতে হবে। না হলে দাম কমাতে হবে। তাতেও সুরাহা হবে না। ফল? ব্যাপক লোকসান। মালিক বাধ্য হয় শ্রমিকদের দাবি শুনতে। আর জাপান শেখায়, আন্দোলন মানেই অচলাবস্থা নয়। আন্দোলন মানেই অবরোধ, ভাঙচুর, ঘেরাও নয়। আন্দোলন মানে কর্মবিরতি নয়। বুকে কালো ব্যাজ, কিংবা মুখে কালো কাপড় বেঁধেও আন্দোলনের অংশীদার হওয়া যায়। মুমূর্ষু রোগীদের না ফিরিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েও হয় আন্দোলন। নিজের মাটিকে, রাজ্যকে, দেশকে দুনিয়াদারির সামনে হেনস্তা না করেও আন্দোলন সম্ভব। আর যদি রুখে দাঁড়াতেই হয়, তাহলে কেন এই আন্দোলন, বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ভিনেশ ফোগাট বা সাক্ষী মালিকের জন্য হয় না? বিশ্বের দরবারে ভারতের মাথা গর্বে উঁচু করে ফেরার পরও রাজধানীর রাজপথে তাঁদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কেন? যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে তাঁরাও তো নালিশ করেছিলেন! জাস্টিস ফর ভিনেশ বা সাক্ষী কি এতটাই দূরের গ্রহের? মণিপুরের সেই তরুণীকে যখন গণধর্ষণ করে নগ্ন দেহে প্যারেড করানো হয়, তখন পথে ফ্লেক্স দেখা যায় না। উন্নাও বা হাতরাসের প্রতিবাদে যখন কোনও সাংবাদিককে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে জেলবন্দি করে রাখা হয়, তখনও বাড়ে না মোমবাতির বিক্রি। নির্ভয়া, অভয়ার জন্য যদি প্রতিবাদ হয়, তাহলে আন্দোলন তো ওঁদের সম্মানের জন্যও হওয়া উচিত। এই দেশ তো ওঁদেরও। এই রাত তো ওঁদেরও। ন্যায়বিচার প্রাপ্য ওঁদেরও। এরপর কি তাহলে আশা করব আর জি কর সেই পথ দেখাবে? ভিনেশ, সাক্ষী, মণিপুর বা হাতরাসের ‘জাস্টিসে’র জন্যও নামবে দেশ? গর্জে উঠবে?
সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন তিনি। ঘুরতেন একের পর এক বাড়িতে। সবাই গরিব। ওষুধ কেনা বা ফি দেওয়া তো দূরঅস্ত, পথ্যের টাকাও থাকত না অনেকের কাছে। নিজের পকেট থেকেই টাকা গুঁজে দিয়ে আসতেন হাতে। প্লেগের মড়কেও দমদম থেকে বেলগাছিয়া ছুটত তাঁর সাইকেল। চেনাজানা লোকজন বলত, সময় নষ্ট কোরো না। শুনতেন না তিনি। বন্ধুরা অবাক হতো, বিলেতফেরত ডাক্তার হয়ে কি না এই দশা! পসার হবে কীভাবে? কান দিতেন না তিনি। বুঝেছিলেন, এভাবে হবে না। গরিব মানুষের জন্য হাসপাতাল চাই। যেখানে বিনা পয়সায়, আর বিনা দ্বিধায় সমাজের এক কোণে পড়ে থাকা মানুষগুলো চিকিৎসা করতে আসতে পারবে। কিন্তু হাসপাতাল তৈরির জন্য অত টাকা ছিল না তাঁর কাছে। হাত পাতলেন তিনি। ভিক্ষা করলেন। দাঁড়িয়ে থাকলেন বড়লোকের অনুষ্ঠানবাড়ির বাইরে। তাতেও হল না। নিজের সর্বস্ব বিক্রি করে তিলে তিলে টাকা জমিয়ে কিনে ফেললেন জমি। তাতে তৈরি হল ৩০ বেডের হাসপাতাল। ঠিকানা, ১ নম্বর বেলগাছিয়া রোড। সেই ডাক্তারের নাম, রাধাগোবিন্দ কর। আর সেই হাসপাতাল? আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ। রাধাগোবিন্দ করের নামেই। একজন রোগীও যেন ফিরে না যায়... এই ছিল তাঁর শপথ। আজকের আন্দোলন কি তাই কর্মবিরতির হতে পারে? নাকি তার উদ্দেশ্য হতে পারে বাংলার সম্মান ভূলুণ্ঠিত করার? ছায়ার মতো আর একটা নিঃশব্দ লড়াই যে তাই সমান্তরালে চলছে। স্লোগান আছে তারও।
জাস্টিস ফর বেঙ্গল। জাস্টিস ফর আর জি কর। 
20th  August, 2024
প্যারিসের ওলিম্পিক্স ভিলেজ যেন পাশ্চাত্যের বস্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

ওলিম্পিক গেমসকে বলা হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। ক্রীড়াবিদদের চমকে দেওয়া পারফরমেন্স, টান টান লড়াই, রেকর্ড ভাঙার অদম্য ইচ্ছা, পদক জয়ের জন্য নিজেকেও ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা— এসব দেখে মনে হয় ওলিম্পিক গেমস সত্যিই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। বিশদ

সেবি: মাধবীর পদত্যাগ ও নতুন তদন্ত জরুরি
পি চিদম্বরম

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (সেবি) উদ্ঘাটিত কাহিনির প্রতি বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক দুনিয়ার দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে। 
বিশদ

19th  August, 2024
রাজনীতি থামিয়ে দ্রুত বিচার চাই
হিমাংশু সিংহ

আর জি কর হাসপাতালে যা ঘটেছে তা বাঙালির কাছে লজ্জার। মানবতার এমন পরাজয়ে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে আমাদের সবার। শিউরে উঠেছে বিবেক। রবীন্দ্রনাথের বাংলায় মানুষ কি দিনদিন পশু হয়ে যাচ্ছে? অল্পবয়সি এক ডাক্তারের এমন মর্মান্তিক পরিণতি আমাদের যত্নে লালন করা বাঙালি অস্মিতাকেই সজোরে আঘাত করেছে, রক্তাক্ত হয়েছে যাবতীয় বোধ, বুদ্ধি, অনুভূতি। বিশদ

18th  August, 2024
এবার নতুন চক্রান্ত: বাঙালি খেদাও
তন্ময় মল্লিক

আর জি করের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছে বাংলা। ন্যায়বিচারের দাবিতে শুধু চিকিৎসকরাই নন, গোটা রাজ্য এককাট্টা। অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা  বেরিয়ে আসবে সিবিআই তদন্তে। বিশদ

17th  August, 2024
শুধুই এক টুকরো ত্রিবর্ণের আবেগ?
মৃণালকান্তি দাস

তিষশাস্ত্রবিদরা বলেছিলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দিনটা নাকি শুভ নয়! তাই ১৪ তারিখ রাত এগারোটা বাজার আগেই দিল্লিতে গণপরিষদের সভা বসেছিল। বিশদ

15th  August, 2024
নতুন ছবি, ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা!
হারাধন চৌধুরী

আজ ১৪ আগস্ট। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস ভারতের। ৭৭ বছর আগে এক ভারত পৃথগন্ন হয়ে এই দুটি তারিখে নতুন রাষ্ট্রিক পরিচয় গ্রহণ করেছিল। আর এই দিনদুটির মাঝখানে দোলাচলেই ছিল সাবেক ‘পূর্ব পাকিস্তান’। বিশদ

14th  August, 2024
কতটা শাস্তি হলে তবে সিস্টেম বদলানো যায়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নির্ভয়াকে মনে আছে আমাদের? সেই যে প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী। বাড়ি ফিরছিল বন্ধুর সঙ্গে। দোষের মধ্যে, রাতটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। আর রাত বাড়লেই যে মানব সমাজের অন্দরে লুকিয়ে থাকা পশুগুলো খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। সেবারও এসেছিল।
বিশদ

13th  August, 2024
গণতন্ত্রের খামতিরই চরম মূল্য দিল বাংলাদেশ
পি চিদম্বরম

১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই আমেরিকার তেরোটি রাজ্য তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯-১৭৯৯) পর অতিবাহিত হয়েছে দুই শতকেরও বেশিকাল।
বিশদ

12th  August, 2024
‘মৌলবাদী’ বাংলাদেশ বড় বিপদ পশ্চিমবঙ্গের কাছে
হিমাংশু সিংহ

ভুলটা কার? শুধুই হাসিনার? নাকি মাত্র সাত মাস আগে সেদেশের নির্বাচনে একতরফা জয়ের পর শাসক আওয়ামি লিগের দ্রুত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের গোয়েন্দা ব্যর্থতাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত! প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিদেশের মাটিতে সম্ভ্রম জাগানো ‘র’ তাহলে কী করছিল, বিন্দুবিসর্গও টের পায়নি?
বিশদ

11th  August, 2024
এটা কি অন্নদাতাদের সম্মান, না অপমান!
তন্ময় মল্লিক

‘লাঙলের টুকরোর স্ট্যাচুই কৃষকদের সর্বোচ্চ সম্মান।’ দিল্লিতে আন্তর্জাতিক কৃষি-অর্থনীতিবিদদের সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একথা বলার কারণ? দেশের কৃষকরা যে তাঁর আমলেই সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছে, সেটা বিশ্ববাসীকে বোঝানো। বিশদ

10th  August, 2024
দেশভাগ করে ৭৭ বছরে কী পেল প্রতিবেশীরা?
সমৃদ্ধ দত্ত

পরকালের কোনও অদৃশ্য নো ম্যানস ল্যান্ডে দাঁড়িয়ে এখন হয়তো জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী এবং বল্লভভাই প্যাটেলরা হাসতে হাসতে  মহম্মদ আলি জিন্নাকে বলছেন, কী ব্যাপার জিন্না সাহেব! দেশভাগ করে তাহলে কী পেলেন? বিশদ

09th  August, 2024
এই বর্ষায় ‘বসন্ত’ ফিরেছে বাংলাদেশে!
মৃণালকান্তি দাস

আরব বসন্তের আঁতুড়ঘর ছিল তিউনিসিয়া! ২০১০-এর ১৭ ডিসেম্বর পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে মহম্মদ বওয়াজি নামে এক যুবক প্রকাশ্যে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এমনিতেই গোটা দেশ দমন-পীড়ন, দুর্নীতি আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোমড়াচ্ছিল। বিশদ

08th  August, 2024
একনজরে
কুসংস্কার-বিরোধী, যুক্তিবাদী চিকিৎসক নরেন্দ্র দাভোলকরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দেশজুড়ে ন্যাশনাল সায়েন্স টেম্পার ডে (এনএসটিডি) পালিত হল। এনএসটিডির সপ্তম বর্ষে জোর দেওয়া হয়েছে কলকাতা সায়েন্স টেম্পার ডিক্লারেশনের উপরে। ...

প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে এক তৃণমূল নেতাকে ঘেরাও করল ক্ষুব্ধ জনতা। মেখলিগঞ্জ ব্লকের চৌরঙ্গি এলাকায় এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের চ্যাংরাবান্ধা অঞ্চল সভাপতি জছিরুদ্দিন মহম্মদ ওরফে খাটোকে গ্রামবাসীদের একাংশ ঘেরাও করে রাখেন। ...

ইস্কো কারখানার সম্প্রসারণ নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের জনশুনানিতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কর্মসংস্থান না দেওয়া, এলাকার উন্নয়ন না করা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কারখানা সংলগ্ন এলাকার মানুষজন। ...

রপ্তানি ক্ষেত্রে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির খনিজ ও আকরিকের উপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে ওঠার পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। মঙ্গলবার শহরে সিআইআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পূর্ব ভারতের উন্নয়নে কেন্দ্র আলাদা বাজেট বরাদ্দ করেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস
১৬১৩- বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর মৃত্যু
১৯০৮ - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী তথা কৃষিতে জৈব সার ব্যবহারের পথিকৃৎ পরমনাথ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯১১- লিওনার্দো দা ভিঞ্চির  মোনালিসা ছবিটি লুভারস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়
১৯৩১- গায়ক বিষ্ণু দিগম্বর পালুসকরের মৃত্যু
১৯৭২- বন সংরক্ষণ আইন চালু হল
১৯৭৮- ভিনু মানকড়ের মৃত্যু
১৯৭৮- অভিনেত্রী ভূমিকা চাওলার জন্ম
১৯৮৬- জামাইকার স্প্রিন্টার উসেইন বোল্টের জন্ম
১৯৯৫- ভারতের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখরের মৃত্যু
২০০৬- বিশিষ্ট সানাইবাদক ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৪ টাকা ৮৪.৭৮ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৪ টাকা ১১০.৬৮ টাকা
ইউরো ৯১.৩৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৫,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৫,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া ২৯/৩০ অপরাহ্ন ৫/৭। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৮/৮ রাত্রি ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/১৯/১৬, সূর্যাস্ত ৬/০/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১১/১৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১০/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৫ মধ্যে। 
৪ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৮/১৬। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৬/২৬ পরে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১/৩০ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৫ গতে ৩/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/৪১ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
১৬ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:57:35 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সুপার হলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

11:01:43 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হলেন ডাঃ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

10:46:34 PM

আর জি কর কাণ্ড: আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে চার আধিকারিককে বদলি করল স্বাস্থ্য ভবন

10:41:39 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর

10:05:02 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

10:02:32 PM