Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শুধুই এক টুকরো ত্রিবর্ণের আবেগ?
মৃণালকান্তি দাস

তিষশাস্ত্রবিদরা বলেছিলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দিনটা নাকি শুভ নয়!
তাই ১৪ তারিখ রাত এগারোটা বাজার আগেই দিল্লিতে গণপরিষদের সভা বসেছিল। সভার কাজ শেষ হতে হতেই রাত বারোটা। ১৫ তারিখ দিনটা সত্যিই শুভ ছিল না। লর্ড মাউন্টব্যাটেন ছাড়া কারও মুখে সেদিন খুশির ঝলক দেখা যায়নি। সেদিন সাড়ে দশটায় যখন সদ্য স্বাধীন দেশের জাতীয় পতাকা উড়তে শুরু করেছে সংসদ ভবনে, তখনও সকলের মনে মনে অজানা আশঙ্কা— পর দিন বোধ হয় আবার আরম্ভ হবে রক্তবন্যা। তাই ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা হল, গোটা শহরে প্রায় তিনশো পতাকা তোলা হল, কিন্তু উৎসবের রেশ চোখে পড়েনি।
১৪ আগস্ট বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দি গান্ধীজিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, পর দিন কী অনুষ্ঠান হবে। গান্ধীজির সপাট উত্তর: চার দিকে মৃত্যুলীলা, এর মধ্যে অনুষ্ঠান? মহাত্মা গান্ধী ১৫ আগস্ট ১৯৪৭-এর স্বাধীনতা উৎসবে অংশগ্রহণ করেননি। তিনি কলকাতায় উপবাস ও প্রার্থনা করে দিনটা কাটিয়েছিলেন। ঈশ্বর-আল্লা নিশ্চয়ই তাঁর প্রার্থনা শুনেছিলেন। স্বাধীনতার দিন কলকাতায় অন্তত শান্তি বিরাজ করেছিল। হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গেই সেদিন ‘জয় হিন্দ’ ধ্বনি দিয়েছিল। পরদিন ‘মির‌্যাকল অর অ্যাক্সিডেন্ট’ শীর্ষক এক সম্পাদকীয়তে গান্ধীজি লিখেছিলেন, ‘পারস্পরিক ঘৃণার গরল আমরা পান করেছি, তাই ভ্রাতৃভাবের এই অমৃত এত মধুর লাগছে। এ মধুরতা যেন অক্ষয় হয়ে থাকে।’ বাংলার মানুষ তাঁকে কথা দিয়েছিল...।
স্বাধীনতা দিবসের নতুন সকালটিতেও কোটি কোটি মানুষ বুঝতে পারলেন না, আনন্দ করতে চাইলে কোন দেশের হয়ে আনন্দ করবে ‘পাঞ্জাব’। বাংলার বিভাজন-রেখা র‌্যাডক্লিফ লাইনটি আঁকতে তখনও আরও দুই দিন বাকি। আর সেই দু’দিনে দেশের মাটি বিষিয়ে উঠল পনেরো লক্ষ মানুষের নিহত-আহত-ধর্ষিত-উৎখাতে। একমাত্র আনন্দে আত্মহারা তখন লর্ড মাউন্টব্যাটেন। সাফল্যের আবেশে বিহ্বল: ‘পৃথিবীর ইতিহাসের বৃহত্তম প্রশাসনিক কাজটি’ সমাধা করতে পারলেন বুঝি তিনিই। ১৯৪৭-এর দেশভাগ পরিকল্পনা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ৩ জুন যিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, এটি ছিল ‘স্ট্যাগারিং ব্লো’। বিস্ময়কর আঘাত!
সেদিন জ্যোতিষশাস্ত্রবিদদের কথাই মিলে গিয়েছিল। আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করে দিল্লিতে পরের দিনই শুরু হানাহানি। বম্বে আর কলকাতায় দোদুল্যমান অনিশ্চয়তা। তেরঙা-লাঞ্ছিত স্লোগান-আনন্দের ফাঁকে ফাঁকে থমথমে ভয়ের পকেট-অঞ্চল। দিল্লি-বম্বে-কলকাতা তবু হিন্দু-মুসলিম, মুসলিম-শিখ হানাহানি থেকে কিছুটা রক্ষে পেল। নোয়াখালি-লাহোর-অমৃতসর ভেসে গেল রক্তে। হত্যালীলায় অসংখ্য প্রাণ গেল সে দিনও।
১৯৪৭-র ১৫ আগস্ট দিল্লিই ছিল উত্তেজনার প্রাণকেন্দ্র। দিল্লিতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ স্বাধীনতার উৎসবে মেতেছিলেন। তারপর থেকে দুর্ভাগা দেশের উত্তরাধিকার পালন করেছে দিল্লি। এই দিনটিতে আলগা গাম্ভীর্যের আবরণে ঢাকা থেকেছে শুভ-অশুভের ঐতিহাসিক মেলবন্ধন। লালকেল্লার বক্তৃতা, জনসমাগম, ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি, সবই থেকেছে। কিন্তু আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার গর্জন কিংবা উচ্ছ্বাস আকাশ-বাতাস কাঁপায়নি এই দিনটিতে। আমাদের সে কালের নেতারা এই ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠা করে যেতে পেরেছিলেন। শিখিয়ে গিয়েছেন, ১৫ আগস্ট রক্তাক্ত ছেদনের স্মৃতি। রক্তসম্পর্ক ছেদনের স্মৃতি। এই দিন রাষ্ট্রীয় অহঙ্কার দেখানোর নয়!
নথি বলছে, দেশভাগে ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ১.৪ কোটি, প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ। সে দিনের স্কুলপড়ুয়া ছেলের দল, কলেজের দুই-বিনুনি মেয়েরা অনেকেই ভেসে গিয়েছেন। ভিটেছাড়া হওয়ার জ্বালা আর স্বাধীন দেশ দেখার শিহরণ বুকে নিয়ে। এখনও জীবিত যাঁরা— আশির কোঠায়, নবতিপর বা একশো-অতিক্রান্ত— বলে যান পুরানো সেই দিনের কথা। সত্যিই, কী দুর্ভাগা এই দেশ! কত দেশ তাদের স্বাধীনতার দিনটি কত আনন্দে কাটায়, কিন্তু যে ভারতীয় প্রজন্ম ১৯৪৭ জেনেছেন বা বুঝেছেন, তাঁদের কাছে ‘১৫ আগস্ট’ উচ্চারণের আনন্দ গলা দিয়ে বেরনোর আগেই বেদনায় রুদ্ধ হয়ে যায়। এ দেশে এমন মানুষও ছিলেন যিনি আজীবন ১৫ আগস্টে ১৯৪৭-এর স্মৃতিতে অরন্ধন-অনশন পালন করেছেন। গান্ধীবাদী না হয়েও গান্ধীর পথেই স্বাধীনতা দিবস কাটিয়েছেন। সেই স্মৃতি যাঁদের কণ্ঠরোধ করে না, হয় তাঁরা ইতিহাস-বোধরহিত সংকীর্ণমনা স্বার্থপর, নয়তো তাঁরা সম্পূর্ণ ভিন-ভারতের মানুষ, যে ভারত ১৫ আগস্টকে জানেনি কিংবা বোঝেনি।
***
ভারতের স্বাধীনতার দিনে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু স্বাধীনতাকে বলেছিলেন, ‘নিয়তির সঙ্গে অভিসার’ (ট্রিস্ট উইথ ডেস্টিনি)। সাধারণ পরিস্থিতিতে এই ‘অভিসার’ বা ‘ট্রিস্ট’ শব্দটির অর্থ বা উৎপত্তির গভীরে প্রবেশ না করলেও চলত। কিন্তু আজ যা পরিস্থিতি, তাতে একবার ফিরে দেখা দরকার, কী অর্থে নেহরু কথাটি বলেছিলেন। ইংরেজি অভিধানে ‘ট্রিস্ট’ শব্দটির মানে গোপন সাক্ষাৎ, সাধারণত দুই প্রেমিকের। দেখে প্রশ্ন জাগে, কোন পরিপ্রেক্ষিতে শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন নেহরু? সম্ভবত তা এই অর্থে যে, ভারতের মানুষ এক গোপন অঙ্গীকারে আবদ্ধ হল যে ভাগ্যের সঙ্গে, তা ক্রমে আত্মপ্রকাশ করবে এক স্বাধীন দেশে। স্বাধীনতার জন্মলগ্নে সাক্ষাৎ মিলেছিল যে নিয়তির, তা ক্রমে প্রকাশিত হবে ভারতের মানুষের যূথবদ্ধ কাজের মধ্যে দিয়ে, যেখানে পরস্পর শ্রদ্ধার দ্বারা তারা আবদ্ধ, আর যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের মর্যাদা সুনিশ্চিত। নেহরু তাঁর ‘নিয়তির সঙ্গে অভিসার’ ভাষণে কোটি কোটি ভারতবাসীকে অনুপ্রাণিত করতে চেয়েছিলেন, যাঁরা ব্রিটিশ সরকারের হাতে নির্যাতন সয়ে এসেছেন। যাঁরা আদর্শে বিশ্বাস করে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন, তাঁদের শোকার্ত পরিবারকে নেহরু সান্ত্বনা দিতে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পরে আজ আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে? নিয়তির সঙ্গে নিভৃত অভিসারের সেই অঙ্গীকার আজ ভঙ্গ হয়েছে। আজ দেশের শাসক দলের কাছ থেকেই নির্দেশ এসেছে, ভারতের ইতিহাস পুনর্লিখন করতে হবে। বিশেষ করে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিবৃত্ত। দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার পক্ষে সেটা বিশেষ জরুরি।
অবশ্য সঙ্ঘ পরিবারের তরফ থেকে এই প্রস্তাব নতুন নয়। বাজপেয়ি-আদবানি জমানায় এই প্রকল্প অনেক দূর গড়িয়েছিল। তখনও হিন্দুত্বের আলোয় স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি বিস্তৃত পুনর্মূল্যায়ন হয়েছিল। স্কুলে থাকতে আমরা শিখেছিলাম যে, জাতির জনক হলেন মহাত্মা গান্ধী, আর তাঁর দুই শিষ্য নেহরু ও প্যাটেল প্রথম ভারত সরকারের নেতা হন, মৌলানা আজাদকে সঙ্গে নিয়েই। আর এখন কিন্তু নতুন করে আমাদের বোঝানো হচ্ছে, স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম সারির নেতা হলেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আর হিন্দুত্বের পরম্পরাগত প্রতিষ্ঠান হিন্দু মহাসভা, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ, জনসঙ্ঘ ও ভারতীয় জনতা পার্টি হল আসল ন্যাশনালিজম-এর প্রবক্তা। শুধু তাই-ই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিটি পদক্ষেপে আজ মনের মধ্যে একটা গহন শঙ্কা জাগে। মনে হয়, আমাদের আসল বিপদ অসাধুতা নয়, এ বিপদ গভীরতর, এ বিপদ স্বাধীনতা হারানোর। এটা সোজাসুজি ঘটছে না। নগ্ন ভাবেও ঘটছে না। ঘটছে ছলে ও কৌশলে। এ খেলায় বিরোধী-বিপক্ষের অসাধুতা প্রতিপন্ন করাটাই প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ইন্দিরা গান্ধীর ‘ইমার্জেন্সি’ ছিল সরাসরি ঘোষিত জরুরি অবস্থা। লুকোছাপা ছিল না। আজকের জরুরি অবস্থা কিন্তু তা নয়, এ হল সংবিধান-বিরুদ্ধ গুপ্ত ইমার্জেন্সি। এর মূলমন্ত্র জোর নয়, এর মন্ত্র প্রতারণা। তার চেয়েও বড় বিপদ হল এই ইমার্জেন্সি শুধু রাষ্ট্রকেন্দ্রিক নয়, সমাজ-রূপান্তরও এর অন্যতম লক্ষ্য। গান্ধী-নেহরু-প‌্যাটেল-আজাদের জাতীয়তাবাদের বদলে আসছে হিন্দুত্ববাদী, সংখ্যাগুরুবাদী, জাতীয়তাবাদ। গড়ে তোলার চেষ্টা এক নতুন রাষ্ট্রের। যার সামাজিক ভিত্তি হবে এক ত্রিকোণ শক্তি— হিন্দি, হিন্দু, হিন্দুস্থান। আসলে ভারতের খণ্ড-স্বাধীনতার বীজ থেকে যে-ফল ফলার কথা, সেই ফলই ফলছে। কারও কারও রুচিতে সে-ফল মাকালেরই মতো সুন্দর!
***
মহাত্মা গান্ধীর ‘স্বরাজ’ ভাবনাই হোক, অথবা রবীন্দ্রনাথের ‘স্বদেশ’ চেতনা, দেশবন্ধুর ত্যাগের আহ্বানই হোক, অথবা নেতাজি সুভাষচন্দ্রের আজাদ হিন্দ-এর স্বপ্ন, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ কিংবা খান আবদুল গফফর খানের আজীবন স্বাধীনতার সাধনা, বারবারই ধ্বনিত হয়েছে দেশের নামে মানুষের জয়গান, বিভিন্ন মত ও পথের স্বীকৃতি। অথচ সেই ভারতে স্বাধীনতা কাকে বলে, সেই যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনায় বসার অবকাশ ক্রমশই সীমিত হয়ে আসছে। প্রতিবাদ বা প্রতিস্পর্ধা তো অনেক পরের কথা, রাষ্ট্রশক্তির অন্যায় নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নাগরিককে রাজরোষে পড়তে হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির ভারতে স্বাধীনতার অর্থ কি তবে অনুগত এবং ভক্ত প্রজার স্বাধীনতা? প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় যখন ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা সগর্বে আকাশের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন, আমরা শিহরিত হয়ে উঠি। আর শিহরনের প্রচ্ছন্নতায় আশঙ্কিত হয়ে ভাবি, এই স্বাধীনতা পালনের জন্যই কি নেহরু মধ্যরাতে নিয়তির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথা বলেছিলেন? ভাবি, স্বাধীনতার প্রসারিত অঙ্গন শুধু কি আড়ম্বরের শিহরণের অপেক্ষাতেই থাকে? না কি তার আর্তি ‘স্বাধীন’ নাগরিকের জন্য? আজ ভারতে এই আর্তি ভয়ানক হয়ে উঠেছে, স্বাধীনতা দিবসের উৎসবের সামনে এই সব প্রশ্ন নীরব ভর্ৎসনায় যেন বধির করে দেওয়ার উপক্রম করছে। প্রশ্ন ওঠে, ‘বহু’কে মেরে ‘এক’ করার অপচেষ্টায় শেষকালে বৈচিত্র্য কি টিকে থাকে, একতাকেও কি সুরক্ষিত রাখা যায়? উত্তর মেলে না মোদির। বদলে স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় বলেন, ‘হম তোড় রহে হৈঁ জঞ্জিরেঁ, হম বদল রহে হৈঁ তসবিরেঁ’। ‘আমরা সব শিকল ভেঙে ফেলছি, সব ছবি বদলে দিচ্ছি।’ মোদি জমানায় সত্যিই ভারতের ছবি বদলে যাচ্ছে, শেকল ভেঙে দানব বেরিয়ে এসেছে।
এই ভয়ঙ্কর সময়ে অসহায়তা, মলিন মুখখানি নিয়ে এক অজানা ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষায় আরও একজন: ‘স্বাধীনতা’ নিজেই। যাঁর এক টুকরো ত্রিবর্ণের আবেগের সঙ্গে মিশে রয়েছে শুধুই যন্ত্রণা...।
15th  August, 2024
প্যারিসের ওলিম্পিক্স ভিলেজ যেন পাশ্চাত্যের বস্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

ওলিম্পিক গেমসকে বলা হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। ক্রীড়াবিদদের চমকে দেওয়া পারফরমেন্স, টান টান লড়াই, রেকর্ড ভাঙার অদম্য ইচ্ছা, পদক জয়ের জন্য নিজেকেও ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা— এসব দেখে মনে হয় ওলিম্পিক গেমস সত্যিই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। বিশদ

জাস্টিস ফর আর জি কর
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি অভয়ার আসল নাম জানেন? তার হাতের লেখা কেমন ছিল? কিংবা তার ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর? মৃত্যুর পর কেমন দেখতে হয়েছিল তাকে? হয়তো জানেন। সৌজন্যে? সোশ্যাল মিডিয়া। অথচ, এমন কোনওটাই আপনার-আমার জানার কথা ছিল না। বিশদ

20th  August, 2024
সেবি: মাধবীর পদত্যাগ ও নতুন তদন্ত জরুরি
পি চিদম্বরম

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (সেবি) উদ্ঘাটিত কাহিনির প্রতি বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক দুনিয়ার দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে। 
বিশদ

19th  August, 2024
রাজনীতি থামিয়ে দ্রুত বিচার চাই
হিমাংশু সিংহ

আর জি কর হাসপাতালে যা ঘটেছে তা বাঙালির কাছে লজ্জার। মানবতার এমন পরাজয়ে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে আমাদের সবার। শিউরে উঠেছে বিবেক। রবীন্দ্রনাথের বাংলায় মানুষ কি দিনদিন পশু হয়ে যাচ্ছে? অল্পবয়সি এক ডাক্তারের এমন মর্মান্তিক পরিণতি আমাদের যত্নে লালন করা বাঙালি অস্মিতাকেই সজোরে আঘাত করেছে, রক্তাক্ত হয়েছে যাবতীয় বোধ, বুদ্ধি, অনুভূতি। বিশদ

18th  August, 2024
এবার নতুন চক্রান্ত: বাঙালি খেদাও
তন্ময় মল্লিক

আর জি করের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছে বাংলা। ন্যায়বিচারের দাবিতে শুধু চিকিৎসকরাই নন, গোটা রাজ্য এককাট্টা। অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা  বেরিয়ে আসবে সিবিআই তদন্তে। বিশদ

17th  August, 2024
নতুন ছবি, ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা!
হারাধন চৌধুরী

আজ ১৪ আগস্ট। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস ভারতের। ৭৭ বছর আগে এক ভারত পৃথগন্ন হয়ে এই দুটি তারিখে নতুন রাষ্ট্রিক পরিচয় গ্রহণ করেছিল। আর এই দিনদুটির মাঝখানে দোলাচলেই ছিল সাবেক ‘পূর্ব পাকিস্তান’। বিশদ

14th  August, 2024
কতটা শাস্তি হলে তবে সিস্টেম বদলানো যায়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নির্ভয়াকে মনে আছে আমাদের? সেই যে প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী। বাড়ি ফিরছিল বন্ধুর সঙ্গে। দোষের মধ্যে, রাতটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। আর রাত বাড়লেই যে মানব সমাজের অন্দরে লুকিয়ে থাকা পশুগুলো খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। সেবারও এসেছিল।
বিশদ

13th  August, 2024
গণতন্ত্রের খামতিরই চরম মূল্য দিল বাংলাদেশ
পি চিদম্বরম

১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই আমেরিকার তেরোটি রাজ্য তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯-১৭৯৯) পর অতিবাহিত হয়েছে দুই শতকেরও বেশিকাল।
বিশদ

12th  August, 2024
‘মৌলবাদী’ বাংলাদেশ বড় বিপদ পশ্চিমবঙ্গের কাছে
হিমাংশু সিংহ

ভুলটা কার? শুধুই হাসিনার? নাকি মাত্র সাত মাস আগে সেদেশের নির্বাচনে একতরফা জয়ের পর শাসক আওয়ামি লিগের দ্রুত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের গোয়েন্দা ব্যর্থতাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত! প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিদেশের মাটিতে সম্ভ্রম জাগানো ‘র’ তাহলে কী করছিল, বিন্দুবিসর্গও টের পায়নি?
বিশদ

11th  August, 2024
এটা কি অন্নদাতাদের সম্মান, না অপমান!
তন্ময় মল্লিক

‘লাঙলের টুকরোর স্ট্যাচুই কৃষকদের সর্বোচ্চ সম্মান।’ দিল্লিতে আন্তর্জাতিক কৃষি-অর্থনীতিবিদদের সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একথা বলার কারণ? দেশের কৃষকরা যে তাঁর আমলেই সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছে, সেটা বিশ্ববাসীকে বোঝানো। বিশদ

10th  August, 2024
দেশভাগ করে ৭৭ বছরে কী পেল প্রতিবেশীরা?
সমৃদ্ধ দত্ত

পরকালের কোনও অদৃশ্য নো ম্যানস ল্যান্ডে দাঁড়িয়ে এখন হয়তো জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী এবং বল্লভভাই প্যাটেলরা হাসতে হাসতে  মহম্মদ আলি জিন্নাকে বলছেন, কী ব্যাপার জিন্না সাহেব! দেশভাগ করে তাহলে কী পেলেন? বিশদ

09th  August, 2024
এই বর্ষায় ‘বসন্ত’ ফিরেছে বাংলাদেশে!
মৃণালকান্তি দাস

আরব বসন্তের আঁতুড়ঘর ছিল তিউনিসিয়া! ২০১০-এর ১৭ ডিসেম্বর পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে মহম্মদ বওয়াজি নামে এক যুবক প্রকাশ্যে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এমনিতেই গোটা দেশ দমন-পীড়ন, দুর্নীতি আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোমড়াচ্ছিল। বিশদ

08th  August, 2024
একনজরে
ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচ খেলতে বুধবার জামশেদপুর যাচ্ছে মোহন বাগান। প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব এফসি। তবে এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার জেমি ম্যাকলারেন ও আশিক কুরুনিয়ানকে পাচ্ছে না সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ...

অনিয়মিত রেল চলাচল, বিভিন্ন রেল স্টেশনের উন্নতিকরণ সহ একাধিক দাবিতে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রেল অবরোধের ডাক দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-জকপুর প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। ...

মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ)-র হাত ধরতে চায় আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)। চলতি বছরেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ...

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে এলন মাস্ককে মন্ত্রিসভার সদস্য করবেন। সোমবার এমনটাই ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বলেন, ‘এলন খুব বুদ্ধিমান ছেলে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস
১৬১৩- বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর মৃত্যু
১৯০৮ - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী তথা কৃষিতে জৈব সার ব্যবহারের পথিকৃৎ পরমনাথ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯১১- লিওনার্দো দা ভিঞ্চির  মোনালিসা ছবিটি লুভারস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়
১৯৩১- গায়ক বিষ্ণু দিগম্বর পালুসকরের মৃত্যু
১৯৭২- বন সংরক্ষণ আইন চালু হল
১৯৭৮- ভিনু মানকড়ের মৃত্যু
১৯৭৮- অভিনেত্রী ভূমিকা চাওলার জন্ম
১৯৮৬- জামাইকার স্প্রিন্টার উসেইন বোল্টের জন্ম
১৯৯৫- ভারতের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখরের মৃত্যু
২০০৬- বিশিষ্ট সানাইবাদক ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৪ টাকা ৮৪.৭৮ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৪ টাকা ১১০.৬৮ টাকা
ইউরো ৯১.৩৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৫,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৫,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া ২৯/৩০ অপরাহ্ন ৫/৭। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৮/৮ রাত্রি ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/১৯/১৬, সূর্যাস্ত ৬/০/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১১/১৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১০/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৫ মধ্যে। 
৪ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৮/১৬। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৬/২৬ পরে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১/৩০ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৫ গতে ৩/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/৪১ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
১৬ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:57:35 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সুপার হলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

11:01:43 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হলেন ডাঃ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

10:46:34 PM

আর জি কর কাণ্ড: আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে চার আধিকারিককে বদলি করল স্বাস্থ্য ভবন

10:41:39 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর

10:05:02 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

10:02:32 PM