Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দেশভাগ করে ৭৭ বছরে কী পেল প্রতিবেশীরা?
সমৃদ্ধ দত্ত

পরকালের কোনও অদৃশ্য নো ম্যানস ল্যান্ডে দাঁড়িয়ে এখন হয়তো জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী এবং বল্লভভাই প্যাটেলরা হাসতে হাসতে  মহম্মদ আলি জিন্নাকে বলছেন, কী ব্যাপার জিন্না সাহেব! দেশভাগ করে তাহলে কী পেলেন? অখণ্ড ভারতকে ভেঙে দিয়ে, ভারত নামক দেশ থেকে চলে গিয়ে আলাদা রাষ্ট্র হলেই নাকি অপার শান্তি, অতুল ঐশ্বর্য আর পরম সুস্থিতি আসবে? এরকমই তো বলতেন আপনি আপনার অনুগতদের। তা ৭৭ বছর কেটে গেল। সেসব তো কিছুই হল না। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করলেন। কিন্তু আপনার প্রিয় পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব পাকিস্তান, কোথাও এই ৭৭ বছরে স্থায়ী শান্তি তো এলই না, এমনকী দুই প্রান্তেই গণতন্ত্র স্থাপন করা গেল না! অশান্তি, অরাজকতা লেগেই রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানকে তো ধরেই রাখতে পারলেন না। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে সেই দেশটি অর্থাৎ বাংলাদেশ চিরস্থায়ী সুস্থিতি স্থাপন করতে ব্যর্থ। যারা ভারতে থাকতে চায়নি, ভারতকে অন্য দেশ হিসেবে বিবেচনা করেছে, সেই পূর্ব ও পশ্চিম দুই পাকিস্তানেই তো দেখা যাচ্ছে ৭৭ বছর ধরে একই চিত্র। একজন করে শাসক আসেন। তিনি ক্রমেই হয়ে যান জনতার কাছে ভিলেন। তারপর হয় তিনি পালিয়ে যান কিংবা তাঁকে হত্যা করা হয়, নতুবা জেলবন্দি। কখনও সেনাবাহিনী দখল করে নেয় ক্ষমতা। নির্বাচন বলে কোনও বস্তু মাঝেমধ্যে দেখা যায় বটে। কিন্তু হয় তার ফলাফল মেনে নেওয়া হয় না অথবা ভোট ভোট পুতুল খেলা হয়।  
নেহরুরা জিন্নার ম্লান এবং বিবর্ণ মুখের দিকে তাকিয়ে নিশ্চিত বলছেন,  যে দেশটা ভেঙে দিয়ে আপনি চলে গিয়েছিলেন, সেই ভারতের দিকে তাকিয়ে দেখুন। ১৯৫১ সালের অক্টোবর মাস থেকে সেই যে গণতান্ত্রিক নির্বাচন শুরু হয়েছিল, আজ পর্যন্ত তার অন্যথা হয়নি। এক বছর আগে পরে হলেও নির্বাচন কিন্তু ঠিক হয়েছে। এমনকী কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে জরুরি অবস্থা জারি করে স্বৈরতন্ত্রের পথে হাঁটার মৃদু চেষ্টা করেও ঠিক পরের নির্বাচনেই পরাস্ত হয়েছেন। তারও বহু বছর পর কেউ আবার একনায়কতন্ত্র কায়েমের স্বপ্নে বিভোর হয়ে যাওয়ার পর আচমকা একটি আপাত নিস্তরঙ্গ ভোটে মহাধাক্কা খেয়ে দেখেছেন তাঁর গরিষ্ঠতা জনতা কেড়ে নিয়েছে। 
কত বড় বড় সঙ্কট সামলেও এমন একটা দেশ গড়ে যেতে পারলাম যে, ৭৭ বছর পরও অটুট গণতন্ত্র, সেকুলারিজম। আবার বিশ্বের পঞ্চম অর্থনৈতিক শক্তিও হয়ে গেলাম। নেহরু গান্ধীরা ঠিক যে কথা জিন্নাকে কাল্পনিক সাক্ষাৎকারে বলছেন, আমাদের মতো সাধারণ বঙ্গবাসীর মনেও অনুরূপ প্রশ্ন আসছে ঠিক সেই সুরেই। পূর্বতন পূর্ববঙ্গের উদ্দেশে। সেটি হল, দেশভাগ তথা বঙ্গভাগ করে তাহলে আপনাদের কী লাভ হয়েছে? আমাদের মনে আছে ১৯৪০ সালে যেদিন মুসলিম লিগের লাহোর ডিক্লারেশন হল, সেই  প্রস্তাবটি কে পাঠ করেছিলেন। আবুল কাশেম ফজলুল হক। একজন বাঙালি মুসলিম লিগ নেতাকে দিয়েই করা হয়েছিল পাকিস্তান প্রস্তাব। 
১৯৪৭ সালের ২০ জুন অখণ্ড বাংলার বিধানসভায় যে তিনটি ভোটাভুটি হয়েছিল, সেখানে দেশভাগ তথা বাংলা ভাগের প্রস্তাবের পক্ষে রায় কী হয়েছিল? পূর্ববঙ্গের মুসলিম লিগ বিধায়করা কীসের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন? বাংলা যদি অখণ্ড থাকে, তাহলে সে পাকিস্তানে যোগ দেবে।  পূর্ববঙ্গের তাবৎ জেলার মুসলিম লিগ বিধায়কেরা তাঁদের পৃথক ভোটাভুটিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তাঁরা ভারতে থাকবেন না, পাকিস্তানে যোগ দেবেন।  
বাংলা নামক ভাষার তুলনায়, সেই সময় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল ধর্মকে। অর্থাৎ পূর্ববঙ্গের যে বিধায়কেরা বাংলা ভাগ এবং পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেদিন তাঁরা বাংলা ভাষা এবং বাঙালি আবেগের বদলে ধর্মের ভিত্তিতেই ঐক্যকে বেশি জরুরি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। আর ওই ১৯৪৭ সালেই তাঁদের মোহভঙ্গ হতে শুরু করে। কারণ, পূর্ব পাকিস্তানকে মহম্মদ আলি জিন্না ১৯৪৮ সালে ঢাকায় গিয়ে ধমক দিয়ে বলে এসেছিলেন বাংলা ভাষা নিয়ে আন্দোলন করে লাভ নেই। উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। তিনি ঢাকার সমাবেশে বলেছিলেন, যারা বাংলা নিয়ে এই আন্দোলন করছে, তারা আসলে হিন্দুস্তানের এজেন্ট! 
এরপর পূর্ববঙ্গ দেখল দুর্ভিক্ষ। ১৯৪৮-১৯৪৯ সালে জেলায় জেলায় খাদ্যসঙ্কট চরম আকার ধারণ করে। অতঃপর ১৯৫২ সালের ভাষা  আন্দোলন। তার আগে শিক্ষক ধর্মঘট। রেল ধর্মঘট। ১৯৭১-এর গণহত্যা। মুক্তিযুদ্ধ। মুজিবুর রহমানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া। সেই স্বাধীনতার পর প্রথম প্রধানমন্ত্রীকেই নিজের ঘরে সপরিবারে হত্যা করা। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর রহস্যজনক বিমান দুর্ঘটনা। আশির দশকে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা। পূর্ব বঙ্গ থেকে পূর্ব পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ হওয়ার পর পর্যন্ত এই যে ৭৭ বছর কেটে গেল, এখনও সুস্থিতি এল না কেন? অবিরত অনিশ্চয়তা।  
পশ্চিমবঙ্গের একাংশ বাংলাদেশ ব্যাপারটা নিয়ে খুবই আবেগপ্রবণ।  তারা দুঃখ পায় অথবা রেগে যায় যে, বাংলাদেশের একটা বড় অংশ কেন ভারতবিরোধী? কেন ক্রিকেট খেলার সময় ভারতকে তারা সমর্থন করে না? কেন ভারতের পরাজয় দেখলে আনন্দ পায়। কেন ভারত বিদ্বেষের  আঁচ প্রকট? এই যে বিস্মিত হওয়া কিংবা রেগে যাওয়া, এটা বরং বেশি আশ্চর্যের। আসলে ইতিহাস অজ্ঞতা। যে ভূমিখণ্ড ১৯৪৭ সালে ভারতে থাকতে চায়নি, যারা ভারত ও বাংলা থেকে নিজেদের বিযুক্ত করে নিয়েছিল, পাকিস্তানে যোগ দিয়েছিল স্বেচ্ছায়, তাদের মধ্যে বৃহৎ একটি অংশ ভারত বিরোধীই হবে এটা কী এমন একটা সাংঘাতিক বিস্ময়কর তথ্য? 
শেখ মুজিবুর রহমান কেন কিছুটা পৃথক? কারণ তিনি ধর্মান্ধতা থেকে বের করে আনতে চাইছিলেন পূর্ব পাকিস্তানকে। পাকিস্তানের আগ্রাসী ভারত বিরোধী এক উগ্র ইসলামিস্ট ভাবধারা থেকে বিযুক্ত করে নতুন একটি বঙ্গদেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদে দুজন মানুষ পাকিস্তানের অতি উগ্র ধর্মীয় কার্যকলাপ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, এভাবে একটি উন্নত দেশ নির্মাণ করা যাবে না। এই দুজন ছিলেন, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং মুজিবুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর বহু ব্যর্থতা চোখে পড়ছিল। যার অনেকটাই সত্যি। কিন্তু তাঁকে সময় দেওয়া হয়নি একটা সবেমাত্র পাকিস্তানের কবলমুক্ত হওয়া দেশকে গড়ে তোলার। তিন বছরের মধ্যেই দুর্বলতা বুঝে হত্যা করা হয়েছিল। সেটা কাদের প্লট ছিল? 
যারা ভারত ছেড়ে একদিন চলে গিয়েছিল তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমাদের এত উতলা হওয়ার যৌক্তিকতা কী? এত আবেগই বা কেন? ভারত ও বঙ্গবাসী হিসেবে আমাদের এক ও একমাত্র লক্ষ্য কী হওয়া উচিত? ১) ভারতের বন্ধু একটি সরকার যেন বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসীন থাকে ২) ভারতের সীমান্ত যেন সুরক্ষিত থাকে ৩) দুই দেশেরই সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তি যেন দাঁত নখ বের করতে না পারে ৪) ভারতের বাণিজ্যিক স্বার্থ যেন সুরক্ষিত থাকে ৫) সন্ত্রাসের শিকড় যেন উপড়ে ফেলা হয় ৬)  ভারতে জঙ্গি পাচার বন্ধ হয়ে যায় ৭) সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান স্বাভাবিক থাকে। 
এসবই কিন্তু হাসিনার আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর থেকে সুস্থ সম্পর্ক আর কী হতে পারে?  এক মাস আগেও এসবই ছিল। সদ্য ভারতের জন্য সুবিধাজনক কয়েক হাজার কোটি টাকার বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করে গেলেন হাসিনা। বাংলাদেশের পরিকাঠামো নির্মাণে সেই চুক্তি সহায়ক হতো। অথচ ওই আন্দোলনের প্লট সব অনিশ্চিত করে দিয়ে গেল। 
আমাদের এপারের বঙ্গবাসীর একাংশ হঠাৎ ভারতের স্বার্থগুলিকে বিশেষ পাত্তা না দিয়ে কোটা বিরোধী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বুকভরা আশীর্বাদ, প্রাণভরা সমর্থন দিয়ে গেলেন। কেন সমর্থন করেছেন? কারণ তাঁরা জামাত ভাবেননি, বিএনপি ভাবেননি, পাকিস্তান ভাবেননি এবং ভবিষ্যৎ ভাবেননি। তাঁরা ভারতের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে কি না ভাবলেন না। তাঁদের প্রধান আবেগ হল, বাংলাদেশকে স্বৈরাচার থেকে মুক্ত করতে হবে। মায়ানমার নিয়ে তাঁদের ভাবনা হয় না। শ্রীলঙ্কা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। নেপাল নিয়ে মাথা ঘামান না। বাংলাদেশ নিয়ে প্রবল উদ্বিগ্ন। এসব করার সময় তাঁরা ভুলেই যান যে, বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ববঙ্গ এককালে ভারতে থাকতেই চায়নি। তাঁরা ভারতে থাকার তুলনায় পাকিস্তানে যুক্ত হওয়াকেই সঠিক সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। অথচ তাঁদের ভালোমন্দে আমাদের চরম উদ্বেগ! 
বিশেষ করে যারা আন্দোলন করেছে এবং আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে, তাদের কাছে দুটো ভিলেন। শেখ হাসিনা এবং ইন্ডিয়া। তারা গোপনও করেনি সেকথা। ১৯৭১ সালে ভারতের সহায়তা মনে রেখেও ওই অবস্থান। কিন্তু তা সত্ত্বেও এপার বাংলার বাঙালির একাংশ ওই ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করে প্রায় নিজেদের ছাত্র আন্দোলনের প্রবাসী শাখায় পরিণত করেছে। আর তারপর? এখন জ্বলছে বাংলাদেশের সম্পদ। প্রাণ হারাচ্ছে বাংলাদেশিরা। ভারত চরম বিপদের দোরগোড়ায়। কিন্তু যারা ছাত্রদের  আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল, এখন আর তারা সেই ছাত্রদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করছে না যে, ভাই, এসব কী ব্যাপার? তোমাদের সেই ধন্য ধান্য পুষ্প ভরা...কারার ওই লৌহ কপাট... মুক্তির মন্দির সোপান তলে...সেসব কোথায় গেল এখন? প্রশ্ন করা হচ্ছে না যে, তোমাদের আন্দোলন চলাকালীন  কারা ট্রেনে আগুন ধরাচ্ছিল? কারা সরকারি ভবন পুড়িয়ে দিয়েছিল? কারা পুলিসকে পিটিয়ে হত্যা করছিল? তখন ভিড়ের আনন্দে ওসব কথা মনে আসেনি যে আমরা যদি মেধাবী ছাত্র হই, আমাদের সঙ্গে এরা কারা? মবোক্রেসির উচ্ছ্বাসে ওসব ব্যাপারে মাথা ঘামাওনি কেন? আর এখন নিজের দেশবাসীকেই কারা হত্যা করছে? তোমাদেরই তো মিছিলে ছিল এরা। 
বলা হচ্ছে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। বলা হচ্ছে এটা মুক্তিযুদ্ধ। গণ অভ্যুত্থান। শেখ মুজিবের মূর্তি ভাঙা হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের মূর্তি ভাঙা হচ্ছে। বাংলাদেশ একটি অন্য দেশ। তাদের মোট কতগুলো স্বাধীনতা দিবস হবে, তারা রবীন্দ্রনাথকে ‘কাফের’ কবি ভাবে কি না সেটা একান্তভাবেই তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের মতামত দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাদের কাছেও আমাদের কথা বা মতামতের গুরুত্ব নেই। যদি তাদের সমর্থন করি, তাহলে আমরা ভালো। যদি তাদের বিরোধিতা করি, তাহলে আমরা খারাপ! অতএব আমরা পক্ষপাতহীন। কেন? কারণ ওই যে! তারা তো আমাদের সঙ্গে ১৯৪৭ সালে থাকতে চায়নি! তারা ম্যাচিওরড একটি রাষ্ট্র। নিজের ভালো নিজেরাই ঠিক করবে। ভারত নাকি পাকিস্তান? কে তাদের বন্ধু? সেটা তো তারাই সিদ্ধান্ত নেবে! এখানে জোরাজুরি হয় নাকি? তাদের নতুন সরকার ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখলে ভারতও রাখবে। আর বিদ্বেষপূর্ণ হলে ভারতও সেইমতো অবস্থান নেবে। এটাই তো কূটনীতি! এখানে আবেগ কোথায়! 
আমাদের একটাই স্বাধীনতা দিবস। আমাদের একটা সাধারণতন্ত্র দিবস আছে। আমাদের একটা সংবিধান দিবস আছে। মবোক্রেসি নয়, ৭৭ বছর ধরে আমাদের চালিকাশক্তি ডেমোক্রেসি! দেশভাগ করে দিয়ে ওরা যেটা পেলই না! দেশভাগ করে কাদের ক্ষতি হল? কাদের লাভ হল? 
09th  August, 2024
প্যারিসের ওলিম্পিক্স ভিলেজ যেন পাশ্চাত্যের বস্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

ওলিম্পিক গেমসকে বলা হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। ক্রীড়াবিদদের চমকে দেওয়া পারফরমেন্স, টান টান লড়াই, রেকর্ড ভাঙার অদম্য ইচ্ছা, পদক জয়ের জন্য নিজেকেও ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা— এসব দেখে মনে হয় ওলিম্পিক গেমস সত্যিই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। বিশদ

জাস্টিস ফর আর জি কর
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি অভয়ার আসল নাম জানেন? তার হাতের লেখা কেমন ছিল? কিংবা তার ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর? মৃত্যুর পর কেমন দেখতে হয়েছিল তাকে? হয়তো জানেন। সৌজন্যে? সোশ্যাল মিডিয়া। অথচ, এমন কোনওটাই আপনার-আমার জানার কথা ছিল না। বিশদ

20th  August, 2024
সেবি: মাধবীর পদত্যাগ ও নতুন তদন্ত জরুরি
পি চিদম্বরম

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (সেবি) উদ্ঘাটিত কাহিনির প্রতি বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক দুনিয়ার দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে। 
বিশদ

19th  August, 2024
রাজনীতি থামিয়ে দ্রুত বিচার চাই
হিমাংশু সিংহ

আর জি কর হাসপাতালে যা ঘটেছে তা বাঙালির কাছে লজ্জার। মানবতার এমন পরাজয়ে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে আমাদের সবার। শিউরে উঠেছে বিবেক। রবীন্দ্রনাথের বাংলায় মানুষ কি দিনদিন পশু হয়ে যাচ্ছে? অল্পবয়সি এক ডাক্তারের এমন মর্মান্তিক পরিণতি আমাদের যত্নে লালন করা বাঙালি অস্মিতাকেই সজোরে আঘাত করেছে, রক্তাক্ত হয়েছে যাবতীয় বোধ, বুদ্ধি, অনুভূতি। বিশদ

18th  August, 2024
এবার নতুন চক্রান্ত: বাঙালি খেদাও
তন্ময় মল্লিক

আর জি করের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছে বাংলা। ন্যায়বিচারের দাবিতে শুধু চিকিৎসকরাই নন, গোটা রাজ্য এককাট্টা। অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা  বেরিয়ে আসবে সিবিআই তদন্তে। বিশদ

17th  August, 2024
শুধুই এক টুকরো ত্রিবর্ণের আবেগ?
মৃণালকান্তি দাস

তিষশাস্ত্রবিদরা বলেছিলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দিনটা নাকি শুভ নয়! তাই ১৪ তারিখ রাত এগারোটা বাজার আগেই দিল্লিতে গণপরিষদের সভা বসেছিল। বিশদ

15th  August, 2024
নতুন ছবি, ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা!
হারাধন চৌধুরী

আজ ১৪ আগস্ট। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস ভারতের। ৭৭ বছর আগে এক ভারত পৃথগন্ন হয়ে এই দুটি তারিখে নতুন রাষ্ট্রিক পরিচয় গ্রহণ করেছিল। আর এই দিনদুটির মাঝখানে দোলাচলেই ছিল সাবেক ‘পূর্ব পাকিস্তান’। বিশদ

14th  August, 2024
কতটা শাস্তি হলে তবে সিস্টেম বদলানো যায়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নির্ভয়াকে মনে আছে আমাদের? সেই যে প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী। বাড়ি ফিরছিল বন্ধুর সঙ্গে। দোষের মধ্যে, রাতটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। আর রাত বাড়লেই যে মানব সমাজের অন্দরে লুকিয়ে থাকা পশুগুলো খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। সেবারও এসেছিল।
বিশদ

13th  August, 2024
গণতন্ত্রের খামতিরই চরম মূল্য দিল বাংলাদেশ
পি চিদম্বরম

১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই আমেরিকার তেরোটি রাজ্য তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯-১৭৯৯) পর অতিবাহিত হয়েছে দুই শতকেরও বেশিকাল।
বিশদ

12th  August, 2024
‘মৌলবাদী’ বাংলাদেশ বড় বিপদ পশ্চিমবঙ্গের কাছে
হিমাংশু সিংহ

ভুলটা কার? শুধুই হাসিনার? নাকি মাত্র সাত মাস আগে সেদেশের নির্বাচনে একতরফা জয়ের পর শাসক আওয়ামি লিগের দ্রুত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের গোয়েন্দা ব্যর্থতাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত! প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিদেশের মাটিতে সম্ভ্রম জাগানো ‘র’ তাহলে কী করছিল, বিন্দুবিসর্গও টের পায়নি?
বিশদ

11th  August, 2024
এটা কি অন্নদাতাদের সম্মান, না অপমান!
তন্ময় মল্লিক

‘লাঙলের টুকরোর স্ট্যাচুই কৃষকদের সর্বোচ্চ সম্মান।’ দিল্লিতে আন্তর্জাতিক কৃষি-অর্থনীতিবিদদের সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একথা বলার কারণ? দেশের কৃষকরা যে তাঁর আমলেই সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছে, সেটা বিশ্ববাসীকে বোঝানো। বিশদ

10th  August, 2024
এই বর্ষায় ‘বসন্ত’ ফিরেছে বাংলাদেশে!
মৃণালকান্তি দাস

আরব বসন্তের আঁতুড়ঘর ছিল তিউনিসিয়া! ২০১০-এর ১৭ ডিসেম্বর পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে মহম্মদ বওয়াজি নামে এক যুবক প্রকাশ্যে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এমনিতেই গোটা দেশ দমন-পীড়ন, দুর্নীতি আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোমড়াচ্ছিল। বিশদ

08th  August, 2024
একনজরে
মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ)-র হাত ধরতে চায় আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)। চলতি বছরেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ...

ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচ খেলতে বুধবার জামশেদপুর যাচ্ছে মোহন বাগান। প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব এফসি। তবে এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার জেমি ম্যাকলারেন ও আশিক কুরুনিয়ানকে পাচ্ছে না সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ...

কুসংস্কার-বিরোধী, যুক্তিবাদী চিকিৎসক নরেন্দ্র দাভোলকরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দেশজুড়ে ন্যাশনাল সায়েন্স টেম্পার ডে (এনএসটিডি) পালিত হল। এনএসটিডির সপ্তম বর্ষে জোর দেওয়া হয়েছে কলকাতা সায়েন্স টেম্পার ডিক্লারেশনের উপরে। ...

রপ্তানি ক্ষেত্রে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির খনিজ ও আকরিকের উপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে ওঠার পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। মঙ্গলবার শহরে সিআইআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পূর্ব ভারতের উন্নয়নে কেন্দ্র আলাদা বাজেট বরাদ্দ করেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস
১৬১৩- বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর মৃত্যু
১৯০৮ - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী তথা কৃষিতে জৈব সার ব্যবহারের পথিকৃৎ পরমনাথ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯১১- লিওনার্দো দা ভিঞ্চির  মোনালিসা ছবিটি লুভারস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়
১৯৩১- গায়ক বিষ্ণু দিগম্বর পালুসকরের মৃত্যু
১৯৭২- বন সংরক্ষণ আইন চালু হল
১৯৭৮- ভিনু মানকড়ের মৃত্যু
১৯৭৮- অভিনেত্রী ভূমিকা চাওলার জন্ম
১৯৮৬- জামাইকার স্প্রিন্টার উসেইন বোল্টের জন্ম
১৯৯৫- ভারতের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখরের মৃত্যু
২০০৬- বিশিষ্ট সানাইবাদক ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৪ টাকা ৮৪.৭৮ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৪ টাকা ১১০.৬৮ টাকা
ইউরো ৯১.৩৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৫,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৫,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া ২৯/৩০ অপরাহ্ন ৫/৭। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৮/৮ রাত্রি ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/১৯/১৬, সূর্যাস্ত ৬/০/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১১/১৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১০/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৫ মধ্যে। 
৪ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৮/১৬। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৬/২৬ পরে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১/৩০ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৫ গতে ৩/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/৪১ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
১৬ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:57:35 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সুপার হলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

11:01:43 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হলেন ডাঃ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

10:46:34 PM

আর জি কর কাণ্ড: আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে চার আধিকারিককে বদলি করল স্বাস্থ্য ভবন

10:41:39 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর

10:05:02 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

10:02:32 PM