Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘মৌলবাদী’ বাংলাদেশ বড় বিপদ পশ্চিমবঙ্গের কাছে
হিমাংশু সিংহ

ভুলটা কার? শুধুই হাসিনার? নাকি মাত্র সাত মাস আগে সেদেশের নির্বাচনে একতরফা জয়ের পর শাসক আওয়ামি লিগের দ্রুত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের গোয়েন্দা ব্যর্থতাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত! প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিদেশের মাটিতে সম্ভ্রম জাগানো ‘র’ তাহলে কী করছিল, বিন্দুবিসর্গও টের পায়নি? নাকি গোয়েন্দারাও তোষামোদি আর ‘অব কি বার ৪০০ পারের স্বপ্ন ফেরিতেই বুঁদ ছিল গত অর্ধবর্ষ। কোথায় কী ঘটছে, তার খবরাখবর রাখায় মন ছিল না। নাহলে জুন মাসে দু’সপ্তাহের ব্যবধানে হাসিনা দু’বার দিল্লি ঘুরে গেলেও কেউ কিচ্ছু আঁচ পেলেন না। এবং তারপরই চীন সফরে গিয়ে চরম অপমানিত হয়ে ফিরেছিলেন মুজিবুর কন্যা। প্রতিশ্রুতি দিয়েও বাংলাদেশকে বড় মাপের ঋণ দিতে অস্বীকার করে জিনপিং সরকার। সেই কূটনৈতিক অপমান হজম করতে না পেরে সফর কাটছাঁট করে আগেই ঢাকায় ফিরে আসেন তিনি। বেজিংয়ের ওই আচরণের পরও সেদিন দিল্লি কেন আসল সত্যিটার খোঁজ নিল না, তা গভীর রহস্যেই ঢাকা থাকবে চিরদিন।
এটা ঠিক, এই কঠিন সময়ে বিদেশ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা বেমানান। উচিতও নয়। যে কোনও আর্ন্তজাতিক বিপর্যয়ের সময় সরকার ও বিরোধী 
পক্ষ অন্তত এই একটা ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয়েই চলে। এটাই আমাদের রাজনৈতিক সৌজন্য ও শিক্ষা। এবারও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু গত কয়েক বছরে পাকিস্তানে কট্টরপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত, বছরখানেক আগে ইমরান খানের গ্রেপ্তার, শ্রীলঙ্কার অভূতপূর্ব আর্থিক সঙ্কট এবং দু’বছর আগে রাজাপাক্ষের দেশত্যাগের পিঠোপিঠি এবার বাংলাদেশে হাসিনার আচমকা পতন ও কোথাও আশ্রয় না পেয়ে প্রাণভয়ে দিল্লিতে পালিয়ে আসা এপারের অস্বস্তি বাড়াতে বাধ্য। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সেদেশের সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকারের হুঁশিয়ারি, ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রনেতাকে যেন বেশিদিন আশ্রয় না দেয় দিল্লি। বারে বারে ঘুরে আসে একটাই অভিযোগ, ভারত সরকার যখন হাসিনাকে আশ্রয় দিতে পারল তাহলে আগাম ঢাকার নিয়ন্ত্রণ যে দ্রুত মুজিবুর কন্যার হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, সেই ব্যাপারে সতর্ক করেনি কেন? অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ তো ২৪০’এ থেমে যাওয়ার চেয়ে এই মুহূর্তে শাসক বিজেপি’র কাছে কম বড় জ্বালা নয়। তার অভিঘাত এ দেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির নাগরিক জীবনকে টালমাটাল করে দিতে পারে আগামী দিনে। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের।
গত সোমবার বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙার নির্মম দৃশ্য দেখে এই একটা প্রশ্ন বারবার ঘুরে ঘুরে আসছে, দেশের বড় অংশের মানুষ যে পুরোপুরি বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে, তা ঘুণাক্ষরে কেন বুঝতে পারলেন না বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সময়ের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দু’শো বিচ্যুতির মধ্যে প্রথম ভুল, বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ‘রাজাকার’ মন্তব্য করা। দ্বিতীয় ভুল, আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে আওয়ামি লিগের সংগঠন ছাত্র লিগকে লেলিয়ে দেওয়া। আর তৃতীয় ভুল, ছাত্রদের উপর পুলিসকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া। এখান থেকেই পুরো আন্দোলনটা অন্যদিকে মোড় নেয়। সেনা নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় যে সরকার গঠিত হয়েছে তা কতটা ছাত্রদের দাবিকে সম্মান জানাবে, সন্দেহ আছে। ইউনুস সাহেবকেই বা সবাই মেনে নেয় কি না, সেটাও দেখার। কিন্তু আওয়ামি লিগের একাধিপত্য যে বলপূর্বক উপর থেকে চাপানো ছিল, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
একইসঙ্গে বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ সব শ্রেণির শাসককুলের কাছেও বড় শিক্ষা। যেনতেনপ্রকারেণ ভোটে জেতার অর্থই জনগণ ষোলোআনা সঙ্গে, তার কোনও মানে নেই। বিশেষ করে সিংহভাগ বিরোধী দলই যদি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করে, তাহলে শাসকের বিরুদ্ধে আঙুল উঠতে বাধ্য। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় গণতন্ত্রে অভিশাপ। একসময় বিস্ফোরণ হতে বাধ্য। বাংলাদেশের বর্তমান অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, বাধ্য হয়ে হাসিনার দেশত্যাগ দুনিয়ার ক্ষমতার কারবারিদের সেই মোক্ষম শিক্ষাই দিয়ে গেল। ক্ষমতার দম্ভে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে কুক্ষিগত করার মাশুল আজ না হয় কাল দিতেই হবে। মাত্র সাত মাস আগেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অধিকাংশ বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে হেলায় সেই ভোট লড়াইয়ে জয়ীও হন মুজিবুর কন্যা হাসিনা। সেই দিক দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে হাসিনা সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের রাষ্ট্রনায়ক। কিন্তু প্রদীপের তলাতেই যে এত অন্ধকার কে জানত? ২০০৮ সালে একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু তারপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে পরপর যে তিনটি নির্বাচনে জিতে তিনি গদি ধরে রাখেন, সেগুলি খুবই বিতর্কিত, একপেশে ছিল। কারণ বহু বিরোধী নেতানেত্রীকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। মামলা থেকে বাঁচতে অনেকেই বিদেশে পাড়ি দেন। মুজিবুর কন্যা ক্ষমতাকে এতটাই কেন্দ্রীভূত করেছিলেন যে তাঁকে অপরাজেয় বলেই মনে হচ্ছিল। এই বিরোধীশূন্য আবহে নির্বাচনে জয়লাভ যে আখেরে ব্যুমেরাং হতে বাধ্য, ইতিহাসের এই পাঠ মুজিবুর কন্যা নেননি। ছাত্র আন্দোলনের নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহের আড়ালে গত সোমবার একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি আবারও তা মনে করিয়ে দিল নির্মমভাবে। তাঁর বহু স্মৃতিবিজড়িত বাসভবন, ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে লুটপাট চলল, ভাঙচুর হল। দেশে-বিদেশে যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সাফল্যের জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন, সেই উন্নয়নকে নিমেষে ম্লান করে লাগামহীন দুর্নীতির পাল্টা জবাব এই বিক্ষোভের মাধ্যমে বেরিয়ে এল ঢাকার রাজপথে। তা সঙ্কট ডেকে আনল পড়শি এপার বাংলাতেও। 
মোদিজি যতই কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত চষে বেড়ান, নিজেকে স্বঘোষিত বিশ্বগুরু সাজিয়ে ভাবমূর্তির মারকাটারি বিপণনে মন দিয়ে থাকুন, এই উপমহাদেশে দিল্লির কূটনৈতিক কর্তৃত্ব কিন্তু ধাক্কা খাচ্ছে বারবার। একের পর এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কট্টর ভারত বিরোধী মনোভাব মোটেই আমাদের বিদেশ নীতির ভালো বিজ্ঞাপন হতে পারে না। এটা ঠিক, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া পাকিস্তানকে ক্রমাগত অক্সিজেন দিচ্ছে চীন। মূলত ভারতকে চাপে ফেলতে। নেপাল, ভুটান থেকে মায়ানমারও ইদানীং আর্থিক প্রয়োজনে দিল্লির তুলনায় বেশি শুনছে বেজিংয়ের কথা। এর উপর বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশও কট্টর সেনা, বিএনপি, ছাত্র ও জামাত নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে দিল্লির বিপদ বড় কম নয়। এমনও খবর আছে, একটা নির্ভেজাল ছাত্র আন্দোলনকে হাইজ্যাক করে পাকিস্তানের আইএসআই ও সেনার মদতে পিছন থেকে গোটা অপারেশনটা পরিচালনা করেছে চীনই। লক্ষ্য ভারতকে এই উপমহাদেশে ক্রমেই একঘরে করা। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে যাচ্ছে চীন ও পাকিস্তান। প্যারিস থেকে উড়িয়ে এনে ইউনুস সাহেবকে এই সরকারের মাথা করার পিছনেই বা কোন বৃহৎ শক্তির হাত?
কিন্তু সব ছাপিয়ে মূল প্রশ্ন, পদ্মাপারে নাগরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে এদেশে সবচেয়ে বড় 
ক্ষতি কোন রাজ্যের? পাকিস্তান অগ্নিগর্ভ হলে তার ছাপ পড়ে কাশ্মীরে, পাঞ্জাবে। আর বাংলাদেশ? বারবার প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশের সঙ্গে এরাজ্যের স্থলসীমানা প্রায় ২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি জুড়ে বিস্তৃত। এছাড়া জলসীমানাও আছে। সীমান্ত বরাবর রয়েছে ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম, অসম সহ উত্তর-পূর্বের বিস্তীর্ণ এলাকা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দু’কোটিরও বেশি মানুষ এপারে এসে আশ্রয় নেয়। ঢাকা, কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, যশোর, চট্টগ্রাম থেকে দলে দলে শরণার্থী ঢোকার সেই দুঃসহ স্মৃতিই কি আবার ফিরে আসছে এপার বাংলায়? হাবড়া, বনগাঁ, সুন্দরবন, বসিরহাট, কোচবিহার তার সাক্ষী। এর প্রভাব পড়ে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে, যা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে এখানকার ব্যবসা বাণিজ্য, বেকার সমস্যা এবং রুটিরুজির ক্ষতের সঙ্গে। সেইসঙ্গে দেশভাগের দুঃসহ স্মৃতি। এখন ওপারের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। তাই বিপদও বেশি।
এটা ঠিক, অরাজকতা চিরদিনই বিপন্ন মানুষকে রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল শান্ত ভূখণ্ডের দিকেই টেনে নিয়ে যায়। ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তাই ঘটেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ এবারও পশ্চিমবঙ্গে  ঢুকতে মরিয়া। মূল উদ্বেগের বিষয় প্রাণ বাঁচাতে সীমান্তের ওপারের সংখ্যালঘুরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে ভারত সরকারের ভূমিকা কী হবে? সরকারিভাবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, হাট করে দরজা খোলা হবে না। কিন্তু একইসঙ্গে শীতলকুচি, ইসলামপুর, দক্ষিণ বেরুবাড়ি, হিলি সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার অপেক্ষায় ওপারের মানুষজন। এরা সবাই কিন্তু নির্যাতিত হিন্দু সংখ্যালঘু নন। আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার সুযোগ নিয়ে জেল ভাঙা দাগী অপরাধীরাও মিশে গিয়েছে ভিড়ে। যদি তাদের একজনও ঢোকে, তাহলে এপারে নাশকতার আশঙ্কাই বাড়বে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি যার অনিবার্য পরিণতি। মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসতেই মৌলবাদীরা উৎসাহিত হয়ে উঠেছে। কট্টরপন্থী জামাত এবং তার সঙ্গীসাথীদের গোপন এজেন্ডা স্পষ্ট, বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব ভারত ও বিহারের কাটিহার, কিষানগঞ্জকে নিয়ে ইসলামিক বাংলাস্তান গঠন। নিঃসন্দেহে আমাদের রাজ্যের পক্ষে এমন পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। এই ষড়যন্ত্রকে কিছুতেই সফল হতে দেওয়া যাবে না। অঙ্কুরেই বিনষ্ট করতে হবে, অন্যথায় সর্বনাশ। সেই কারণেই আগামী ৬ মাস বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী প্রতিটি রাজ্য, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের দিকে কড়া নজর রাখতে হবে, যাতে মৌলবাদীদের পরিকল্পনা সফল হতে না পারে।
সম্ভবত মুজিবুর কন্যা নিজেও আন্দাজ করতে পারেননি তাঁর জনসমর্থনের ভিত ধ্বংস করে দিয়েছে তোষামোদির উইপোকা। তাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতেই চেয়েছিলেন। আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের এই জমে থাকা ক্ষোভের বিন্দুমাত্র আঁচ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে ছিল না, এটাই বিস্ময়ের। জনসমর্থন হারালে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সরকার কঠোরভাবে বলপ্রয়োগের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, যা সারা দেশে ভয় ও দমনের পরিবেশ তৈরি করে। সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের সমালোচনার কণ্ঠরোধ করতে এবং অনলাইনে প্রচার ঠেকাতে হাসিনা সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও জারি করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
ভারতের পক্ষে এই পরিস্থিতি ঢাকার চেয়ে কম চ্যালেঞ্জিং নয়। তবে যিনিই দায়িত্বে আসুন, ভারতের একটাই চাহিদা, পরিস্থিতি দ্রুত স্থিতিশীল হোক। 
সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে আসুক। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় আসুক, নাহলে এপারেও স্বস্তি ফিরবে না। কাঁটাতারের ওপারে ভিড় বাড়তেই থাকবে। 
11th  August, 2024
প্যারিসের ওলিম্পিক্স ভিলেজ যেন পাশ্চাত্যের বস্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

ওলিম্পিক গেমসকে বলা হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। ক্রীড়াবিদদের চমকে দেওয়া পারফরমেন্স, টান টান লড়াই, রেকর্ড ভাঙার অদম্য ইচ্ছা, পদক জয়ের জন্য নিজেকেও ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা— এসব দেখে মনে হয় ওলিম্পিক গেমস সত্যিই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। বিশদ

জাস্টিস ফর আর জি কর
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি অভয়ার আসল নাম জানেন? তার হাতের লেখা কেমন ছিল? কিংবা তার ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর? মৃত্যুর পর কেমন দেখতে হয়েছিল তাকে? হয়তো জানেন। সৌজন্যে? সোশ্যাল মিডিয়া। অথচ, এমন কোনওটাই আপনার-আমার জানার কথা ছিল না। বিশদ

20th  August, 2024
সেবি: মাধবীর পদত্যাগ ও নতুন তদন্ত জরুরি
পি চিদম্বরম

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (সেবি) উদ্ঘাটিত কাহিনির প্রতি বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক দুনিয়ার দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে। 
বিশদ

19th  August, 2024
রাজনীতি থামিয়ে দ্রুত বিচার চাই
হিমাংশু সিংহ

আর জি কর হাসপাতালে যা ঘটেছে তা বাঙালির কাছে লজ্জার। মানবতার এমন পরাজয়ে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে আমাদের সবার। শিউরে উঠেছে বিবেক। রবীন্দ্রনাথের বাংলায় মানুষ কি দিনদিন পশু হয়ে যাচ্ছে? অল্পবয়সি এক ডাক্তারের এমন মর্মান্তিক পরিণতি আমাদের যত্নে লালন করা বাঙালি অস্মিতাকেই সজোরে আঘাত করেছে, রক্তাক্ত হয়েছে যাবতীয় বোধ, বুদ্ধি, অনুভূতি। বিশদ

18th  August, 2024
এবার নতুন চক্রান্ত: বাঙালি খেদাও
তন্ময় মল্লিক

আর জি করের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছে বাংলা। ন্যায়বিচারের দাবিতে শুধু চিকিৎসকরাই নন, গোটা রাজ্য এককাট্টা। অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা  বেরিয়ে আসবে সিবিআই তদন্তে। বিশদ

17th  August, 2024
শুধুই এক টুকরো ত্রিবর্ণের আবেগ?
মৃণালকান্তি দাস

তিষশাস্ত্রবিদরা বলেছিলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দিনটা নাকি শুভ নয়! তাই ১৪ তারিখ রাত এগারোটা বাজার আগেই দিল্লিতে গণপরিষদের সভা বসেছিল। বিশদ

15th  August, 2024
নতুন ছবি, ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা!
হারাধন চৌধুরী

আজ ১৪ আগস্ট। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস ভারতের। ৭৭ বছর আগে এক ভারত পৃথগন্ন হয়ে এই দুটি তারিখে নতুন রাষ্ট্রিক পরিচয় গ্রহণ করেছিল। আর এই দিনদুটির মাঝখানে দোলাচলেই ছিল সাবেক ‘পূর্ব পাকিস্তান’। বিশদ

14th  August, 2024
কতটা শাস্তি হলে তবে সিস্টেম বদলানো যায়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নির্ভয়াকে মনে আছে আমাদের? সেই যে প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী। বাড়ি ফিরছিল বন্ধুর সঙ্গে। দোষের মধ্যে, রাতটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। আর রাত বাড়লেই যে মানব সমাজের অন্দরে লুকিয়ে থাকা পশুগুলো খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। সেবারও এসেছিল।
বিশদ

13th  August, 2024
গণতন্ত্রের খামতিরই চরম মূল্য দিল বাংলাদেশ
পি চিদম্বরম

১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই আমেরিকার তেরোটি রাজ্য তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯-১৭৯৯) পর অতিবাহিত হয়েছে দুই শতকেরও বেশিকাল।
বিশদ

12th  August, 2024
এটা কি অন্নদাতাদের সম্মান, না অপমান!
তন্ময় মল্লিক

‘লাঙলের টুকরোর স্ট্যাচুই কৃষকদের সর্বোচ্চ সম্মান।’ দিল্লিতে আন্তর্জাতিক কৃষি-অর্থনীতিবিদদের সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একথা বলার কারণ? দেশের কৃষকরা যে তাঁর আমলেই সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছে, সেটা বিশ্ববাসীকে বোঝানো। বিশদ

10th  August, 2024
দেশভাগ করে ৭৭ বছরে কী পেল প্রতিবেশীরা?
সমৃদ্ধ দত্ত

পরকালের কোনও অদৃশ্য নো ম্যানস ল্যান্ডে দাঁড়িয়ে এখন হয়তো জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী এবং বল্লভভাই প্যাটেলরা হাসতে হাসতে  মহম্মদ আলি জিন্নাকে বলছেন, কী ব্যাপার জিন্না সাহেব! দেশভাগ করে তাহলে কী পেলেন? বিশদ

09th  August, 2024
এই বর্ষায় ‘বসন্ত’ ফিরেছে বাংলাদেশে!
মৃণালকান্তি দাস

আরব বসন্তের আঁতুড়ঘর ছিল তিউনিসিয়া! ২০১০-এর ১৭ ডিসেম্বর পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে মহম্মদ বওয়াজি নামে এক যুবক প্রকাশ্যে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এমনিতেই গোটা দেশ দমন-পীড়ন, দুর্নীতি আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোমড়াচ্ছিল। বিশদ

08th  August, 2024
একনজরে
ইস্কো কারখানার সম্প্রসারণ নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের জনশুনানিতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কর্মসংস্থান না দেওয়া, এলাকার উন্নয়ন না করা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কারখানা সংলগ্ন এলাকার মানুষজন। ...

রপ্তানি ক্ষেত্রে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির খনিজ ও আকরিকের উপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে ওঠার পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। মঙ্গলবার শহরে সিআইআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পূর্ব ভারতের উন্নয়নে কেন্দ্র আলাদা বাজেট বরাদ্দ করেছে। ...

ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচ খেলতে বুধবার জামশেদপুর যাচ্ছে মোহন বাগান। প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব এফসি। তবে এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার জেমি ম্যাকলারেন ও আশিক কুরুনিয়ানকে পাচ্ছে না সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ...

কুসংস্কার-বিরোধী, যুক্তিবাদী চিকিৎসক নরেন্দ্র দাভোলকরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দেশজুড়ে ন্যাশনাল সায়েন্স টেম্পার ডে (এনএসটিডি) পালিত হল। এনএসটিডির সপ্তম বর্ষে জোর দেওয়া হয়েছে কলকাতা সায়েন্স টেম্পার ডিক্লারেশনের উপরে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস
১৬১৩- বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর মৃত্যু
১৯০৮ - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী তথা কৃষিতে জৈব সার ব্যবহারের পথিকৃৎ পরমনাথ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯১১- লিওনার্দো দা ভিঞ্চির  মোনালিসা ছবিটি লুভারস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়
১৯৩১- গায়ক বিষ্ণু দিগম্বর পালুসকরের মৃত্যু
১৯৭২- বন সংরক্ষণ আইন চালু হল
১৯৭৮- ভিনু মানকড়ের মৃত্যু
১৯৭৮- অভিনেত্রী ভূমিকা চাওলার জন্ম
১৯৮৬- জামাইকার স্প্রিন্টার উসেইন বোল্টের জন্ম
১৯৯৫- ভারতের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখরের মৃত্যু
২০০৬- বিশিষ্ট সানাইবাদক ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৪ টাকা ৮৪.৭৮ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৪ টাকা ১১০.৬৮ টাকা
ইউরো ৯১.৩৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৫,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৫,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া ২৯/৩০ অপরাহ্ন ৫/৭। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৮/৮ রাত্রি ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/১৯/১৬, সূর্যাস্ত ৬/০/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১১/১৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১০/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৫ মধ্যে। 
৪ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৮/১৬। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৬/২৬ পরে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১/৩০ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৫ গতে ৩/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/৪১ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
১৬ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:57:35 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সুপার হলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

11:01:43 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হলেন ডাঃ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

10:46:34 PM

আর জি কর কাণ্ড: আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে চার আধিকারিককে বদলি করল স্বাস্থ্য ভবন

10:41:39 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর

10:05:02 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

10:02:32 PM