Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এই বর্ষায় ‘বসন্ত’ ফিরেছে বাংলাদেশে!
মৃণালকান্তি দাস

আরব বসন্তের আঁতুড়ঘর ছিল তিউনিসিয়া! ২০১০-এর ১৭ ডিসেম্বর পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে মহম্মদ বওয়াজি নামে এক যুবক প্রকাশ্যে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এমনিতেই গোটা দেশ দমন-পীড়ন, দুর্নীতি আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোমড়াচ্ছিল। বওয়াজির সেই গায়ের আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশে। ৪ জানুয়ারি বওয়াজির মৃত্যুতে সিদি শহরের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ গর্জে উঠেছিল। তারপর দিন দশেক ধরে দেশের সর্বত্র বিক্ষোভ এবং সরকারি বাহিনীর সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেল যে, তিউনিসিয়ার স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট জিন-এল-আবেদিন বেন আলি পালিয়ে সৌদি আরবে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেটা ছিল ১৪ জানুয়ারি। ক্ষমতায় এসেছিলেন শাসকদলের স্পিকার এবং বেশ কয়েকটি দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু জনতা তাতে খুশি নয়। তারা ওই জমানার পুরোপুরি বিলুপ্তি এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে গোঁ ধরে রইল। জনতাই জিতল। ২০১১-র অক্টোবরে সংসদীয় ভোট হল। কয়েকটি ধর্মনিরপেক্ষ দলকে সঙ্গে নিয়ে এনহাদা ইসলামি পার্টি কোয়ালিশন সরকার গড়ল।
তিউনিসিয়ায় শুরু হলেও বসন্তের পলাশ ফুটল আরও কয়েকটি আরব দেশে। জানুয়ারিতে যখন তিউনিস জনতা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল, সেই সময় মিশরের মানুষও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়াজ তুলল। তারা চিৎকার করে বলল, ‘হোসনি মুবারক, তোমার জন্য বিমান নিয়ে অপেক্ষা করছে বেন আলি।’ গোটা দেশ কায়রোয় জড়ো হল। কায়রোর সব রাস্তা মিশল ‘তাহরির স্কোয়ারে।’ ২৫ জানুয়ারি যে গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তা চলল ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ওই দিন হোসনি মুবারক পদত্যাগ করলেন। বলা ভালো, জনতা পদত্যাগ করতে বাধ্য করল। ২০১১-এ তিউনিসিয়ায় যা শুরু হয়েছিল, অচিরেই তা মরু-বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল। তিউনিসিয়া, মিশরের পাশাপাশি লিবিয়া, ইয়েমেন, বাহরিন, সিরিয়া, মরক্কো, জর্ডনেও স্বৈরাচারী ও পারিবারিক একনায়কতন্ত্রী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ রাস্তায় নামল। লিবিয়ার কুখ্যাত শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গদ্দাফির অপসারণের দাবিতে উত্তাল হল গোটা দেশ। ২০ অক্টোবর টিভি চ্যানেলগুলি গোটা দুনিয়াকে দেখাল, কীভাবে স্বৈরাচারী গদ্দাফিকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে মারছে একদল যুবক। কেউ খোঁজ নেয়নি, সেই যুবক কারা? এখন তারা কোথায়? সেদিন আরব দুনিয়ার একের পর এক দেশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার দায় কার?
গোটা দুনিয়া শুধু দেখেছে, একটার পর একটা দেশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর কীভাবে মরুদেশগুলি থেকে চিরতরে বসন্ত পালিয়ে গিয়েছে। আজ আরবের আকাশে শুধুই যুদ্ধবিমান আর মাটিতে ভ্রাতৃঘাতী ইসলামি উন্মাদনা। শুধু তিউনিসিয়াতেই নয়, আরবের যে সব দেশে ‘বসন্ত’ এসেছিল, তার কোনওটিতেই তা স্থায়ী হতে পারেনি। একনায়কতন্ত্র বা পরিবারতন্ত্র উৎখাত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার যোগ্য দাবিদার না থাকায় একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। সেই শূন্যতাকে ব্যবহার করেছে উগ্র ইসলামি গোষ্ঠীগুলি। প্রতিটি দেশে চলছে গৃহযুদ্ধ। হানাহানি। দলে দলে যুবক যোগ দিচ্ছে বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীতে। ওই গোষ্ঠীগুলি জানে, বেকার, গরিব ও ধর্মান্ধ যুবকদের নিজেদের দলে টানা সহজ। অথচ, সেই সব দেশের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীরা আজ উধাও। এরাই তো একসময় ‘কুখ্যাত’ শাসকের তকমা দিয়ে বেন আলি, গদ্দাফিদের পতন চেয়েছিলেন। ডেকে এনেছিলেন ‘আরব বসন্ত’। সেই সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের কেউ প্রশ্ন করার নেই— গদ্দাফিহীন লিবিয়ায় এতদিনেও শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হল না কেন? কেন দিনের পর দিন সিরিয়ার নিরাপরাধ মানুষদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মরতে হচ্ছে? চোদ্দ বছর আগে লিবিয়া, সিরিয়া বা ইয়েমেনে জনতার হুঙ্কার যে বসন্তের উপস্থিতি ঘোষণা করেছিল, তা আজ বেপাত্তা। ওই তিনটি দেশই এখন গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত, দিশেহারা। বাকি আরব দেশগুলিতে কায়েম হয়েছে অভিজাত শ্রেণির শাসন-ই। যা অতীত, তাই বর্তমান...।
অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের ঘটনা দেখলে ভয় হয়। সেই একই ছবি। সেই গৃহযুদ্ধ, আগুন, ধ্বংসলীলা। দেখে মনে হবে, ভরা বর্ষায় সেখানকার তথাকথিত ছাত্রসমাজ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকরা যেন ‘বসন্ত’ খোঁজার চেষ্টা করেছেন। ২০২৩-এ বাংলাদেশে ভোটের আগে এই কথাই তো বলেছিলেন মস্কোয় রুশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে আরব বসন্ত তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আমেরিকা। ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজের একাংশকে সঙ্গে নিয়ে এই ষড়যন্ত্র করছেন।’ সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে অনেকে উড়িয়ে দিলেও, বাংলাদেশ অগ্নিগর্ভ হতে বেশি সময় লাগেনি।
প্রথমে কোটা আন্দোলন দিয়ে শুরু। তারপর কোটা সমস্যা মিটতেই নয় দফা আন্দোলনের ডাক। শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেমে আসে এক দফায়— হাসিনা সরকারের পদত্যাগ চাই। ‘অন্তর্বর্তীকালীন গণতান্ত্রিক সরকার’ গঠনের ডাক দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। সাতটি ‘বামপন্থী’ ছাত্র সংগঠন নিয়ে গঠিত এই ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট’। আসলে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছিল বাংলাদেশের ‘বামপন্থী’ ছাত্র সংগঠনগুলিও। শুনলে অবাক হবেন, এই ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাব’ আসলে বিএনপি-জামাতের দীর্ঘদিনের। ফলে এই ইস্যুতে রাস্তায় নামার আহ্বান জানায় বিএনপি, জামাত ও হেফাজতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও। হাসিনা সরকার ফেলতে সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে হাত মেলাতে কুণ্ঠাবোধ করেনি বামপন্থীরা। কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, আসল লক্ষ্য হাসিনাকে উৎখাত করা। দেশকে মৌলবাদীদের হাতে তুলে দেওয়ার ভয়ঙ্কর চক্রান্ত। আর সবকিছু পরিকল্পনার পিছনে হয়তো ছিল ঢাকার পাকিস্তানি হাইকমিশন সহ বিদেশি শক্তিগুলি। এ যেন মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের ‘বদলা’!
কোটা সংস্কারের দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলন শেষ পর্যন্ত পরিণত হয় রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক পালাবদলে। যার পরিণামে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সেনার ঘেরাটোপে দেশ ছাড়তে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। সঙ্গে বোন রেহানা। হাসিনা ‘গণভবন’ ছাড়তেই এতদিন ঘাপটি মেরে থাকা মৌলবাদী ইসলামি গোষ্ঠীগুলিও মুখোশ খুলে ফেলে। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পূর্ণাঙ্গ মূর্তি ভাঙা শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। ধানমন্ডির যে বাড়িতে নিহত হন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান, হাসিনা বিরোধী আগুনে পুড়ে ছাই সেই সব স্মৃতি। সিঁড়ির মাঝ বরাবর রাখা ছিল তাঁর বুলেটবিদ্ধ দেহের সাদা-কালো ছবি। পাঁচ দশক আগে বাংলাদেশে রক্তাক্ত পালাবদলের সময় ওখানেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল শেখ মুজিবের দেহ। সেই ৩২ ধানমন্ডির মিউজিয়ামে জ্বলেছে ‘জাতির জনক’-এর স্মৃতি। মুছে গিয়েছে বঙ্গবন্ধুর যাবতীয় স্মৃতি। বাংলাদেশের কোনও বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিক তার প্রতিবাদ করেননি। বরং সেই ছবি ভাইরাল করে উল্লাস দেখিয়েছে কিছু ‘বিশ্বাসঘাতক’-এর দল!
হাসিনা দেশ ছাড়তেই তাণ্ডব। সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, গণভবনে ঢুকে আন্দোলনকারীদের একাংশের দাপাদাপি। যে যা পেরেছে সব লুঠ করেছে। কারও হাতে টেলিভিশন, কেউবা ফুলের টব, কারও হাতে রাজহাঁস-মুরগি। কেউ বা ছুটেছে চেয়ার হাতে। এমনকী বাদ যায়নি লেপ-তোষকও। একজন যুবককে আবার হাসিনার শয়নকক্ষে ঢুকে তাঁর বিছানায় সটান শুয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। ওই কয়েক ঘণ্টা বোঝাই দায়, এরা আন্দোলনকারী নাকি লুটেরা। শেখ হাসিনা তো এদেরই এতদিন ‘রাজাকার’ বলতেন। তাঁর ভুল কোথায় ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় আর কারও নেই...।
বাংলাদেশের বাইরে গোটা দুনিয়ার হাতে ছবি আসছে প্রতিদিন। ছবি দেখেই টের পাওয়া যায়, ছাত্রসমাজের নামে আসলে হামলা চালিয়েছে কারা? বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলি সেইসব ছবি যতই লুকিয়ে রাখুক না কেন, বিশ্ববাসী জেনে গিয়েছে সিরাজগঞ্জে থানায় ঢুকে ১৩ পুলিস সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করার ক্ষমতা একমাত্র ‘সন্ত্রাসবাদীদের’ হয়। তারাই পারে দেশের স্বপ্ন ধ্বংস করতে। যে স্বপ্নে একটা দেশে গড়ে উঠেছিল মেট্রোরেল। এ যেন ২০১৩ সালের সেই বিএনপি-জামাতের হিংসালীলার পুনরাবৃত্তি! নয়তো কোটা আন্দোলনের রেশ কেন বাংলাদেশের প্রান্তিক হিন্দু পরিবারগুলির উপর এসে পড়বে?
শহিদ মিনারে হাজারো কণ্ঠে ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’ গানের সঙ্গে ড্রোন শট দিয়ে উপর থেকে ছবিটি দেখতে খুব সুন্দর। শুনলে হৃদয়ে আবেগ ঝরে পড়ে। সমস্যা হল এই সুন্দরের আড়ালে অসুন্দরও লুকিয়ে ছিল। তা টের পাওয়া গিয়েছে হাসিনার পদত্যাগের পর। মুখোশ খুলে বেরিয়ে পড়েছে আসল চেহারা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা হত্যার বিচার চেয়েছিল। কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনে এত মানুষের প্রাণ গিয়েছে, যা দেশের কেউ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। বিচার ব্যবস্থায় আস্থা নেই, তাই নয় দফা দাবি তুলেছিলেন। তারপর হঠাৎ গোটা দেশকে অগ্নিগর্ভ করে তুলতে এক দফা দাবি। ছাত্র নেতারা বলে ফেলেছেন, সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে একটি সম্মিলিত মোর্চা গঠন করার কথা। বলে ফেলেছেন, সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাঁরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ‘জাতীয় রূপরেখা’ হাজির করবেন। অর্থাৎ ছাত্র নেতারা এখন রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষে মত্ত। কেন? কোটা থেকে সরাসরি চলে গেলেন মোর্চা গঠন করে বাংলাদেশের রূপরেখা তৈরিতে? তাহলে তো প্রমাণ হয়ে গেল, হাসিনাকে উৎখাত করাই আন্দোলনের একমাত্র অভিমুখ ছিল। ছাত্রনেতারা তো এখন আর চাকরি নয়, ক্ষমতা চায়। আর এই ভয়ঙ্কর শক্তির মুখোশ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের তথাকথিত বামপন্থী ছাত্ররা! যারা সারা জীবন আন্দোলনে শুধুই ‘রোমান্টিকতা’ খুঁজে বেড়ান! কেউ খেয়ালই করছেন না, হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকেই তো এখন লাল থেকে কালোতে ফিরে আসছেন। আসলে কোটা আন্দোলনের হিসেবটা শুরু থেকে এটাই ছিল। তার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। সেই আবেগের জোরে বাংলাদেশে পালাবদল। একেবারে ‘আরব বসন্ত’-র জেরক্স কপি!
ভয় হয়... হয়তো একদিন লিবিয়া, সিরিয়ার তালিকায় উঠবে বাংলাদেশেরও নাম। সেদিন ফিরেও তাকাবে না আমেরিকা, পাকিস্তান, চীন কিংবা রাষ্ট্রসঙ্ঘ। মরুদেশগুলির মতোই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে গোঁড়া ইসলামিক দেশ। মৌলবাদী সংগঠনগুলি এখন সেই স্বপ্নে বিভোর...।
08th  August, 2024
প্যারিসের ওলিম্পিক্স ভিলেজ যেন পাশ্চাত্যের বস্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

ওলিম্পিক গেমসকে বলা হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। ক্রীড়াবিদদের চমকে দেওয়া পারফরমেন্স, টান টান লড়াই, রেকর্ড ভাঙার অদম্য ইচ্ছা, পদক জয়ের জন্য নিজেকেও ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা— এসব দেখে মনে হয় ওলিম্পিক গেমস সত্যিই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। বিশদ

জাস্টিস ফর আর জি কর
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি অভয়ার আসল নাম জানেন? তার হাতের লেখা কেমন ছিল? কিংবা তার ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর? মৃত্যুর পর কেমন দেখতে হয়েছিল তাকে? হয়তো জানেন। সৌজন্যে? সোশ্যাল মিডিয়া। অথচ, এমন কোনওটাই আপনার-আমার জানার কথা ছিল না। বিশদ

20th  August, 2024
সেবি: মাধবীর পদত্যাগ ও নতুন তদন্ত জরুরি
পি চিদম্বরম

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (সেবি) উদ্ঘাটিত কাহিনির প্রতি বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক দুনিয়ার দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে। 
বিশদ

19th  August, 2024
রাজনীতি থামিয়ে দ্রুত বিচার চাই
হিমাংশু সিংহ

আর জি কর হাসপাতালে যা ঘটেছে তা বাঙালির কাছে লজ্জার। মানবতার এমন পরাজয়ে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে আমাদের সবার। শিউরে উঠেছে বিবেক। রবীন্দ্রনাথের বাংলায় মানুষ কি দিনদিন পশু হয়ে যাচ্ছে? অল্পবয়সি এক ডাক্তারের এমন মর্মান্তিক পরিণতি আমাদের যত্নে লালন করা বাঙালি অস্মিতাকেই সজোরে আঘাত করেছে, রক্তাক্ত হয়েছে যাবতীয় বোধ, বুদ্ধি, অনুভূতি। বিশদ

18th  August, 2024
এবার নতুন চক্রান্ত: বাঙালি খেদাও
তন্ময় মল্লিক

আর জি করের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছে বাংলা। ন্যায়বিচারের দাবিতে শুধু চিকিৎসকরাই নন, গোটা রাজ্য এককাট্টা। অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা  বেরিয়ে আসবে সিবিআই তদন্তে। বিশদ

17th  August, 2024
শুধুই এক টুকরো ত্রিবর্ণের আবেগ?
মৃণালকান্তি দাস

তিষশাস্ত্রবিদরা বলেছিলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দিনটা নাকি শুভ নয়! তাই ১৪ তারিখ রাত এগারোটা বাজার আগেই দিল্লিতে গণপরিষদের সভা বসেছিল। বিশদ

15th  August, 2024
নতুন ছবি, ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা!
হারাধন চৌধুরী

আজ ১৪ আগস্ট। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস ভারতের। ৭৭ বছর আগে এক ভারত পৃথগন্ন হয়ে এই দুটি তারিখে নতুন রাষ্ট্রিক পরিচয় গ্রহণ করেছিল। আর এই দিনদুটির মাঝখানে দোলাচলেই ছিল সাবেক ‘পূর্ব পাকিস্তান’। বিশদ

14th  August, 2024
কতটা শাস্তি হলে তবে সিস্টেম বদলানো যায়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নির্ভয়াকে মনে আছে আমাদের? সেই যে প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী। বাড়ি ফিরছিল বন্ধুর সঙ্গে। দোষের মধ্যে, রাতটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। আর রাত বাড়লেই যে মানব সমাজের অন্দরে লুকিয়ে থাকা পশুগুলো খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। সেবারও এসেছিল।
বিশদ

13th  August, 2024
গণতন্ত্রের খামতিরই চরম মূল্য দিল বাংলাদেশ
পি চিদম্বরম

১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই আমেরিকার তেরোটি রাজ্য তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯-১৭৯৯) পর অতিবাহিত হয়েছে দুই শতকেরও বেশিকাল।
বিশদ

12th  August, 2024
‘মৌলবাদী’ বাংলাদেশ বড় বিপদ পশ্চিমবঙ্গের কাছে
হিমাংশু সিংহ

ভুলটা কার? শুধুই হাসিনার? নাকি মাত্র সাত মাস আগে সেদেশের নির্বাচনে একতরফা জয়ের পর শাসক আওয়ামি লিগের দ্রুত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের গোয়েন্দা ব্যর্থতাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত! প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিদেশের মাটিতে সম্ভ্রম জাগানো ‘র’ তাহলে কী করছিল, বিন্দুবিসর্গও টের পায়নি?
বিশদ

11th  August, 2024
এটা কি অন্নদাতাদের সম্মান, না অপমান!
তন্ময় মল্লিক

‘লাঙলের টুকরোর স্ট্যাচুই কৃষকদের সর্বোচ্চ সম্মান।’ দিল্লিতে আন্তর্জাতিক কৃষি-অর্থনীতিবিদদের সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একথা বলার কারণ? দেশের কৃষকরা যে তাঁর আমলেই সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছে, সেটা বিশ্ববাসীকে বোঝানো। বিশদ

10th  August, 2024
দেশভাগ করে ৭৭ বছরে কী পেল প্রতিবেশীরা?
সমৃদ্ধ দত্ত

পরকালের কোনও অদৃশ্য নো ম্যানস ল্যান্ডে দাঁড়িয়ে এখন হয়তো জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী এবং বল্লভভাই প্যাটেলরা হাসতে হাসতে  মহম্মদ আলি জিন্নাকে বলছেন, কী ব্যাপার জিন্না সাহেব! দেশভাগ করে তাহলে কী পেলেন? বিশদ

09th  August, 2024
একনজরে
ইস্কো কারখানার সম্প্রসারণ নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের জনশুনানিতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কর্মসংস্থান না দেওয়া, এলাকার উন্নয়ন না করা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কারখানা সংলগ্ন এলাকার মানুষজন। ...

রপ্তানি ক্ষেত্রে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির খনিজ ও আকরিকের উপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে ওঠার পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। মঙ্গলবার শহরে সিআইআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পূর্ব ভারতের উন্নয়নে কেন্দ্র আলাদা বাজেট বরাদ্দ করেছে। ...

প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে এক তৃণমূল নেতাকে ঘেরাও করল ক্ষুব্ধ জনতা। মেখলিগঞ্জ ব্লকের চৌরঙ্গি এলাকায় এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের চ্যাংরাবান্ধা অঞ্চল সভাপতি জছিরুদ্দিন মহম্মদ ওরফে খাটোকে গ্রামবাসীদের একাংশ ঘেরাও করে রাখেন। ...

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে এলন মাস্ককে মন্ত্রিসভার সদস্য করবেন। সোমবার এমনটাই ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বলেন, ‘এলন খুব বুদ্ধিমান ছেলে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস
১৬১৩- বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর মৃত্যু
১৯০৮ - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী তথা কৃষিতে জৈব সার ব্যবহারের পথিকৃৎ পরমনাথ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯১১- লিওনার্দো দা ভিঞ্চির  মোনালিসা ছবিটি লুভারস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়
১৯৩১- গায়ক বিষ্ণু দিগম্বর পালুসকরের মৃত্যু
১৯৭২- বন সংরক্ষণ আইন চালু হল
১৯৭৮- ভিনু মানকড়ের মৃত্যু
১৯৭৮- অভিনেত্রী ভূমিকা চাওলার জন্ম
১৯৮৬- জামাইকার স্প্রিন্টার উসেইন বোল্টের জন্ম
১৯৯৫- ভারতের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখরের মৃত্যু
২০০৬- বিশিষ্ট সানাইবাদক ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৪ টাকা ৮৪.৭৮ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৪ টাকা ১১০.৬৮ টাকা
ইউরো ৯১.৩৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৫,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৫,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া ২৯/৩০ অপরাহ্ন ৫/৭। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৮/৮ রাত্রি ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/১৯/১৬, সূর্যাস্ত ৬/০/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১১/১৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১০/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৫ মধ্যে। 
৪ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৮/১৬। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৬/২৬ পরে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১/৩০ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৫ গতে ৩/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/৪১ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
১৬ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:57:35 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সুপার হলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

11:01:43 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হলেন ডাঃ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

10:46:34 PM

আর জি কর কাণ্ড: আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে চার আধিকারিককে বদলি করল স্বাস্থ্য ভবন

10:41:39 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর

10:05:02 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

10:02:32 PM