Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এটা কি অন্নদাতাদের সম্মান, না অপমান!
তন্ময় মল্লিক

‘লাঙলের টুকরোর স্ট্যাচুই কৃষকদের সর্বোচ্চ সম্মান।’ দিল্লিতে আন্তর্জাতিক কৃষি-অর্থনীতিবিদদের সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একথা বলার কারণ? দেশের কৃষকরা যে তাঁর আমলেই সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছে, সেটা বিশ্ববাসীকে বোঝানো। প্রধানমন্ত্রী একথা বলে দেশের কৃষকদের সম্মান জানালেন, নাকি করলেন অপমান! মোদিজি, আমাদের কৃষকরা দধীচি মুনির উত্তরসূরি। দেবতাদের রক্ষার জন্য বজ্র তৈরি করতে দধীচি মুনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, দিয়েছিলেন নিজের অস্থি। আর আমাদের অন্নদাতারা? রক্ত জল করা পরিশ্রমের বিনিময়ে রক্ষা করে চলেছেন আমাদের জীবন। সেই ঋণ কি একটা মূর্তি গড়ে শোধ হয়, নাকি তাদের সম্মানিত করা যায়? 
পুরাণ মতে, অসুরদের দাপটে স্বর্গচ্যুত দেবদেবীরা গিয়েছিলেন দধীচি মুনির কাছে। কারণ মহাদেবের বরে কাঠ বা কোনও ধাতব অস্ত্রে অসুরদের বধ করা সম্ভব ছিল না। প্রয়োজন ছিল দধীচি মুনির অস্থি। দেবকূলকে রক্ষার জন্য দধীচি মুনি দেহত্যাগ করেছিলেন। তাঁর অস্থি দিয়ে তৈরি বজ্রেই বিনাশ হয়েছিল অসুরকূলের। রক্ষা পেয়েছিলেন দেবতারা।
চাষিরাও আমাদের জীবন রক্ষা করে চলেছেন। তাঁরা আমাদের মুখের অন্ন জোগান বলেই আমরা বেঁচে আছি। তাঁদের রক্ত জল করা পরিশ্রমেই বীজ থেকে গাছ, গাছ থেকে ফসল হয়। শুধু পরিশ্রমই নয়, প্রতিটি পর্যায়ে থাকে চরম অনিশ্চয়তা। বিপুল আর্থিক দায় মাথায় নিয়ে তাঁরা চাষ করেন। বীজ বোনা থেকেই শুরু হয় প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই। কখনও অনাবৃষ্টি, কখনও অতিবৃষ্টি। পদে পদে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা। সেই লড়াই সফল হলে তবেই গোলায় ওঠে সোনালি ফসল। তবে লড়াই সেখানেই শেষ নয়। বরং বলা ভালো, সেখান থেকেই লড়াইয়ের শুরু। ফসলের ন্যায্যমূল্য আদায়ের লড়াই।
সমস্ত উৎপাদিত দ্রব্যের দাম ঠিক করে উৎপাদক সংস্থা। কিন্তু কৃষিপণ্যের দাম ঠিক করার অধিকার চাষির নেই। তাঁরা ব্যবসায়ীদের ঠিক করা দামে 
বীজ কিনে, কোম্পানির নির্ধারিত এমআরপির চেয়ে বেশি টাকায় সার কিনে, চাষ করবেন। অথচ, কৃষিপণ্যের মূল্য ঠিক করবে মধ্যসত্ত্বভোগীর দল। যাদের ডাক নাম ‘ফোড়ে’। বাজারে চাহিদা থাকলে তাঁরা ফসল কেনেন। আর না থাকলে? তাঁরা ততক্ষণ হাত গুটিয়ে বসে থাকেন যতক্ষণ না চাষির রক্ত জল করা পরিশ্রমের ফসল বিক্রি হয় জলের দরে। তাতে চাষির মাথায় চাপে ঋণের বোঝা। আর সেই বোঝা যখন অসহনীয় হয়ে ওঠে? তখন সবকিছু থেকে নিষ্কৃতির আশায় কেউ দেন গলায় দড়ি, কেউ হাতে তুলে নেন বিষের শিশি।
অনেকের বিশ্বাস, কৃষিঋণ মকুব করলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। সেই ভাবনা থেকেই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ৭২ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ মকুব করেছিল। সেই একই রাস্তায় হেঁটে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব ও কর্ণাটকে হাজার হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ মকুব করা হয়েছে। অনেকে মনে করেন, কৃষিঋণ মকুব করে চাষিদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়া যায়। কিন্তু এটা 
কোনও স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। উল্টে ক্ষতিই 
হয়। ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করার ইচ্ছায় ইন্ধন জোগায়। তাহলে দেশের অন্নদাতাদের জন্য সরকারের করণীয় কী?
চাষিদের একটা বড় অংশ মনে করে, সারের দামের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক  চাষিরা যাতে কম দামে সার কিনতে পারেন তারজন্য দিতে হবে ভর্তুকি। উৎপাদন খরচের একটা বড় অংশ চলে যায় সার কিনতে। তাই সারের দাম কমলে উৎপাদন খরচ কমবে। সেক্ষেত্রে কমে যাবে লোকসানের ঝুঁকিও। আপাতত ২৩টি পণ্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের তালিকায় আছে। যদিও হাতেগোনা দু’চারটি ফসল ছাড়া সরকার কিছুই কেনে না। এই তালিকায় আলু সহ আরও কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যকে যুক্ত করতে হবে। সহায়কমূল্য নির্ধারণের আগে সার, বীজ, মজুরি, সেচের খরচ বৃদ্ধির বিষয়গুলিও দেখতে হবে। ঠান্ডাঘরে বসে মর্জিমাফিক একটা দাম ঠিক করে দিলেই হবে না। মনে রাখতে হবে, চাষিরা ঘরের পয়সায় বেশিদিন রামযাত্রা চালিয়ে যাবেন না।
শুধু সহায়ক মূল্য ঘোষণা করলেই হবে না, চাষি যাতে সেই মূল্য পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। চাষির কাছ থেকে কৃষিপণ্য কিনে সংরক্ষণ করতে হবে। তাতেই চাষিদের ফসলের লাভজনক দাম পাওয়া নিশ্চিত হবে। সরকার ফসল সংরক্ষণ করলে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতেও লাগাম পরানো যাবে। সংরক্ষিত পণ্য বাজারে ছাড়লে বন্ধ হবে ফাটকাবাজির রাস্তা। 
তারজন্য বিপুল পরিমাণ অর্থেরও প্রয়োজন নেই, দরকার সরকারের সদিচ্ছা। প্রশ্নটা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার যদি শিল্পপতি ও বহুজাতিক কোম্পানির হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব করতে পারে, তাহলে দেশের অন্নদাতাদের বাঁচিয়ে রাখতে ভর্তুকি দেবে না কেন? আসলে নরেন্দ্র মোদির সরকারের সেই সদিচ্ছাটাই নেই। তারজন্যই নতুন কৃষি আইন করে কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়টি তুলে দিতে চেয়েছিল। 
বিজেপি সরকার গোটা কৃষি ব্যবস্থাটাকে কর্পোরেট ও বহুজাতিক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তারজন্য পাশ করিয়েছিল নয়া কৃষি আইন। তাতে শুধু চাষিরাই বঞ্চিত হতেন না, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও আকাশছোঁয়া হতো। আইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুতদারির উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকত না। সেই আইন কার্যকর করার জন্য সরকার আন্দোলনকারী চাষিদের উপর লাঠিচার্জ করতে, এমনকী জলকামান দাগতেও পিছপা হয়নি। কিন্তু কৃষকদের অনমনীয় জেদের কাছে হার মেনেছে সরকার। চাপে পড়ে ‘কালা কানুন’ প্রত্যাহার করলেও কৃষক-বিরোধী ছাপটা মোদিজির গায়ে লেগেই গিয়েছে। দিল্লিতে কৃষি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তির প্রসঙ্গ তুলে বিদেশি প্রতিনিধিদের কাছে সেই দাগটা মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন তিনি। 
কৃষকদের উপকার হবে, এমন কোনও ঘোষণা দিল্লির সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী করেননি। সারের ভর্তুকি বা ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে একটি কথাও বলেননি। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজের কৃতিত্বই জাহির করেছেন। বুক ফুলিয়ে বলেছেন, ৬ লক্ষ গ্রামের কৃষকের কাছ থেকে তাঁদের লোহার যন্ত্রপাতির টুকরো গলিয়ে বল্লভভাই প্যাটেলের স্ট্যাচু তৈরি করা হয়েছে। ৬০তলা বিল্ডিংয়ের সমান উঁচু স্ট্যাচু দর্শনের সুযোগ যেন বিদেশ থেকে আগত অতিথিরা হাতছাড়া না করেন, সেকথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘একজন কৃষকপুত্রকে এমন সম্মান গোটা দুনিয়ায় আজ পর্যন্ত কেউ দেয়নি।’ 
তাহলে মোদ্দা কথাটা কী দাঁড়াল? ভারতে কৃষকদের যোগ্য সম্মান জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, মনমোহন সিং কেউই দেননি। এমনকী ভারতরত্ন অটলবিহারী বাজপেয়িও দেননি, দিয়েছেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি।
২০২০ সালে দেশের কৃষকদের আয় তিন বছরের মধ্যে দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আয় বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে, কিন্তু তাঁর আমলে কৃষক আত্মহত্যা যে বেড়েছে তাতে দ্বিমত নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’র রিপোর্ট কী বলছে? কৃষি পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন এমন ৩০জন আত্মহত্যা করছেন প্রতিদিন। ২০২১ সালে আত্মঘাতী হয়েছেন ১০ হাজার ৮৮১জন। তার মধ্যে ৫ হাজার ৩১৮জন চাষি। বাকি খেতমজুর। অর্থনীতিবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ঋণ নিয়ে তা শোধ করতে না পারা, ফসলের লাভজনক দাম না পাওয়া, পেশার অনিশ্চয়তা প্রভৃতি কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে এবং এই প্রবণতা বাড়ছে। এরপরেও কি বিশ্বাস করতে হবে, মোদিজির রাজত্বে কৃষকরা ভালো আছেন এবং সম্মানিত হচ্ছেন?
কাজী নজরুল ইসলাম বহু যুগ আগে লিখেছিলেন, ‘যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ওই বাষ্প-শকট চলে, বাবুসা’ব এসে চড়িল তাহাতে, কুলিরা পড়িল তলে।’ সময় বদলালেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। ফের প্রমাণ হল, যুগে যুগে ‘দধীচি’রা আত্মত্যাগই করে যান। বিনিময়ে জোটে শুধুই অবহেলা। মোদিজি, বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি গড়ায় ইতিহাসের পাতায় আপনার নাম অবশ্যই জ্বলজ্বল করবে। তারজন্য আপনি আত্মশ্লাঘা অনুভব করতেই পারেন, আপনি সম্মানিত হতেই পারেন। কিন্তু চাষিরা হন না। কারণ আপনার রাজত্বে তাঁরা ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছেন আঁধারে। অপ্রিয় হলেও এটাই বাস্তব। এ কি অন্নদাতাদের সম্মান, না অপমান!
10th  August, 2024
প্যারিসের ওলিম্পিক্স ভিলেজ যেন পাশ্চাত্যের বস্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

ওলিম্পিক গেমসকে বলা হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। ক্রীড়াবিদদের চমকে দেওয়া পারফরমেন্স, টান টান লড়াই, রেকর্ড ভাঙার অদম্য ইচ্ছা, পদক জয়ের জন্য নিজেকেও ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা— এসব দেখে মনে হয় ওলিম্পিক গেমস সত্যিই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। বিশদ

জাস্টিস ফর আর জি কর
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি অভয়ার আসল নাম জানেন? তার হাতের লেখা কেমন ছিল? কিংবা তার ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর? মৃত্যুর পর কেমন দেখতে হয়েছিল তাকে? হয়তো জানেন। সৌজন্যে? সোশ্যাল মিডিয়া। অথচ, এমন কোনওটাই আপনার-আমার জানার কথা ছিল না। বিশদ

20th  August, 2024
সেবি: মাধবীর পদত্যাগ ও নতুন তদন্ত জরুরি
পি চিদম্বরম

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (সেবি) উদ্ঘাটিত কাহিনির প্রতি বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক দুনিয়ার দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে। 
বিশদ

19th  August, 2024
রাজনীতি থামিয়ে দ্রুত বিচার চাই
হিমাংশু সিংহ

আর জি কর হাসপাতালে যা ঘটেছে তা বাঙালির কাছে লজ্জার। মানবতার এমন পরাজয়ে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে আমাদের সবার। শিউরে উঠেছে বিবেক। রবীন্দ্রনাথের বাংলায় মানুষ কি দিনদিন পশু হয়ে যাচ্ছে? অল্পবয়সি এক ডাক্তারের এমন মর্মান্তিক পরিণতি আমাদের যত্নে লালন করা বাঙালি অস্মিতাকেই সজোরে আঘাত করেছে, রক্তাক্ত হয়েছে যাবতীয় বোধ, বুদ্ধি, অনুভূতি। বিশদ

18th  August, 2024
এবার নতুন চক্রান্ত: বাঙালি খেদাও
তন্ময় মল্লিক

আর জি করের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছে বাংলা। ন্যায়বিচারের দাবিতে শুধু চিকিৎসকরাই নন, গোটা রাজ্য এককাট্টা। অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা  বেরিয়ে আসবে সিবিআই তদন্তে। বিশদ

17th  August, 2024
শুধুই এক টুকরো ত্রিবর্ণের আবেগ?
মৃণালকান্তি দাস

তিষশাস্ত্রবিদরা বলেছিলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দিনটা নাকি শুভ নয়! তাই ১৪ তারিখ রাত এগারোটা বাজার আগেই দিল্লিতে গণপরিষদের সভা বসেছিল। বিশদ

15th  August, 2024
নতুন ছবি, ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা!
হারাধন চৌধুরী

আজ ১৪ আগস্ট। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস ভারতের। ৭৭ বছর আগে এক ভারত পৃথগন্ন হয়ে এই দুটি তারিখে নতুন রাষ্ট্রিক পরিচয় গ্রহণ করেছিল। আর এই দিনদুটির মাঝখানে দোলাচলেই ছিল সাবেক ‘পূর্ব পাকিস্তান’। বিশদ

14th  August, 2024
কতটা শাস্তি হলে তবে সিস্টেম বদলানো যায়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নির্ভয়াকে মনে আছে আমাদের? সেই যে প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী। বাড়ি ফিরছিল বন্ধুর সঙ্গে। দোষের মধ্যে, রাতটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। আর রাত বাড়লেই যে মানব সমাজের অন্দরে লুকিয়ে থাকা পশুগুলো খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। সেবারও এসেছিল।
বিশদ

13th  August, 2024
গণতন্ত্রের খামতিরই চরম মূল্য দিল বাংলাদেশ
পি চিদম্বরম

১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই আমেরিকার তেরোটি রাজ্য তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯-১৭৯৯) পর অতিবাহিত হয়েছে দুই শতকেরও বেশিকাল।
বিশদ

12th  August, 2024
‘মৌলবাদী’ বাংলাদেশ বড় বিপদ পশ্চিমবঙ্গের কাছে
হিমাংশু সিংহ

ভুলটা কার? শুধুই হাসিনার? নাকি মাত্র সাত মাস আগে সেদেশের নির্বাচনে একতরফা জয়ের পর শাসক আওয়ামি লিগের দ্রুত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের গোয়েন্দা ব্যর্থতাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত! প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিদেশের মাটিতে সম্ভ্রম জাগানো ‘র’ তাহলে কী করছিল, বিন্দুবিসর্গও টের পায়নি?
বিশদ

11th  August, 2024
দেশভাগ করে ৭৭ বছরে কী পেল প্রতিবেশীরা?
সমৃদ্ধ দত্ত

পরকালের কোনও অদৃশ্য নো ম্যানস ল্যান্ডে দাঁড়িয়ে এখন হয়তো জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী এবং বল্লভভাই প্যাটেলরা হাসতে হাসতে  মহম্মদ আলি জিন্নাকে বলছেন, কী ব্যাপার জিন্না সাহেব! দেশভাগ করে তাহলে কী পেলেন? বিশদ

09th  August, 2024
এই বর্ষায় ‘বসন্ত’ ফিরেছে বাংলাদেশে!
মৃণালকান্তি দাস

আরব বসন্তের আঁতুড়ঘর ছিল তিউনিসিয়া! ২০১০-এর ১৭ ডিসেম্বর পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে মহম্মদ বওয়াজি নামে এক যুবক প্রকাশ্যে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এমনিতেই গোটা দেশ দমন-পীড়ন, দুর্নীতি আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোমড়াচ্ছিল। বিশদ

08th  August, 2024
একনজরে
কুসংস্কার-বিরোধী, যুক্তিবাদী চিকিৎসক নরেন্দ্র দাভোলকরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দেশজুড়ে ন্যাশনাল সায়েন্স টেম্পার ডে (এনএসটিডি) পালিত হল। এনএসটিডির সপ্তম বর্ষে জোর দেওয়া হয়েছে কলকাতা সায়েন্স টেম্পার ডিক্লারেশনের উপরে। ...

ইস্কো কারখানার সম্প্রসারণ নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের জনশুনানিতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কর্মসংস্থান না দেওয়া, এলাকার উন্নয়ন না করা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কারখানা সংলগ্ন এলাকার মানুষজন। ...

প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে এক তৃণমূল নেতাকে ঘেরাও করল ক্ষুব্ধ জনতা। মেখলিগঞ্জ ব্লকের চৌরঙ্গি এলাকায় এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের চ্যাংরাবান্ধা অঞ্চল সভাপতি জছিরুদ্দিন মহম্মদ ওরফে খাটোকে গ্রামবাসীদের একাংশ ঘেরাও করে রাখেন। ...

ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচ খেলতে বুধবার জামশেদপুর যাচ্ছে মোহন বাগান। প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব এফসি। তবে এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার জেমি ম্যাকলারেন ও আশিক কুরুনিয়ানকে পাচ্ছে না সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস
১৬১৩- বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর মৃত্যু
১৯০৮ - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী তথা কৃষিতে জৈব সার ব্যবহারের পথিকৃৎ পরমনাথ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯১১- লিওনার্দো দা ভিঞ্চির  মোনালিসা ছবিটি লুভারস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়
১৯৩১- গায়ক বিষ্ণু দিগম্বর পালুসকরের মৃত্যু
১৯৭২- বন সংরক্ষণ আইন চালু হল
১৯৭৮- ভিনু মানকড়ের মৃত্যু
১৯৭৮- অভিনেত্রী ভূমিকা চাওলার জন্ম
১৯৮৬- জামাইকার স্প্রিন্টার উসেইন বোল্টের জন্ম
১৯৯৫- ভারতের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখরের মৃত্যু
২০০৬- বিশিষ্ট সানাইবাদক ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৪ টাকা ৮৪.৭৮ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৪ টাকা ১১০.৬৮ টাকা
ইউরো ৯১.৩৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৫,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৫,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া ২৯/৩০ অপরাহ্ন ৫/৭। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৮/৮ রাত্রি ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/১৯/১৬, সূর্যাস্ত ৬/০/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১১/১৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১০/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৫ মধ্যে। 
৪ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৮/১৬। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৬/২৬ পরে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১/৩০ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৫ গতে ৩/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/৪১ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
১৬ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:57:35 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সুপার হলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

11:01:43 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হলেন ডাঃ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

10:46:34 PM

আর জি কর কাণ্ড: আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে চার আধিকারিককে বদলি করল স্বাস্থ্য ভবন

10:41:39 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর

10:05:02 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

10:02:32 PM