Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কতটা শাস্তি হলে তবে সিস্টেম বদলানো যায়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নির্ভয়াকে মনে আছে আমাদের? সেই যে প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী। বাড়ি ফিরছিল বন্ধুর সঙ্গে। দোষের মধ্যে, রাতটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। আর রাত বাড়লেই যে মানব সমাজের অন্দরে লুকিয়ে থাকা পশুগুলো খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। সেবারও এসেছিল। সীমা ছাড়িয়েছিল নৃশংসতা। মানুষ নামে উন্নত পশু আবার দেখিয়েছিল, নারী শরীর শুধুই ভোগ্য। আবার কেন? এই শক্তি প্রদর্শন যে যুগে যুগে হয়ে আসছে। বারবার। মনে নেই বানতলার অনিতা দেওয়ান? কিংবা সিঙ্গুরের তাপসী মালিক? নাকি হেতাল পারেখও বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গিয়েছে? বদায়ুন, উন্নাও, নয়ডা, হায়দরাবাদ... প্রতিবার আমরা কান পেতে শুনেছি, চোখ বড় বড় করে সংবাদমাধ্যমে পড়েছি, মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে চুক চুক শব্দ, প্রশ্ন তুলেছি নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে। কখনও-সখনও মোমবাতি মিছিলও করেছি। তারপর? ভুলে গিয়েছি।
আসলে পাবলিক যে চরিত্রগতভাবেই বড্ড ভুলোমনা। আমরা ইস্যু খুঁজি। জীবনের চেনা ছক ভেঙে কিছুক্ষণের জন্য... কিছুদিনের জন্য বেরিয়ে আসার। হেতাল পারেখ আমাদের ‘কাপ অব টি’ নয়। আমরা খুঁজি ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে। কী হয়েছিল? কীভাবে হয়েছিল? বারবার জানতে চাই। ধনঞ্জয়দের ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে অসীম আনন্দ পেয়ে থাকি। কিন্তু একবারও তার গোড়ায় যাই না। ভেবে দেখি না, কেন একজন ধনঞ্জয় তৈরি হয়? ‘তৈরি হয়’ কথাটাই এখানে ভীষণ লাগসই। কারণ ধর্ষকের, খুনির জন্ম হয় না। সমাজই তাদের তৈরি করে। এর দায় অশিক্ষার, অকারণ গোপনীয়তার। আমরা কি আমাদের সন্তানদের মানব শরীর নিয়ে সঠিক শিক্ষা দিয়ে থাকি? কোনও স্কুলে কি শিক্ষকরা তাঁদের পড়ুয়াদের খোলা মনে বুঝিয়ে থাকে জীবনচক্রের খুঁটিনাটি। না। এই শিক্ষা আমাদের সমাজে নিষিদ্ধ। তাই কেউ উপযাচক হয়ে এগিয়ে এলেও আশপাশ থেকে ভেসে আসে হাসির শব্দ। কেউ ভুরু কুঁচকায়। কেউ নাক সিঁটকে সরে যায়। তখন তারা ভুলে যায়, নিষিদ্ধের প্রতিই মানুষের স্বাভাবিক আকর্ষণ। একদিন তাদের মধ্যে কারও সন্তানই ধর্ষণের দায়ে দাঁড়ায় আইনের কাঠগড়ায়। আইন তাকে শাস্তি দেয়। কিন্তু তাতে কি অপরাধের প্রবণতা মানব সমাজ থেকে মুছে যায়? না... যায় না। কারণ, আইন সমাজকে বাঁধতে পারে, নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু সংশোধন করতে পারে না। তার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। আমরা ছেলেমেয়েদের ফরাসি সভ্যতা পড়াব, পিথাগোরাসের থিওরেম মুখস্ত করাব, কানাডায় কীভাবে গাছ কাটা হয়... সেটাও শেখাব। অথচ, রাস্তায় কেউ বিপদে পড়লে যে এগিয়ে যেতে হয়, সেটা বোঝানোর প্রয়োজন বোধ করব না। নারী মানেই যে ভোগ্য নয়, সেই শিক্ষা দেব না। একবারও বলব না... তুমিও এমন এক জঠর থেকেই বেরিয়ে এসে পৃথিবীর আলো দেখেছ। একে সম্মান করতে শেখো। আর তাই কোনও নির্ভয়া, অনিতা দেওয়ান বা আজকের আর জি করে নৃশংস মৃত্যুর শিকার ওই মেয়েটির দায় আমরাও ঝেড়ে ফেলতে পারি না। পারব না। 
শহর-শহরতলির মোড়ে মোড়ে আজ আমরা দেখছি সাদা অ্যাপ্রন গায়ে ছেলেমেয়েদের। তাদের দাবি অনেক। একটাও অন্যায় নয়। অসঙ্গত নয়। কিন্তু তারা কি দেখছে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালগুলোর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা শুকনো মুখ? কেউ অসুস্থ ছোট্ট সন্তানকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ শুয়ে আছেন অ্যাম্বুলেন্সে... বুক আঁকড়ে। তাঁরা জানতে পারছেন, চিকিৎসা হবে না। কারণ, আন্দোলন করছেন ডাক্তাররা। যাঁদের ঈশ্বরের পরের আসনেই আম জনতা বসিয়ে রাখে... যাঁদের মুখের দিকে অপার বিশ্বাসে তাকিয়ে থাকে তারা... সেই ডাক্তাররাই তালা দিয়েছেন হাসপাতালে। ইমার্জেন্সিতে। প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁরা দাঁড়িয়ে পড়েছেন রাস্তার মোড়ে। ন্যায়বিচার চাইছেন। তাঁদের নিহত সহকর্মীর জন্য। কী সেই ন্যায়? কেমন সেই বিচার? ফাঁসি? আরও একটা ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। প্রশাসন থেকে বিদ্বজ্জন—সবাই ফাঁসির কথাই বলছে। কেউ বলছেন দৃষ্টান্তমূলক সাজার কথা। কী সেই সাজা? কেমন হবে সেই দৃষ্টান্ত। পারেন কেউ দিশা দেখাতে? এমন কোন সাজা সমাজটাকে বদলে দেবে? সচেতন করবে মানুষকে? বদল আনবে শিক্ষায়? কেউ প্রস্তাব করছেন না। করবেনও না। তাঁরা চাইবেন নিরাপত্তা। সরকার তাঁদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। নিশ্চিত, নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবশ্যই আরও নিশ্ছিদ্র হওয়া উচিত। আরও সিসি ক্যামেরা, আরও বেশি পুলিসকর্মী। একটু ভেবে দেখবেন, এতে নিরাপত্তার মোড়কটা মিলবে। অন্তর শুদ্ধ হবে না। শাস্তি হবে অপরাধীর। অপরাধের নয়। বরং এই বিক্ষোভ, আন্দোলন, কর্মবিরতিতে সাজা হবে লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষের। কেউ ঘরদোর বেচে বেসরকারি হাসপাতালে পরিজনকে নিয়ে যাবেন। কেউ ওই হাসপাতাল চত্বরেই কাটিয়ে ফেলবেন জীবনের শেষ কয়েকটা মুহূর্ত। সেই মৃত্যুর জন্য কোনও এফআইআর হবে না। ময়নাতদন্ত হবে না। রাজনীতির কারবারিরা তাঁদের বাড়ি গিয়ে আশ্বাস বা ক্ষতিপূরণও পৌঁছে দেবেন না। তখন সেই দায় কে নেবে? নিতে হবে আমাদের। এই লোকদেখানো, দৃশ্যত পরিপাটি, অন্তঃসারশূন্য মানব সমাজকে।
তাই আন্দোলন করতে হবে, কিন্তু সিস্টেমে বদল আনার জন্য। সমাজ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের জন্য। কারণ, সরকার কড়া আইন করবে। নতুন থানা বা ফাঁড়ি হবে। বদলে যাবে পুলিস কর্তা। ট্রান্সফার হবে আধিকারিকদের। কিন্তু তাতে সিস্টেম বদলাবে না। আমরা বদলাব না। সিস্টেমের ফাঁক আজ ফাটল হয়ে গিয়েছে। বন্ধ করতে হবে তাকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আড়াল করা হচ্ছে কাউকে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট যা বলছে, তাতে আর জি করের নৃশংসতা একজনের কাজ কি না, প্রশ্ন উঠছে সেটা নিয়েই। তাই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তের গ্রেপ্তারি চলে যাচ্ছে পিছনের সারিতে। প্রশাসনের সাফল্য নয়, আড়ালের ব্যর্থতার বিষ তীব্রতর হয়ে উঠছে। ডাক্তাররা বলছেন, সত্যি সামনে আনতে হবে। কিন্তু সত্যিটা কী জানেন? আপনাদের-আমাদের মধ্যেই আরও কোনও সঞ্জয় রায় লুকিয়ে আছেন। তিনি ধরা পড়েননি। ক্যামেরার ছবি কি মুছে গিয়েছে? তিনি কি প্রভাব খাটিয়ে অন্তরালে চলে গিয়েছেন? সেটা হলেও দায় আমাদের। এই সমাজের দায়। আমরা তাদের এমন শিক্ষাই দিয়েছি। আমরাই তাদের প্রশ্রয় দিয়েছি ক্ষমতার কলকাঠি কাজে লাগিয়ে নিজেদের জামাকাপড় দাগমুক্ত রাখার। নাম জেনেছি। কিন্তু বলিনি। প্রথম যেদিন তার মানসিকতার আঁচ পেয়েছি, শুধরে দিইনি। হয়তো ভয়ে। হয়তো পরের ছেলে পরমানন্দ ভেবে। আর তাই তৈরি হয়েছে সঞ্জয় রায়। তৈরি হবে সঞ্জয় রায়। আমাদের ঘরে ঘরে। 
সুনীতা কৃষ্ণানের নাম কি আমরা শুনেছি? ১২ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সুনীতা। বোঝার বয়স তেমন ছিল না। কিন্তু যন্ত্রণা চিরে দিয়েছিল তাঁর শরীরকে। মনকে। ঘেন্না ধরে গিয়েছিল আশপাশের লোকজন, সমাজের উপর। কিন্তু সেই রাগকেই জেদে বদলে দিয়েছিলেন সুনীতা। পড়াশোনা করেছেন, বড় হয়েছেন, আর তারপর নিজেই খুলেছেন একটি এনজিও। তারা কাজ করবে মানব পাচারের বিরুদ্ধে। সুনীতা বুঝেছিলেন, যে সিস্টেম তাঁকে খাদের কিনারে দাঁড় করিয়েছিল, বদলাতে হবে তাকেই। আজ তাঁর সংগঠন পুলিস-প্রশাসন এবং এজেন্সির সঙ্গে মিলে নারী পাচার, মানব পাচার বন্ধের জন্য দিনরাত খেটে চলেছে। সুনীতার লক্ষ্য, সমাজকে সচেতন করতে হবে। সমস্যার গোড়ায় আঘাত হানতে হবে। তবেই ভেন্টিলেশনে চলে যাওয়া সমাজ সাড়া দেবে। 
নিলুকেও আমরা খুব একটা চিনি না। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে মন্দিরেই থাকত সে। ১৫ বছর বয়সে ধর্ষণ করা হয় তাকে। তার থেকে গর্ভবতী। তাও মন্দির ছেড়ে যায়নি সে। ছোট্ট কন্যাসন্তানকে নিয়ে থাকার বিনিময়ে সবার রান্না করে দিত। তখনই এসেছিল প্রস্তাব। এক ‘ভদ্রলোক’ বলেছিল, পুনেতে তার বোনের বাড়ি। ২৪ ঘণ্টার লোক দরকার। নিলু কাজ করবে কি না। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে রাজি হয়ে গিয়েছিল নিলু। কিন্তু আবিষ্কার করল, যেখানে তাকে আনা হয়েছে, সেটা বোনের বাড়ি নয়। নিষিদ্ধপল্লি। প্রতিরোধ ভেঙে গেল কয়েক মাসে... মদ, মাদক, আর মারের চোটে। মেনে নিয়েছিল নিলু। টিবি রোগ ধরল। তারপর এইডস। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মেনে নিল সেটাও। বারবার ভাবল, গলায় দড়ি দেওয়ার কথা। কিন্তু হতাশার অন্ধকার ঝেড়ে ফিরে এল জীবনে। নিলু সেদিন বুঝে নিয়েছিল, মেয়েটাকে বড় করতে হবে। শিক্ষা দিতে হবে। সঠিক শিক্ষা। যেন এই সমাজে আর একটা নিলু তৈরি না হয়। যেন কোনও মেয়ে নিলু হতে বাধ্য না হয়।
আর জি করের নৃশংসতার শেষটাও তেমনই শিক্ষায় কেন হতে পারে না? কেন বদলাতে পারে না সমাজ? সিস্টেম? আমরা অলস নই। ভীতুও না। অপেক্ষা শুধু স্থবিরতা ঝেড়ে উঠে দাঁড়ানোর। নতুন কোনও সঞ্জয় রায় আমরা চাই না। আমরা দেখতে চাই না আর জি করের সেমিনার রুমে নিথর পড়ে থাকা কোনও দেহও। এই বার্তাই কি মেয়েটি দিয়ে গেল না? চোখ খোলার সময় এসেছে। সমাজের। আন্দোলনকারীদের। আমাদের মধ্যে না থেকেও শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে সমাজকে... ‘অভয়া’।
13th  August, 2024
প্যারিসের ওলিম্পিক্স ভিলেজ যেন পাশ্চাত্যের বস্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

ওলিম্পিক গেমসকে বলা হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। ক্রীড়াবিদদের চমকে দেওয়া পারফরমেন্স, টান টান লড়াই, রেকর্ড ভাঙার অদম্য ইচ্ছা, পদক জয়ের জন্য নিজেকেও ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা— এসব দেখে মনে হয় ওলিম্পিক গেমস সত্যিই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। বিশদ

জাস্টিস ফর আর জি কর
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি অভয়ার আসল নাম জানেন? তার হাতের লেখা কেমন ছিল? কিংবা তার ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর? মৃত্যুর পর কেমন দেখতে হয়েছিল তাকে? হয়তো জানেন। সৌজন্যে? সোশ্যাল মিডিয়া। অথচ, এমন কোনওটাই আপনার-আমার জানার কথা ছিল না। বিশদ

20th  August, 2024
সেবি: মাধবীর পদত্যাগ ও নতুন তদন্ত জরুরি
পি চিদম্বরম

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (সেবি) উদ্ঘাটিত কাহিনির প্রতি বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক দুনিয়ার দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে। 
বিশদ

19th  August, 2024
রাজনীতি থামিয়ে দ্রুত বিচার চাই
হিমাংশু সিংহ

আর জি কর হাসপাতালে যা ঘটেছে তা বাঙালির কাছে লজ্জার। মানবতার এমন পরাজয়ে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে আমাদের সবার। শিউরে উঠেছে বিবেক। রবীন্দ্রনাথের বাংলায় মানুষ কি দিনদিন পশু হয়ে যাচ্ছে? অল্পবয়সি এক ডাক্তারের এমন মর্মান্তিক পরিণতি আমাদের যত্নে লালন করা বাঙালি অস্মিতাকেই সজোরে আঘাত করেছে, রক্তাক্ত হয়েছে যাবতীয় বোধ, বুদ্ধি, অনুভূতি। বিশদ

18th  August, 2024
এবার নতুন চক্রান্ত: বাঙালি খেদাও
তন্ময় মল্লিক

আর জি করের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছে বাংলা। ন্যায়বিচারের দাবিতে শুধু চিকিৎসকরাই নন, গোটা রাজ্য এককাট্টা। অপরাধীর সংখ্যা এক না একাধিক, তা  বেরিয়ে আসবে সিবিআই তদন্তে। বিশদ

17th  August, 2024
শুধুই এক টুকরো ত্রিবর্ণের আবেগ?
মৃণালকান্তি দাস

তিষশাস্ত্রবিদরা বলেছিলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দিনটা নাকি শুভ নয়! তাই ১৪ তারিখ রাত এগারোটা বাজার আগেই দিল্লিতে গণপরিষদের সভা বসেছিল। বিশদ

15th  August, 2024
নতুন ছবি, ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা!
হারাধন চৌধুরী

আজ ১৪ আগস্ট। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস ভারতের। ৭৭ বছর আগে এক ভারত পৃথগন্ন হয়ে এই দুটি তারিখে নতুন রাষ্ট্রিক পরিচয় গ্রহণ করেছিল। আর এই দিনদুটির মাঝখানে দোলাচলেই ছিল সাবেক ‘পূর্ব পাকিস্তান’। বিশদ

14th  August, 2024
গণতন্ত্রের খামতিরই চরম মূল্য দিল বাংলাদেশ
পি চিদম্বরম

১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই আমেরিকার তেরোটি রাজ্য তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯-১৭৯৯) পর অতিবাহিত হয়েছে দুই শতকেরও বেশিকাল।
বিশদ

12th  August, 2024
‘মৌলবাদী’ বাংলাদেশ বড় বিপদ পশ্চিমবঙ্গের কাছে
হিমাংশু সিংহ

ভুলটা কার? শুধুই হাসিনার? নাকি মাত্র সাত মাস আগে সেদেশের নির্বাচনে একতরফা জয়ের পর শাসক আওয়ামি লিগের দ্রুত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের গোয়েন্দা ব্যর্থতাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত! প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিদেশের মাটিতে সম্ভ্রম জাগানো ‘র’ তাহলে কী করছিল, বিন্দুবিসর্গও টের পায়নি?
বিশদ

11th  August, 2024
এটা কি অন্নদাতাদের সম্মান, না অপমান!
তন্ময় মল্লিক

‘লাঙলের টুকরোর স্ট্যাচুই কৃষকদের সর্বোচ্চ সম্মান।’ দিল্লিতে আন্তর্জাতিক কৃষি-অর্থনীতিবিদদের সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একথা বলার কারণ? দেশের কৃষকরা যে তাঁর আমলেই সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছে, সেটা বিশ্ববাসীকে বোঝানো। বিশদ

10th  August, 2024
দেশভাগ করে ৭৭ বছরে কী পেল প্রতিবেশীরা?
সমৃদ্ধ দত্ত

পরকালের কোনও অদৃশ্য নো ম্যানস ল্যান্ডে দাঁড়িয়ে এখন হয়তো জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী এবং বল্লভভাই প্যাটেলরা হাসতে হাসতে  মহম্মদ আলি জিন্নাকে বলছেন, কী ব্যাপার জিন্না সাহেব! দেশভাগ করে তাহলে কী পেলেন? বিশদ

09th  August, 2024
এই বর্ষায় ‘বসন্ত’ ফিরেছে বাংলাদেশে!
মৃণালকান্তি দাস

আরব বসন্তের আঁতুড়ঘর ছিল তিউনিসিয়া! ২০১০-এর ১৭ ডিসেম্বর পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে মহম্মদ বওয়াজি নামে এক যুবক প্রকাশ্যে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এমনিতেই গোটা দেশ দমন-পীড়ন, দুর্নীতি আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোমড়াচ্ছিল। বিশদ

08th  August, 2024
একনজরে
মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ)-র হাত ধরতে চায় আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)। চলতি বছরেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ...

ইস্কো কারখানার সম্প্রসারণ নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের জনশুনানিতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কর্মসংস্থান না দেওয়া, এলাকার উন্নয়ন না করা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কারখানা সংলগ্ন এলাকার মানুষজন। ...

প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে এক তৃণমূল নেতাকে ঘেরাও করল ক্ষুব্ধ জনতা। মেখলিগঞ্জ ব্লকের চৌরঙ্গি এলাকায় এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের চ্যাংরাবান্ধা অঞ্চল সভাপতি জছিরুদ্দিন মহম্মদ ওরফে খাটোকে গ্রামবাসীদের একাংশ ঘেরাও করে রাখেন। ...

কুসংস্কার-বিরোধী, যুক্তিবাদী চিকিৎসক নরেন্দ্র দাভোলকরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দেশজুড়ে ন্যাশনাল সায়েন্স টেম্পার ডে (এনএসটিডি) পালিত হল। এনএসটিডির সপ্তম বর্ষে জোর দেওয়া হয়েছে কলকাতা সায়েন্স টেম্পার ডিক্লারেশনের উপরে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস
১৬১৩- বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর মৃত্যু
১৯০৮ - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী তথা কৃষিতে জৈব সার ব্যবহারের পথিকৃৎ পরমনাথ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯১১- লিওনার্দো দা ভিঞ্চির  মোনালিসা ছবিটি লুভারস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়
১৯৩১- গায়ক বিষ্ণু দিগম্বর পালুসকরের মৃত্যু
১৯৭২- বন সংরক্ষণ আইন চালু হল
১৯৭৮- ভিনু মানকড়ের মৃত্যু
১৯৭৮- অভিনেত্রী ভূমিকা চাওলার জন্ম
১৯৮৬- জামাইকার স্প্রিন্টার উসেইন বোল্টের জন্ম
১৯৯৫- ভারতের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখরের মৃত্যু
২০০৬- বিশিষ্ট সানাইবাদক ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৪ টাকা ৮৪.৭৮ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৪ টাকা ১১০.৬৮ টাকা
ইউরো ৯১.৩৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৫,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৫,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া ২৯/৩০ অপরাহ্ন ৫/৭। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৮/৮ রাত্রি ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/১৯/১৬, সূর্যাস্ত ৬/০/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১১/১৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১০/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৫ মধ্যে। 
৪ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৮/১৬। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৬/২৬ পরে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১/৩০ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৫ গতে ৩/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/৪১ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
১৬ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:57:35 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সুপার হলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

11:01:43 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হলেন ডাঃ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

10:46:34 PM

আর জি কর কাণ্ড: আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে চার আধিকারিককে বদলি করল স্বাস্থ্য ভবন

10:41:39 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর

10:05:02 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

10:02:32 PM