সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের শাসক দলও পার্থকে ‘ডিফেন্ড’ করার রাস্তা থেকে সরে গিয়েছে দ্রুত। কেড়ে নিয়েছে তাঁর হেভিওয়েট মন্ত্রিপদ এবং দলে মহাসচিবের আসন। কিন্তু তাতেও শান্ত হয়নি জনমানস। অব্যাহত রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের পথের আন্দোলন এবং শাসক দলের অফিসের সামনে গিয়ে ধর্না, বিক্ষোভ। বিরোধীরা একাধিক দিন ধিক্কার মিছিলও করেছেন কলকাতার রাজপথে। সত্যি কথা বলতে, এসব কোনও সমাধান নয়—রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা মাত্র, ভোটের বাজারে জনদরদি সাজার সস্তা কায়দা। সঙ্কীর্ণ রাজনীতির যূপকাষ্ঠে চড়েই আছেন যাঁরা, তাঁরা জানেন, এ থেকে তাঁদের কোনও কল্যাণ কোনওদিনই হবে না। এই সত্য আদালতেরও অজানা নয়। সম্ভবত, সেই কারণে আদালতও শিক্ষকপদগুলি এখনই পূরণের উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছে। সরকারেরও বোধোদয় হয়েছে দেখে চাকরিপ্রার্থীদেরও খুশি হওয়ার কথা। এই প্রসঙ্গে এক শিক্ষক নেতার মন্তব্যও সমর্থনযোগ্য, ‘বছরে কয়েকবার শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা আর শুনতে চাই না। এবার ঘোষণা ছেড়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবে শুরু করুক রাজ্য সরকার।’
সত্যিই তাই, সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে আকচা-আকচির সাবজেক্ট এটা নয়। এ নয় কোনও ইগোরও ব্যাপার। হলফ করে বলা যায়, দু’তরফের সামনে তার জন্য হাজারো পরিসর আসবে। আপাতত শিক্ষাঙ্গনকে এই নির্মম খেলার বাইরে রাখুন সবাই মিলে। অবিলম্বে সব স্কুলের সমস্ত শিক্ষক পদ পূরণ হওয়া জরুরি। ভুলে গেলে চলবে না, কদর্য রাজনীতির বলি হচ্ছে আসলে বাংলার লক্ষ লক্ষ ছোট ছেলেমেয়ে। তাদের বেশিরভাগই গরিব এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে আসা। এদের একটা বিরাট অংশ প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়া। এদের উপরেই নির্ভর করছে বাংলা আগামী দিনে এগবে নাকি আরও পিছিয়ে যাবে। করোনা করোনা করে এমনিতেই তিন তিনটি বছর বস্তুত হারিয়ে গিয়েছে, এদের জীবন গঠনের প্রস্তুতি পর্ব থেকে। দোহাই, সবাই মিলিয়ে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করুন, শিক্ষার আলো যেন নিভে না যায় কোনওভাবেই।