সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষিদপ্তরের যুগ্ম সহ কৃষি অধিকর্তা অনির্বাণ লাহিড়ি বলেন, দিন দিন আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। যার ফলে এই খারিফ মরশুমে প্রচলিত ধান চাষের ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। তাই আধুনিক প্রজাতির কিছু ধান চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ধানগুলি অতিবৃষ্টি বা বন্যা যেমন সহ্য করতে পারবে তেমনি খরা সহ্য করতে পারবে। পাশাপাশি প্রচলিত ধানের চেয়ে অনেক আগেই এর ফলন হবে। এই চাষের মাধ্যমে জেলায় ধানের ফলন আরও বাড়বে। তাই এবার এই নতুন প্রজাতির ধান চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে বালুরঘাটের বোয়ালদারের এক চাষি প্রদ্যুৎ মণ্ডল বলেন, আমন ধান চাষের ক্ষেত্রে এবারে খরার কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে আগামীতে এই ধান চাষ করতে গিয়ে আমাদের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। কৃষিদপ্তর এবছর কিছু নতুন প্রজাতির ধান দিয়েছে। সামান্য কিছু জমিতে সেই ধান চাষ শুরু করেছি। এবছর এই ধানের ফসল যদি ভালো হয়। পরের বছর আরও বেশি জমিতে এই ধান চাষ করব।
জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রচলিত ধানের ফলনের ক্ষেত্রে ১২০-১৩০ দিন সময় লাগে। কিন্তু এই ধানগুলির ৯০ থেকে ১১০ দিন সময় লাগবে। কৃষিদপ্তরের তরফে জেলার প্রদর্শনী ক্ষেত্রের মাধ্যমে প্রায় ৪০০০ চাষিকে এই ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। যার ফলে এবছর ২০০০ হেক্টর জমিতে এই অত্যাধুনিক ধান চাষের উদ্যোগ নিয়েছে দপ্তর।
প্রসঙ্গত, খারিফ মরশুমে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আমন ও স্বর্ণ ধানের চাষ বেশি হয়। এই ধান জমিতে লাগানোর সময় জলসেচের জন্য বৃষ্টির উপরেই চাষিদের নির্ভর করতে হয়। কিন্তু খারিফ মরশুমে জেলায় আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটছে। যে সময়ে বৃষ্টির প্রয়োজন, সেই সময়ে বৃষ্টি হচ্ছে না। আবার যে সময়ে বৃষ্টির প্রয়োজন নেই, ঠিক সেই সময়েই বন্যার ফলে ধানের ক্ষতি হচ্ছে। খারিফ মরশুমে জেলায় প্রায় ১ লক্ষ ৭২ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে ধানের চাষ হয়। কিন্তু খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণে অনেক জায়গায় ধানের ক্ষতি হয়। তাই জেলা কৃষিদপ্তর নতুন প্রজাতির ধান চাষের উপর জোর দিয়েছে।