সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
এদেশের গণতন্ত্র যে মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত তার উদাহরণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের এমন বহু দেশে মহিলাদের ভোটাধিকার পেতে সংগ্রাম করতে হয়েছে। অথচ, স্বাধীন ভারতে শুরুর দিন থেকে সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়েছে। এদেশ থেকে যেমন গোটা বিশ্ব গণতন্ত্রের প্রকৃত সম্ভাবনা সম্বন্ধে জানতে পেরেছে, তেমনই এই দেশের মাটিতেই গণতন্ত্র আরও বেশি সমৃদ্ধ হয়েছে। অশিক্ষা ও দারিদ্র্য সত্ত্বেও কীভাবে ভারতে গণতন্ত্র সফল হল, তা নিয়ে আগ্রহী বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতা।
অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকটিও এদিন তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেন, করোনার ভয়াল গ্রাস সত্ত্বেও বিগত বছরগুলিতে জেগে উঠেছে নতুন ভারত। বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রাণের বিনিময়ে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ঔপনিবেশিক শাসনের শৃঙ্খল ভেঙে মুক্ত হয়েছিল। সেইসব বিপ্লবীদের স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি। ২৫ বছর পর অর্থাৎ ২০৪৭ সালে দেশের স্বাধীনতার শতবর্ষ উদ্যাপিত হবে। ওই সময়ের মধ্যে আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্ন সফল করতে পারব বলে তাঁর আশা।
দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অবদানের কথাও তুলে ধরেন দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সব বিস্মৃত বীরদের গৌরব গাথা তুলে ধরতেই কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি
বছর ১৫ নভেম্বর ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ পালনের উদ্যোগ নিয়েছে
বলে জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি মনে করেন, ওইসব আদিবাসী যোদ্ধারা শুধু স্থানীয় বীর নন, তাঁরা দেশেরও নায়ক বটে।