সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
১২ জুন শুরু হয়েছিল এই মূর্তি তৈরির কাজ। ৪০০ টন গ্রানাইট আনা হয় তেলেঙ্গানার খাম্মাম থেকে। ৪০ জন কারিগরের অক্লান্ত পরিশ্রমে কাজ সময়েই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এনজিএমএর ওয়ার্কশপে গিয়ে দেখা গেল, মূর্তি তৈরি হয়ে গেলেও আপাদমস্তক কালো প্লাস্টিকে ঢাকা, যাতে কেউ ছবি তুলতে না পারে। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে তা দেশবাসীর সামনে না আসায় খানিকটা হতাশ মূর্তি তৈরির প্রধান শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। ‘বর্তমান’কে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘কাজ শেষ। কিন্তু আচমকাই জানতে পারি ১৫ আগস্ট মূর্তি বসছে না...।’ তবে এর ইতিবাচক দিকও তুলে ধরেছেন তিনি। বলেন, ‘হাতে আর একটু সময় পেয়েছি। আরও সূক্ষ্মভাবে সুভাষচন্দ্রের মুখের অংশ এবং আজাদ হিন্দ বাহিনীর টুপির কাজ করব। ফিনিশিং টাচ যাকে বলে।’
৮০ হাজার কিলো ওজনের এই মূর্তির উচ্চতা ২৩ ফুট। আর যে মঞ্চের উপর সেটি ইনস্টল করা হবে, সেটির উচ্চতা ৫ ফুট। সব মিলিয়ে ২৮ ফুট। ইন্ডিয়া গেটের ৩০০ মিটার পিছনে থাকা ছাউনি বা ক্যানোপিতে বসানোর কথা এটিকে। কিন্তু কবে বসবে মূর্তি, তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ এনজিএমএর ডিজি আদিত্য গণনায়ক। পরিষ্কার বলেন, ‘আমি কিছু বলতে পারব না। কারণ, বলা মানা।’ গোটা বিষয়টিতে সরকারের ‘উপর মহল’ থেকেই মুখ খুলতে বারণ করা হয়েছে সবাইকে। তবে অত্যন্ত বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২১ অক্টোবর অথবা ২৩ জানুয়ারি, এই দু’টি তারিখ নিয়ে মোদি সরকারের শীর্ষস্তরে আলোচনা চলছে। তবে মূর্তি যখন তৈরিই, তখন অক্টোবরের দিনটি বেছে নেওয়া হবে বলে খবর। কারণ, ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবরই প্রাদেশিক আদাজ হিন্দ সরকার গঠন করেছিলেন নেতাজি। বলেছিলেন, ‘আর্জি হুকুমত-এ-আজাদ হিন্দ’। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে যা পা দেবে ৮০ বছরে।
তবে স্রেফ নেতাজির মূর্তি নয়, স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে সংসদের ঐতিহাসিক সেন্ট্রাল হলেও হচ্ছে না কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান। অথচ, ২৫ এবং ৫০ বছর পূর্তিতে চিত্রটা ছিল একেবারেই আলাদা। রজতজয়ন্তীতে ইন্দিরা গান্ধী প্রকাশ করেছিলেন বিশেষ ডাকটিকিট। আর সুবর্ণজয়ন্তীতে ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে সেন্ট্রাল হলে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা হিন্দোস্তাঁ হামারা’ গেয়ে স্বাধীনতার আবেগ উস্কে দিয়েছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। কিন্তু এবার কিছুই হচ্ছে না, বরং অস্ত্র শুধু প্রচারের ঢক্কানিনাদ। ‘স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব’, ‘হর ঘর তেরঙ্গা’র মতো কর্মসূচির বুলি আউড়েই ক্ষান্ত মোদি সরকার।