কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
আদবানির ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে বিজেপির অধুনা শীর্ষ নেতৃত্বকে তিনি জানিয়েছিলেন, আর ভোটে লড়তে চান না। দল তাঁর মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছে। তাঁরই জায়গায় ঘোষণা করা হয়েছে অমিত শাহের নাম। বিজেপির সভাপতি এতদিন ছিলেন রাজ্যসভার সদস্য। আর দলের শীর্ষ পদে তাঁর মেয়াদও তিন মাস। তারপর তাঁকে পদ ছাড়তেই হবে। রাজনীতির মহামঞ্চে অমিত শাহের ভূমিকা যাতে এতটুকু খর্ব না হয়, তাই হয়তো একেবারে লোকসভা আসনে প্রার্থী করে দেওয়া হল অমিত শাহকে। এবং এমন একটা আসনে, যেখান থেকে বিজেপির জয় কার্যত নিশ্চিত। বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে মন্ত্রিত্বও যে তাঁর বাঁধাই, সে ব্যাপারেও সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলের। অর্থাৎ, মোদি-অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত হচ্ছে দলে। যার ভিতটা অবশ্যই গড়া হচ্ছে বর্ষীয়ানদের ছেঁটে ফেলে।
আসন্ন লোকসভা ভোটের জন্য প্রথম যে ১৮২ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে নাম নেই মুরলীমনোহর যোশি (৮৫ বছর), গাড়োয়ালের এমপি বি সি খাণ্ডুরি (৮৪), নৈনিতালের সংসদ সদস্য ভগৎ সিং কোশিয়ারি (৭৬) এবং গুয়াহাটির এমপি বিজয়া চক্রবর্তী (৭৯)। আজ বিজেপির এমন নেতানেত্রী চাই, যাঁরা ছুটতে পারবেন। যাঁদের বয়স কম হবে। তাই যদি ধরতে হয়, তাহলে রাজনাথ সিং বা অরুণ জেটলি এই বর্ষীয়ানদের থেকে কতই বা ছোট! রাজনাথের এখন বয়স ৬৭ বছর। অরুণ জেটলির ৬৬। বিশেষত জেটলি নরেন্দ্র মোদির প্রচণ্ড আস্থাভাজন। গত বছরই আবার কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে অরুণ জেটলির। অত্যন্ত সতর্কতার মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে তাঁকে। তাহলে কি বিজেপি ফের সরকার গড়লে জেটলিকে আর মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে না? এই প্রশ্ন কিন্তু দলের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। সুষমা স্বরাজও জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনের রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চান তিনি। অর্থাৎ, আদবানি-বাজপেয়ি ঘরানার নেতানেত্রীরা কিন্তু এক ঝটকায় বিজেপির গেরুয়া রং থেকে আবছা হয়ে যাচ্ছেন। নতুন প্রজন্ম, নয়া বিজেপি। এটাই এখন স্লোগান। এবং অবশ্যই এ ক্ষেত্রে সঙ্ঘেরও সবুজ সঙ্কেত রয়েছে! তা না হলে বিজেপির ‘ধর্মে’র রাজনীতিকে বাস্তব রূপ দেওয়ার নেতৃত্বে থাকা লালকৃষ্ণ আদবানি এভাবে দূরে সরে যেতেন না। রথযাত্রা, রাম মন্দির ইস্যু, রাজ্যসভা থেকে চারবার, লোকসভা থেকে সাতবার নির্বাচিত, প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী... অটলবিহারী বাজপেয়ি ছাড়া আদবানির বায়ো ডেটাই হয়তো বিজেপির মধ্যে সবচেয়ে সমৃদ্ধ। শুধু তাই নয়, শোনা যায়, ২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার পর মোদির পদ তিনিই বাঁচিয়েছিলেন। গত পাঁচ বছর ধরে আদবানি এবং মুরলীমনোহর যোশি ছিলেন দলের ‘মার্গদর্শক’। দল কোন পথে চলবে, সেই দিশা দেখানো ছিল তাঁর কাজ। বিজেপি তাঁদের দেখানো পথেই চলেছে কি না, সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন। উপসংহার হল, শেষ হয়ে গেল একটা অধ্যায়। বিজেপির লৌহপুরুষের।