কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
স্বাধীন ভারতের নাগরিকরা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ফের একটি লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চলেছেন। এবার মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ হবে। প্রতিটি ভোটার তাঁর নিজস্ব ভাবনা ও ইচ্ছে অনুসারে নিজের নিজের কেন্দ্রে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন, এটাই কাম্য। তবে, ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিভিন্ন দল ও পক্ষ সম্ভাব্য নানারকম কৌশল গ্রহণ করে, এটা চন্দ্র সূর্যের মতোই সত্য। ভোটারদের প্রভাবিত করতে নেওয়া কৌশলগুলির সবই যে সর্বদা স্বচ্ছ ও নৈতিক হয় এমন কথা বুক ঠুকে বলা কঠিন। বরং উল্টোটাই শোনা যায়। যেমন ভোট পাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার রাখতে ক্ষমতাসীন দল বা পক্ষ ভোটের অনেক আগে থেকেই পাইয়ে দেওয়ার রাস্তা নেওয়ার চেষ্টা করে। বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বিশাল সংখ্যক ভোটারের সমর্থন নিশ্চিত করতে আগাম মাঠে নামে। বহু ক্ষেত্রে সফলও হয়। এভাবেই তাদের ভোটব্যাঙ্ক তৈরির পথ পরিষ্কার হয়। এই পাইয়ে দেওয়ার পর্ব একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও চলতে থাকে।
ভোটারদের প্রভাবিত করার এই অঘোষিত প্রতিযোগিতায় বিরোধীপক্ষও কম যায় না। আবার, ভারতের মতো যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর দেশে সর্বদা সব রাজ্যে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের সরকার থাকে না। তাই কেউ কেন্দ্রকে ব্যবহার করে আবার কেউ-বা রাজ্যকে ব্যবহার করে পরস্পরকে টেক্কা দিতে চায়। এইসব পথের বাইরেও কিছু অন্ধকার পথ প্রায় প্রতিটি ভোটেই থাবা বিস্তারের চেষ্টা করে। কোনও-না-কোনও দল বা পক্ষের হয়ে কে বা কারা নগদ টাকা ছড়িয়ে ভোটার প্রভাবিত করার খেলায় নেমে পড়ে। সম্ভবত এ কারণেই ভোটের মুখে চোরাপথে রাশি রাশি টাকা অথবা টাকা পাওয়ার প্রয়োজনে বিপুল পরিমাণ সোনা এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে। এই অপকর্ম রুখতে নির্বাচন কমিশন থেকে সাধারণ প্রশাসন সবাই সাধ্যমতো তৎপর থাকে। তাই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হওয়ার পর নানান বিধিনিষেধ আরোপিত হয়। পথে পথে সজাগ পাহারা বসে। লক্ষ্য একটাই—ভোটপর্বকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করা। ভোটযন্ত্রে ভোটারদের প্রকৃত মতের প্রতিফলন ঘটানো।
এবারও নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষই নিজেদের লক্ষ্যপূরণে সজাগ ও সদা তৎপর রয়েছে। সে কারণেই ইদানীং এত বেআইনি সোনা, টাকা ধরা পড়ছে। কিন্তু, কে বলতে পারে, এগুলি হিমশৈলের চূড়ামাত্র নয়? ধরা পড়ছে যত, অধরা রয়ে যাচ্ছে তার বহুগুণ। তাই ভোটপর্ব মেটা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সমস্ত কর্তৃপক্ষকে আরও অনেক বেশি সজাগ ও তৎপর থাকতে হবে। তাদের জন্য এটি একটি কঠিন চ্যালেঞ্জও বটে।