কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধের সাফল্য হিসেবে একটি উপগ্রহ ধ্বংস করে দেওয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি। এই অভিযানের নাম ছিল মিশন শক্তি! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে যাকে ভারতের ইতিহাসের একটি ঐতিহাসিক দিন বলে ব্যাখ্যা করেছেন। এই প্রথম ভারত মহাকাশ সুরক্ষা প্রকল্পে এতবড় একটি সাফল্য অর্জন করেছে। এই পরীক্ষা কোনও দেশকে চ্যালেঞ্জ করা নয়। যুদ্ধ ঘোষণা নয়। ভারতের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতেই এই পদক্ষেপ। তিনি বলেছেন, আশ্বাস দিচ্ছি আমাদের এই শক্তি আমরা কারও বিরুদ্ধে বিনা প্ররোচনায় ব্যবহার করব না।
যদিও মহাকাশ যুদ্ধের সাফল্য নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা হতে শুরু করেছে। ভারত যে একপ্রকার প্রতিবেশী দেশ চীন ও পাকিস্তানকেই হুঁশিয়ারি দিল সেকথা নিঃসন্দেহ। ভারতের এই মহাকাশ সমরশক্তি পাকিস্তানকে যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিল, একথা বলাই বাহুল্য। মোদির এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীদের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টিকে নির্বাচনী চমক আখ্যা দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি এটা নিয়ে যেটা করলেন সেটা হল এক অন্তহীন নাটক। এখন বিজেপি বুঝতে পারছে তাদের নৌকাডুবির সময় হয়েছে। থেমে নেই রাহুল গান্ধীও। তিনিও বলেছেন, মোদি নাটক করছেন। আন্তর্জাতিক নাট্য দিবসে তাঁকে অনেক শুভেচ্ছা। মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদব বলেছেন, মোদি ভোটে জয়ী হতে কতরকম যে চেষ্টা করছেন আচমকা এই ঘোষণা তারই প্রমাণ।
বিরোধীদের অভিযোগ হয়তো ফ্যালনা নয়। তবে নরেন্দ্র মোদির জমানায় মহাকাশে এই সাফল্য একটা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে । এখন প্রশ্ন হচ্ছে— ভোটযুদ্ধের এই কৌশল নৈতিক না অনৈতিক! তাত্ত্বিক মানুষ ও বিরোধীদের অনেকে অবশ্যই বলবেন এটা অনৈতিক কাজ, নাটুকেপনা, দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা, প্রতিবেশী দেশকে ভয় দেখানোর ছল ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু, পুলওয়ামার রক্তের দাগ শুকিয়ে যাওয়ার আগেই পাকিস্তানকে রণকৌশলের আস্তিনের তাস প্রদর্শন করিয়ে রাখা কি অন্যায়? দেশাত্মবোধ বা জাতীয়তাবোধ যখন উগ্রতার সীমা লঙ্ঘন করে তখন তা ভয়ঙ্কর ঠিকই, তাই বলে আত্মরক্ষার অধিকার কি অন্যায়? এই প্রশ্নটিই আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।