পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
তাদের দাবি, ইতিমধ্যেই নয়া আইনের আশঙ্কায় বরাত বাতিল হচ্ছে পরপর। যে রিটেলার বা খুচরো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের কাছ থেকে পণ্য কিনত, তারা ছোট সংস্থাকে আর বরাত দিচ্ছে না। আগে থেকে যে বরাত দেওয়া ছিল, তাও বাতিল হচ্ছে। সেই অর্ডারগুলি পাচ্ছে বড় সংস্থা। ফলে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ছোট সংস্থাগুলিকে। একই আশঙ্কার কথা জানিয়ে কেন্দ্রের কাছে একযোগে দরবার করেছে এরাজ্যের একাধিক পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থা।
আয়করের ৪৩বি ধারার ‘এইচ’ উপধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনও সংস্থা ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পের পেমেন্ট নির্দিষ্ট সময়ে (সর্বাধিক ৪৫ দিন) না মেটায়, তাহলে আয়কর আইনে ছাড় মিলবে না। কর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থা নির্দিষ্ট সময়ে মেটাবে না, তা ‘খরচ’ হিসেবে গণ্য হবে না এবং তা মুনাফার সঙ্গে যুক্ত হবে। এর ফলে ওই বাকি রাখা টাকার উপর কর মেটাতে হবে সংস্থাটিকে। এক্ষেত্রে কর বাঁচাতে সংস্থাগুলি ক্ষুদ্র শিল্প থেকে জিনিস কেনা বন্ধ করে দেবে। আয়কর আইনের এই সংশোধনী সম্প্রতি ঘোষিত হয়েছে এবং চলতি অর্থবর্ষ থেকেই তা চালু করার কথা বলা হয়েছে। সেই কারণেই চলতি অর্থবর্ষের শেষলগ্নে এসে বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে হাজার হাজার ছোট শিল্প সংস্থা।
শিল্পমহল বলছে, তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই কেন্দ্র একতরফা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, ক্ষুদ্র শিল্পে সাধারণত ৯০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে পেমেন্ট দেওয়ার প্রথা চালু আছে। কেন্দ্রের কাছে তাদের আর্জি অন্তত পেমেন্টের ক্ষেত্রে অন্তত ৯০ দিন সুযোগ দেওয়া হোক। তা না-হলে কেউই ভরসা করে ছোট শিল্প সংস্থাকে পণ্যের বরাত দেবে না। কারণ, যদি তারা ৪৫ দিনের মধ্যে পেমেন্ট জমা না করে, তাহলে বড় অঙ্কের আয়কর মেটাতে হবে। গোটা দেশে প্রতিবাদ হলেও বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র এখনও চুপ।