পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৯টা। বল হাতে পুজো শুরু করলেন মোহন বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। সংকল্প হল দুই তরুণ ফুটবলার দীপ্যেন্দু বিশ্বাস ও আমনদীপ সিংয়ের নামে। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন তারকা ফুটবলার শিশির ঘোষ ও প্রসূন বন্দোপাধ্যায়। তার আগে কয়েক মিনিটের জন্য দেখা গেল প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসুকে। শুভারম্ভের প্রতীক, নারকেলের জল ছেটানো হল পবিত্র বারপোস্টে। সমর্থকদের আবেগের সঙ্গী হলেন সভাপতি টুটু বসু। নববর্ষের প্রথম দিনে সূর্যের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই হাজার হাজার সমর্থকের ভালোবাসায় ভাসল মোহন বাগান তাঁবু। পুজো শেষে মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠান। তারপর কিংবদন্তি ফুটবলার উমাপতি কুমারের নামে বই উদ্বোধন করলেন বাগান সচিব। পাশাপাশি, মোহন বাগানের পুরনো অ্যাপ এদিন নতুন মোড়কে হাজির। অনুরাগীদের জন্য ছিল লুচি, ছোলার ডাল, আলুর দম, বোঁদে, হালুয়া এবং পান্তুয়া। তাই অনুষ্ঠান শেষে মিষ্টিমুখেই বাড়ির পথ ধরলেন ক্লাব অন্ত প্রাণ সমর্থকরা।
পিছিয়ে ছিল না ময়দানের বাকি ক্লাবগুলিও। কাস্টমসের বারপুজোর মধ্যমণি গৌতম সরকার। সঙ্গে ছিলেন বিকাশ পাঁজি, সুমিত মুখার্জিরা। গত মরশুম থেকেই দলের টিডি হিসেবে কাজ করছেন সাতের দশকের ময়দান কাঁপানো মিডিও গৌতম। এদিন তাঁর হাতে সাম্মানিক আজীবন সদস্যপদ তুলে দেওয়া হয়। রানি রাসমণি রোডের ভবানীপুর ক্লাব তাঁবুও সেজে উঠেছিল এই বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য। ক্লাব সচিব সৃঞ্জয় বসুর নেতৃত্বে নতুন মরশুমে ভালো ফল করতে মরিয়া তারা। এদিকে, অতীতে জায়ান্ট কিলার নামে পরিচিত খিদিরপুর তাঁবুতেও ছিল উৎসবের আমেজ। ময়দানের পোড়খাওয়া কর্তাদের ভিড়ে তখন ময়দান মার্কেট চত্বর যেন একটুকরো ভারতীয় ফুটবল।