মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
চোট সারিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামব্যাক করার পর বুমরাহকে আগের ফর্মে পাওয়া যাচ্ছে না ঠিকই, তবে তিনি ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কড়া সমালোচনা তাঁকে আরও চাপে ফেলে দিচ্ছে বলে মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। বুমরাহ যদি দ্রুত ছন্দ ফিরে না পান, তাহলে টেস্ট সিরিজেও কোহলি বাহিনীর লড়াই কঠিন হবে। আর তাই
কঠিন সময়ে বুমরাহর পাশে দাঁড়ালেন সতীর্থ মহম্মদ সামি। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে বুমরাহর সমালোচকদের একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এটা ভেবে অবাক হচ্ছি যে, কী করে মানুষ বুমরাহর ম্যাচ জেতানো বোলিং পারফরম্যান্সগুলি এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেল? একজন ক্রিকেটার চোটের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকলে ফর্মে ফিরতে সময় লাগে। আমার ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছিল। ২০১৫ সালে আমার হাঁটুতে সমস্যা ধরা পড়ার পর মনে হয়েছিল আর কোনওদিন বল করতে পারব না। কিন্তু সেখান থেকে আমি দারুণভাবে ফিরে আসতে পেরেছিলাম মনের জোরে আর সমর্থকদের আশীর্বাদে। কিছুদিন আগেই এই বুমরাহকে নিয়ে সবাই নাচানাচি করছিল। কিন্তু ২-৪টি ম্যাচে একটু খারাপ পারফর্ম হতেই সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। দু’টো ম্যাচের ব্যর্থতা দিয়ে বুমরাহর মতো তারকা পেসারের যোগ্যতা ও দক্ষতা যাচাই করা ঠিক নয়। এর আগে যে ও কত ম্যাচ জিতিয়েছে, সেটা ভুলে গেলে হবে? খেলোয়াড়দের কেরিয়ারে ওঠা পড়া থাকে। বুমরাহ একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে ওর পাশে থেকে ওকে উৎসাহ দেওয়া উচিত। সেটা না করে অহেতুক সমালোচনা করে ওকে আরও চাপে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। আসলে এখন সমালোচনা করার জন্য অনেকে অর্থ পান। সেই ধরনের মানুষ সব সময় কিছু না কিছু খুঁত খুঁজতে থাকেন। আমি তো বুমরাহকে বলব, সমালোচনায় কান না দিয়ে খেলায় মনোনিবেশ করতে। তাতে ওর পাশাপাশি দলেরও লাভ হবে।’
তবে প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করেছেন ভারতীয় পেসাররা। এই প্রসঙ্গে সামি বলেন, ‘এই ধরনের পিচ পেসারদের কাছে বরাবরই পছন্দের। বল করে আনন্দ পেয়েছি। পিচে ঘাস ছিল। আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। তাই নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের সমস্যা হয়েছে বাউন্স খেলতে।’