নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ক্লাবের ৭০ শতাংশ শেয়ার বিক্রির ইঙ্গিত গত সপ্তাহেই দিয়ে রেখেছিলেন কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের অন্যতম ডিরেক্টর সুব্রত নাগ। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে শেয়ার বিক্রি নিয়ে আলোচনা চলছে।’ কোনও নির্দিষ্ট সংস্থার নাম অবশ্য সেদিন তিনি জানাননি। তবে জানা গিয়েছে, শেয়ার ট্রান্সফারের বিষয় নিয়ে এফএসডিএলের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন কোয়েসের বেঙ্গালুরু অফিসের কর্তারা। শেষ পর্যন্ত বাজারে যদি ৭০ শতাংশ শেয়ার কেনার মতো কোনও কোম্পানিকে না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে এফএসডিএলের কাছে তাদের স্টেক হস্তান্তর করতে পারে কোয়েস। যদিও এফএসডিএল এই স্টেক সরাসরি নিজেদের হাতে রাখতে পারবে না। কারণ তারা আইএসএল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। তাই ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হলে স্বার্থের সংঘাত নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। অগত্যা বিকল্প পন্থা হিসেবে এফএসডিএল তাদের বরাদ্দ শেয়ার অন্য কোনও সংস্থাকে বিক্রি করে দিতে পারে। তখন নতুন সংস্থাটি ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের মালিক হবে। এফএসডিএল যদি তাদের সঙ্গে ‘ডিল’ করে তবে ইস্ট বেঙ্গলের আইএসএলে খেলা নিয়ে কোনও সংশয় থাকবে না।
কর্তারা ভাবছিলেন তেমন অর্থ খরচ না করেই ফুটবল বিভাগের স্বত্ব তাঁরা ফিরে পাবেন। কোয়েস কর্তাদের মতিগতি এখন অন্যরকম। দিন তিনেক আগে ফুটবল হাউসে ছিল লিগ কমিটির মিটিং। সেই সভায় এফএসডিএলের কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ওই সভার পর থেকে কোয়েসের এই প্রচেষ্টা নিয়েই ফুটবল হাউসে প্রবল আলোচনা চলছে। কুশল দাস, সুব্রত দত্তর মতো শীর্ষকর্তারাও এই ব্যাপারে নজর রেখেছেন। কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের শেয়ার আছে বিভিন্ন ডিরেক্টরদের হাতে। তাই শেয়ার হস্তান্তরে জটিলতা কম। তবে ইস্ট বেঙ্গলের শীর্ষকর্তারা চেষ্টা করছেন কোয়েসের শেয়ারকে ফিরিয়ে আনতে। এই জটিলতা এপ্রিলের আগে কাটার সম্ভাবনা কম। শতবর্ষে শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও গাড্ডায় ইস্ট বেঙ্গল।