মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
৫ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি গুজরাতের বরোদা স্টেডিয়ামে তৃতীয় জাতীয় বয়স্ক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। সেখানে মোট ১৪টি বিভাগে পাঁচ হাজার প্রতিযোগী ছিলেন। অ্যাথলেটিক্স ছাড়াও সেখানে ভারোত্তলন ও ভলিবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। গুজরাত ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্য সহ ২১টি রাজ্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এরাজ্য থেকেও অনেক প্রতিযোগী গিয়েছিলেন। সেখানেই কাটোয়ার কোশিগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অজয়বাবু দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। জানা গিয়েছে, বয়স্কদের জন্য ৪০০ ও ৮০০ মিটার দৌড়ে তিনি প্রথম স্থান দখল করে দুটি সোনার পদক জেতেন। ১৫০০ মিটার দৌড়ে তৃতীয় স্থান দখল করে একটি ব্রোঞ্জ পদক পান। অজয়বাবুর এই সোনার পদক জয়ের খবরে কাটোয়ার ক্রীড়াপ্রেমীরাও উচ্ছ্বসিত।
কাটোয়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা অজয়বাবু ছোট থেকেই ভোরবেলা নিয়মিত মাঠে দৌড়ান। স্কুল থেকে ফিরে সন্ধ্যাবেলাও দৌড়ান। ৫৯ বছরেও এভাবে দৌড়ে সোনার পদক জয়ের খবরে হতবাক সকলে। অজয়বাবু বলেন, আমি ছোট থেকেই দৌড় প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে নানা পদক পেয়েছি। দৌড়ানো আমার নেশা। মাস খানেকের মধ্যেই শিক্ষকতা ছেড়ে অবসর নেব। ২০২১ সালে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে প্রথম জাপানে বয়স্কদের জন্য ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ’ আয়োজিত হবে। সেখানে সুযোগ পাওয়ায় খুব ভালো লাগছে। এরাজ্য থেকে আরও ৯ জন সুযোগ পেয়েছেন। তবে এবার আমার মূল লক্ষ্য ওই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া।