মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
ম্যাচ চলাকালীন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান ইমনের সঙ্গে প্রকাশ্যে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়েছেন রবি বিশনোই। স্লেজিং করার সময় তিনি খারাপ ভাষা ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এখানেই শেষ নয়, ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফের মেজাজ হারিয়ে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়েছেন রবি ও আকাশ সিং। এই প্রসঙ্গে রবির বাবা মাঙ্গিলাল বলছেন, ‘প্রথমে বিষয়টা সম্পর্কে আমরাও ঘোর অন্ধকারেই ছিলাম। পরে আমাদের কাছে গোটা বিষয়টা খোলাখুলি জানিয়েছে রবি। কেন সেদিন মাথা গরম করেছিল, তাও আমাদের কাছে ব্যাখ্যা করেছে। জানিয়েছে, ম্যাচের শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তেড়ে এসেছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের দিকে। সেই সময় সতীর্থদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সে। সেই সময় নিজের মেজাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি রবি।’ ফাইনালে ভারতের হার, তার ওপর ছেলের বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা অত্যন্ত হতাশ করেছে রবির মা’কে। দুঃখে তিনি খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানালেন মাঙ্গিলাল। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী এই ঘটনার পর গত দু’দিন ধরে কিছু মুখে তোলেনি।’
প্রায় একই সুর রবির শৈশবের কোচ প্রদ্যোৎ সিংয়ের গলায়ও। তিনি বলেন, ‘রবিকে আমি গত ১০ বছর ধরে চিনি। ভীষণ শান্ত-নম্র স্বভাবের ছেলে। ও মেজাজ হারাতে পারে ভাবতেই পারি না। তাই আমিও অবাক হয়েছিলাম ফাইনালের ঘটনায়। রবির সঙ্গে আমি এই ব্যাপারে কথা বলেছি। সে আমাকে কথা দিয়েছে যে, ভবিষ্যতে মাঠের মধ্যে আর এরকম আচরণ করবে না।’ প্রদ্যোৎ সিং সেই সঙ্গে যোগ করেন, ‘ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। ম্যাচ শেষে হাতাহাতির মতো ঘটনা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। আমি শুনেছি, বাংলাদেশের বোলাররা খারাপ ভাষা প্রয়োগ করছিল। ওদের একজন বোলার তো দিব্যাংশ সাক্সেনার দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বলও ছুঁড়ে মেরেছিল। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের আউট করার পর ওরা যেভাবে উৎসব করছিল, তা মানা যায় না। তার জেরেই ভারতীয় ক্রিকেটাররাও মেজাজ হারিয়েছিল।’