নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা: গত দশকে ইস্ট বেঙ্গল সমর্থকদের হার্টথ্রব সুলে মুসা আর এম সুরেশ মাঠের মধ্যে বসেই শুক্রবার লিগের খেলা দেখলেন। দুই জনের চেহারাই হঠাৎ ভারী হয়ে গিয়েছে। সুলে মুসা জানালেন,‘ফুটবলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। তিনি এখন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। জমি কেনা আর ফ্ল্যাট তৈরি করতেই সপ্তাহের ছয় দিন চলে যায়। ঘানায় এখন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন খুবই জনপ্রিয়। ওরা প্রবীণদের লিগ সংগঠন করে। জ্যাকসন ওই লিগে খেলে থাকে। কিন্তু আমার সময় নেই। আমি এখন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। তবে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব যখন মাস তিনেক আগে শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের জন্য যোগাযোগ করে তখনই ঠিক করেছিলাম কলকাতায় আসব। আসলে ঘানায় থাকলেও লাল হলুদ জনতার সেই মু-সা, মু-সা আওয়াজ এখনও কানে ভাসে। শুক্রবার বিরতিতে যখন এই আওয়াজ উঠল তখন সত্যিই উদ্বেল হয়ে উঠেছিলাম। মনে হচ্ছিল, এখনই জার্সি পরে নেমে যাই। তবে দলের তরুণ ব্রিগেডের খেলা দেখে আমি একটু হতাশ। আমি লাল হলুদ জার্সিতে খেলার সময়ে দীপঙ্কর রায়, ষষ্ঠী দুলে, টুলুঙ্গা ইস্ট বেঙ্গলে এসে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। ওদের মধ্যে মরশুমের প্রথম ম্যাচ থেকে যে জোশ, উদ্যাম, লড়াকু মনোভাব দেখেছিলাম তা এদিন লাল হলুদের শতবার্ষিকী দলে দেখলাম না। পরে হয়তো এঁদের মধ্যে কেউ দাঁড়িয়ে যাবে।’ ২০০৩-০৪ মরশুমকেই স্বাভাবিকভাবে সেরা বছর হিসাবে চিহ্নিত করলেন সুলে মুসা। ভারতে আপনার দেখা সেরা কোচ কে? পি কে ব্যানার্জির অধীনে খেললেও সুলে মুসা সটান বলে দিলেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যর নাম। প্রয়াত কর্তা স্বপন বলের জন্য তাঁর গলায় ছিল আক্ষেপ।
সুলে মুসা বললেন,‘আমরা এসেছিলাম কলকাতা লিগের মাঝে। লিগে মনাদা আমাদের বেশি ম্যাচ খেলাননি। পুজোর পর ব্রেক ছিল। ওই ব্রেকে আমাদের তৈরি করে ডুরান্ডে খেলিয়েছিলেন। তখন চিমা ছিলেন ভয়ঙ্কর। আমার আর জ্যাকসনের উপর নির্দেশ ছিল ওর প্রতি ডাবল কভারিংয়ে। আমরা আসার আট মাসের মধ্যে চিমা সাসপেন্ড হয়ে যায়। কেরিয়ারও শেষ হয়।’ সুরেশ বললেন,‘মেয়ের খেলাধুলায় কোনও উৎসাহ নেই। তবে ছেলে ইদানীং ফুটবলে আগ্রহ দেখাচ্ছে।’