বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
অতীতে সৌরভ গাঙ্গুলি এবং ভিভিএস লক্ষ্মণকে স্বার্থের সংঘাতের আওতায় পড়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছিল বিসিসিআই। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন রাহুল দ্রাবিড়। ভারতীয় ‘এ’ দলের কোচ হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া রাহুলকে যে নোটিস ধরানো হতে পারে, তা কল্পনাই করতে পারছেন না সৌরভ। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে একটা নতুন একটা ফ্যাশন এসেছে। কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট। খবরে থাকার দারুণ উপায় এটা। তা নাহলে শেষে দ্রাবিড়কেও কিনা বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসারের কাছ থেকে স্বার্থের সংঘাতের নোটিস পেতে হয়! আমি সত্যিই বিস্মিত।’ সৌরভের টুইট ধরেই আক্রমণ শানিয়েছেন হরভজন সিংও। তাঁর মতে, বিসিসিআই এই নোটিস ধরিয়ে দ্রাবিড়ের মতো মহান ক্রিকেটারের অপমান করেছে। ভাজ্জি লিখেছেন, ‘জানি না, ভারতীয় ক্রিকেট ঠিক কোন দিকে এগচ্ছে! দেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য দ্রাবিড়ের থেকে ভালো কাউকে পাওয়া যাবে না। সেই গুরুদায়িত্ব অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে পালন করে চলা মানুষটাকেই কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট সংক্রান্ত নোটিস পাঠানোর মানেটা কি? আমি মনে করি, দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে নোটিস ধরানো মানে তাঁকে অপমান করা। দেশের ক্রিকেটের ভালোর জন্যই ওর সার্ভিস প্রয়োজন। সত্যিই, ভগবানই পারেন ভারতীয় ক্রিকেটকে রক্ষা করতে।’
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের লাইফ মেম্বার সঞ্জীব গুপ্তা দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন বিসিসিআইয়ের ওম্বুডসম্যান ডিকে জৈনের কাছে, যিনি বোর্ডের এথিক্স অফিসার হিসাবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অভিযোগকারীর দাবি, দ্রাবিড় একই সঙ্গে এনসিএ’র ডিরেক্টর এবং ইন্ডিয়া সিমেন্টস গ্রপের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। এই ইন্ডিয়া সিমেন্টসেরই ফ্র্যাঞ্চাইজি টিম চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএলে খেলে। ডিকে জৈন জানিয়েছেন, ‘গত সপ্তাহে পাওয়া একটা অভিযোগের ভিত্তিতেই আমি রাহুল দ্রাবিড়কে নোটিস পাঠিয়েছি। স্বার্থের সংঘাতের বিষয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য ওনাকে দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। ওনার উত্তরের ভিত্তিতেই আমি এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’