পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথমে পিছিয়ে থেকে পরে ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়েও সেই ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না এটিকে। রবিবার আইএসএলে পুনের বালেওয়াড়ি স্টেডিয়ামে এফসি পুনে সিটির কাছে আটকে স্টিভ কোপেলের দল। প্রথম চার দলের মধ্যে থেকে কার্যত প্লে-অফে খেলার আশা শেষ কলকাতার দলের। ১৫ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে এটিকে রয়েছে ছ’নম্বরেই। তারপরেই ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে পুনে।
এদিন দুটো দলই জয়ের লক্ষ্যে ওপেন ফুটবল খেলে। কিন্তু এটিকে স্টপার জন জনসন প্রথমে গোল উপহার দেন এফসি পুনে সিটি’কে। ১৭ মিনিটে রবিন সিংয়ের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ-পায়ে নেওয়া পুনের মার্কো স্টানকোভিচের শট জন জনসনের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন হয়ে জালে জড়িয়ে যায় (১-০)। ছ’মিনিট পরেই এটিকে সমতা ফেরায়। এডু গার্সিয়ার পাস থেকে বক্সের কোণাকুণি জয়েশ রানের ডান পায়ের ইনস্টেপে নেওয়া শট সোয়ার্ভ করে দ্বিতীয় পোস্টের কোণ দিয়ে জালে জড়িয়ে যায় (১-১)। নিঃসন্দেহে আইএসএলের এটি অন্যতম সেরা গোল।
ম্যাচের শুরুতে প্রথম ধাক্কা দেয় এটিকে। ১২ মিনিটে এডু গার্সিয়ার ডান পায়ের শট ক্রসপিসে ধাক্কা খায়। ২৫ থেকে ২৭ মিনিটের মধ্যে দুটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল এটিকে। ল্যাঞ্জারোটের শট ক্লিয়ার করতে প্রায় আত্মঘাতী গোল করে বসেছিলেন পুনের ডিফেন্ডার! অল্পের জন্য বেঁচে যায় তারা। তারপরেই এভার্টন স্যান্টোসের ব্যাকভলি পোস্টের উপর দিয়ে বাইরে যায়। ৬০ মিনিটে এটিকে ব্যবধান বাড়ায়। বক্সে হ্যান্ডবল করেন পুনের ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে গোল এডু গার্সিয়ার (২-১)। আইএসএলে তাঁর প্রথম গোল।
পিছিয়ে পড়ার পর প্রতিপক্ষ বক্সে চাপ বাড়ায় পুনে। ৭৬ মিনিটে কর্নার থেকে এটিকে স্টপার অর্ণব মণ্ডলের মাথার উপর দিয়ে হেডে গোল করে সমতা ফেরান পুনের স্ট্রাইকার রবিন সিং (২-২)। গোলের পর রিজার্ভ বেঞ্চে বসা পুনের সহকারী কোচ ট্রেভর মরগ্যান উচ্ছ্বাসে লাফিয়ে ওঠেন। একদা ইস্ট বেঙ্গলে এই ব্রিটিশ কোচের প্রশিক্ষণেই রবিন সিংয়ের উত্থান হয়েছিল। এরপর দু’বার ফ্রি-কিক থেকে অনবদ্য সেভ করে এটিকে’কে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য।