পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
ধারাবাহিক পেমেন্ট সমস্যার মধ্যে দলের ফোকাস ধরে রাখাই খালিদ জামিলের পক্ষে ছিল চ্যালেঞ্জের। ম্যাচে বল পজেশন চার্চিলের কিছুটা বেশি থাকলেও মোহন বাগান প্রথমার্ধে লড়াই থেকে সরেনি। ম্যাচের তিন মিনিটে সনি নর্ডি একক প্রচেষ্টায় দু’জনকে কাটিয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় বল পেয়েও বাইরে মারেন। ৩২ মিনিটে অবিনাশ রুইদাসের কর্নারে হেনরি হেড করতে উঠলে এলডর ক্লিয়ার করে দেন। ৩৯ মিনিটে অবিনাশ রুইদাসের সেন্টার বক্সে হেডে নামিয়ে দেন হেনরি। সেই বলের দখল নিতে ঝাঁপান চার্চিল গোলরক্ষক। প্রায় তাঁর হাত থেকে ছোঁ মেরে বলটি কেড়ে ঘাড়ের কাছে এক ডিফেন্ডারকে নিয়ে চমৎকার পুশ করে দলকে এগিয়ে দেন ডিপান্ডা ডিকা (১-০)। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আরও একবার হেনরি-ডিকা কম্বিনেশনের ঝলক দেখা যায়। এবার ডিকার পাস থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় বল পেয়ে বাইরে মারেন হেনরি।
মোহন বাগান কোচ শনিবার সনি নর্ডিকে প্রায় তৃতীয় স্ট্রাইকার হিসাবে খেলান। মাঝখানে হোল্ডিং মিডিও হিসাবে খেললেন ওমর আল হুসেইনি। ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসাবে দেখা গেল মেহতাব হোসেনকে। তাতেও মোহন বাগান মাঝমাঠের খেলায় ‘শ্রী’ দেখা গেল না। দুটি ক্ষেত্রে আক্রমণ করা ছাড়া সনি নর্ডি কিছুই করতে পারেননি। অনূর্ধ্ব-২২ কোটায় আজহার বা পিন্টু মাহাতোকে না খেলিয়ে খালিদ জামিল অ্যামে রানওয়াডে খেলালেন লেফট ব্যাকে। তিনি অভিষেক আম্বেকরের তুলনায় অনেক ভালো খেললেন। চার্চিল মাঝমাঠে ভালো খেললেন খালিদ আউচো। গত মরশুমে তাঁকে ইস্ট বেঙ্গলে এনেছিলেন খালিদ জামিলই। পুরানো ছাত্র এদিন খালিদ জামিলের মুখের গ্রাস কেড়ে নিলেন। মাঝমাঠ খালিদ আউচোর থেকে বল পেয়ে প্লাজা চমৎকার থ্রু বাড়ান গোলমুখে। অ্যান্টনি উলফ বক্সে সেই বল ধরলে তাঁকে শরীর দিয়ে ‘আড়াল’ করার পরিবর্তে ফাউল করে বসেন কিংসলে। যদিও কিংসলের ফাউলের আগেই বলের নিয়ন্ত্রণ হারান উলফ। রেফারি পেনাল্টি দেন। উলফের পেনাল্টি শট শিলটন পালের বাড়িয়ে দেওয়া পা হাল্কা স্পর্শ করে গোলে ঢোকে (১-১)। বাকি সময়ে প্লাজাকে সামনে রেখে ঝড় তোলার চেষ্টা করে চার্চিল। তবে মোহন বাগানীদের দৃঢ়তায় চার্চিল সফল হয়নি। খালিদের দল একটি পয়েন্ট পাওয়ার পাশাপাশি খেতাবি দৌড়ের চতুর্মুখী লড়াইকে ত্রিমুখী করে দিল। সরস্বতী পুজোর আগের দিন এটাই পাওনা মোহন বাগান সমর্থকদের।