সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
রঘুনাথপুরের মহকুমা শাসক তামিল ওভিয়া এস বলেন, বুধবার সাঁওতালডিহির পাহাড়িগোড়া পাহাড়ে ধস নামার খবর আসে। তাই এলাকার মানুষ যাতে অযথা আতঙ্কিত না হয় এবং বিপদ এড়ানো যায় তাই মাইকিং করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন থেকে চার দিনের নিম্নচাপের লাগাতার বৃষ্টিপাতের ফলে সাঁওতালডিহি সংলগ্ন পাহাড়িগোড়া পাহাড়ে ধস নামতে শুরু করে। পাহাড়িগোড়া ঝাড়খণ্ড রাজ্য ঘেঁষা একটি জনবসতি পূর্ণ এলাকা। বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ পাহাড় আর কাশফুল দেখে আসেন। পাশাপাশি এলাকার মানুষেরা পাহাড়ে গবাদি পশু চরাতে যায়। হঠাৎ সেই পাহাড়ে ধস নামার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পাহাড়িগোড়ায় একটি বিশাল পাহাড় রয়েছে। অভিযোগ, কিছু পাথর চোরা কারবারি প্রশাসনের এক শ্রেণির আধিকারিকদের হাতে রেখে কয়েক বছর আগে সেই পাহাড় ভেঙে পাথর বের করে তা বাইরে পাচার করত। পাহাড় ভাঙতে ব্যবহার হতো ডানামাইট। দিনের পর দিন পাহাড় থেকে পাথর বের করার ফলে পাহাড়টি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। পাহাড়কে বাঁচাতে গত বছর এলাকার মানুষরা একত্রিত হয়ে ‘পাহাড় ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির দীর্ঘ আন্দোলনের পর চোরাকারবারিরা পিছু হটে। কমিটি আইনি লড়াই করে। ফলে বর্তমানে পাহাড় কাটা বন্ধ হয়ে রয়েছে।
যার তোলা পাহাড় ধসের ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়েছে সেই হিমাংশু মাহাত বলেন, হঠাৎ দেখি পাহাড়ের উপর থেকে কিছু পাথর ধীরে ধীরে খসে পড়ছে। তাই মোবাইলে ভিডিও করতে শুরু করি। হঠাৎ দেখা যায় পাহাড়ের বিশাল একটা অংশ মুহূর্তের মধ্যে নীচে ধসে পড়ে। খুবই ভয়ংকর ছিল সেই দৃশ্য।
পাহাড় ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ মাহাত বলেন, একশ্রেণির মাফিয়ার জন্য পাহাড়টি ধ্বংসের পথে। আমাদের জেলাতে সচরাচর এই ধরনের ধস নামার ঘটনা দেখা যায় না। কিন্তু ওই পাহাড়কে যে ভাবে ব্যক্তি স্বার্থে কাটা হয়েছে তার ফলে ধস নামার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পাহাড়কাটা বন্ধ হলেও দানবাকার গর্তগুলি মেরামত হয়নি। তাই এই ঘটনা। গর্তগুলি মেরামত না করলে আগামী দিনে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আগামী দিনে যাতে পাহাড়ের ধ্বংসপ্রাপ্ত জায়গাগুলি মেরামত করে সৌন্দর্যায়নের মাধ্যমে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয় তার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।