সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
রানিগঞ্জ পুনর্বাসন প্রকল্পে ধস কবলিত এলাকার মানুষদের নতুন ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসনিক বৈঠক হল। এদিন আসানসোলের সার্কিট হাউসে বৈঠকে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলাশাসক পোন্নমবলম এস, আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, এডিডিএ’র চেয়ারম্যান কবি দত্ত, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, হরেরাম সিং উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ধসকবলিত এলাকার বিধায়করা চিহ্নিত করবেন, কোন কোন এলাকার অবস্থা খুব খারাপ। এলাকার মানুষকে বুঝিয়ে পুনর্বাসন প্রকল্পে নির্মিত ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হবে। জেলাশাসক বলেন, প্রাথমিকভাবে তিন হাজার পরিবারকে স্থানান্তর করার জন্য আমরা প্রস্তুত।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারির সাতগেছিয়ায় বজ্রপাতে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, তাঁদের নাম বাপিলাল টুডু(৪৭) ও আরতি টুডু(৪২)। তাঁরা শুক্রবার বেগুটে মাঠে কাজ কাজ করতে গিয়েছিলেন। আচমকা বজ্রপাতে তাঁদের দু’জনের মৃত্যু হয়। ছিঁড়ে পড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বারাবনি থানার লালগঞ্জের আমডিয়ায় সুবোধ গড়াইয়ের(২০) মৃত্যু হয়েছে।
দুই বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। বর্ধমান শহরের গোলাপবাগ, নার্স কোয়ার্টার, স্টেশন চত্বর সহ বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়। রাস্তা আগে থেকেই খানাখন্দে ভর্তি ছিল। বৃষ্টির জল জমে যাওয়ায় বেশ কিছু রাস্তায় চলাচল করা বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল। তবে বৃষ্টি হওয়ায় ধান চাষিরা খুশি। জমিতে জলের প্রয়োজন ছিল। বৃষ্টি সেই ঘাটতি মিটিয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জেরে দুর্গাপুর থেকে লাউদোহা পাকা রাস্তার উপরও ধস নেমেছে। ফরিদপুর থানার সামনে এই ধস ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। আসানসোল স্টেশন সহ শহরের বেশ কিছু অংশ জলমগ্ন হয়ে যায়। ট্রেন ধরতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। মেয়র বলেন, স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশাল শপিংমল হয়েছে। সেই কারণে জল জমে যাচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে। রেলের সঙ্গে সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
ভারী বৃষ্টি হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে। তাই ডিভিসি কখন জল ছাড়ে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ডিভিসির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অঞ্জনীকুমার দুবে বলেন, ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের বাঁধগুলিতে জল ধরে রাখার মতো অবস্থায় রয়েছে। মাইথন থেকে ছ’হাজার ও পাঞ্চেত থেকে ২০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে।
বৃষ্টির জেরে আউশগ্রামের বিষ্ণুপুর গ্রামে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে টিনের ছাউনি দেওয়া মাটির দোতলা বাড়ি। মাটি চাপা পড়ে একবছরের শিশুকন্যা সহ তিনজন গুরুতর জখম হয়। তাদের মানকর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।