যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট, বীরনগর ও তাহেরপুর- তিন পুরসভা এলাকাতেই বড় অঙ্কের লিড পেয়েছিল বিজেপি। বীরনগর পুরসভায় প্রায় ৮ হাজার ভোট, রানাঘাট পুরসভায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ভোট এবং তাহেরপুরে প্রায় ৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়েছিল পদ্ম শিবির। পরবর্তীতে পুরসভা নির্বাচনে তাহেরপুর দখল করে বামেরা। শান্তিপুরের মতো রানাঘাট ও বীরনগর পুরসভাও তৃণমূল নিজেদের দখলে রাখে। নির্বাচনী প্রচারের শেষ দুই সপ্তাহে শহরকেন্দ্রিক প্রচারের দিকেই এবার বাড়তি নজর দিচ্ছে তিন রাজনৈতিক দলই।
এদিকে, এপ্রিলের শেষ শনিবার দিনভর বীরনগর পুরসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার চালান রানাঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। এদিন সকালে বীরনগরের চণ্ডীতলায় পুজো দেন তিনি। এরপর ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত শোভাযাত্রার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার সারেন তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেন, যেকোনও ভোটের ক্ষেত্রে শহরের বাসিন্দারা খানিকটা অন্যভাবে ভাবেন। শহরের ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। বীরনগর পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত বছর যে ব্যবধানে আমরা পিছিয়েছিলাম, এবছর তার থেকে অনেকটা বেশি লিড দিতে পারব বলে আশা করছি।
অন্যদিকে এদিন সকাল থেকেই তাহেরপুর পুরসভা এলাকার দুই প্রান্তে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছে সিপিএম প্রার্থী অলকেশ দাস ও বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে। নিজেদের শক্তিশালী গড় বলে দাবি করা তাহেরপুরে গত পুরসভা নির্বাচনে ব্যাপক জনসমর্থন আদায় করতে পেরেছিল বামেরা।
তাহেরপুর পুরসভা এলাকায় এবার সেই অঙ্কই ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ বামপ্রার্থীর কাছে। তিনি বলেন, প্রতিটি পুরসভা এলাকাতেই প্রচারে আমরা অনেক বেশি এগিয়ে। আমাদের রেড ভলান্টিয়ার থেকে শুরু করে প্রত্যেক নেতৃত্ব ছোট ছোট স্ট্রিট কর্নারের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাহেরপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তমানন্দ দাসের দাবি, শুধু এই পুরসভা এলাকাই নয়, পার্শ্ববর্তী খিসমা, কালীনারায়ণপুর পাহাড়পুর সহ বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে বামেদের ফল খুবই ভালো হবে।
অন্যদিকে রানাঘাট পুরসভার কুড়িটি ওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত ১৬টি ওয়ার্ড থেকে ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বিজেপি। গত পুরসভা নির্বাচনে এখানে সেভাবে দাগ কাটতে না পারলেও উনিশের লোকসভা নির্বাচনের শহরভিত্তিক ফলাফল ধরে রাখলেই সহজ জয় সম্ভব হবে বলে দাবি পদ্ম শিবিরের। পদ্ম প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, পুরসভা নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন, শহরের বাসিন্দারা বরাবর সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মোদি সরকারের উপরেই ভরসা করেন। এবারও রানাঘাটের মতো প্রতিটি পুরসভা এলাকাতেই আমাদের ব্যাপক লিড থাকবে। পাল্টা রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রানাঘাট শহরবাসীর জন্য গত পাঁচ বছরে কিছুই করেননি জগন্নাথ সরকার। শহরের নাগরিক পরিষেবা, শিক্ষা, সংস্কৃতির উন্নয়নে সাংসদ ল্যাড থেকে একটিও টাকা খরচ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। তাই শহরের বাসিন্দারা এবার আর বিজেপির পাশে নেই।