আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে পুরুলিয়ার ন’টি বিধানসভার মধ্যে বাঘমুণ্ডি বিধানসভা কেন্দ্রটি এনডিএ জোট সঙ্গী আজসুকে ছেড়েছিল বিজেপি। বাঘমুণ্ডিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পরই দ্বিতীয় স্থানে ছিল আজসু। জোটসঙ্গী আজসু প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে বাঘমুণ্ডি এসেছিলেন অমিত শাহ। বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ভোট পাওয়ার পর পুরুলিয়া জেলায় নিজেদের সংগঠন বাড়াতে তৎপর হয়েছিল আজসু। যদিও লোকসভা ভোট আসতে আসতে পুরুলিয়ায় বিজেপির সঙ্গে আজসু দলের খারাপ সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
আজসুর পুরুলিয়া জেলা সভাপতি অতুলচন্দ্র মাহাত বলেন, পুরুলিয়ায় লোকসভা ভোটে আজসুর ভোটটা বিজেপির দরকার। যদিও বিজেপি প্রার্থী বা জেলা সভাপতির হয়তো আমাদের ভোটের প্রয়োজন নেই। মানসম্মান তো সবারই রয়েছে। পুরুলিয়া জেলায় আমরা সম্পূর্ণ চুপচাপ বসে আছি। এখনও পর্যন্ত বিজেপির তরফে একবারও ডেকে কোনও আলোচনা করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমাকে বাইপাস করে দল থেকে বহিষ্কৃত কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করে আজসু দল পুরুলিয়ায় বিজেপির সঙ্গে আছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। যা একদমই ঠিক নয়। তাছাড়া যদি উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়ে থাকে তাহলে ওই বড় নেতারা এসে প্রচার করবেন। আমরা বাড়িতেই বসে থাকব।
অতুলবাবু আরও বলেন, দলের তরফে এখনও বিজেপির হয়ে পুরুলিয়ায় প্রচারে নামার কোনও নির্দেশ আসেনি। বিজেপির যদি মনে হয় পুরুলিয়ায় আমাদের দলকে খাতির যত্ন করার কোনও দরকার নেই, তাহলে বিকল্প হিসেবে আমরা প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনাও শুরু করেছি।
আজসুর আরএক নেতা বলেন, বিজেপি প্রার্থীর পক্ষে প্রচার করা হচ্ছে ওরা নাকি এবার তিন লক্ষ ভোটে জিতবে। কিন্তু, আখেরে বিজেপির রেজাল্ট পুরুলিয়ায় ভালো হবে না। বিজেপির পুরনো দিনের লোকজন প্রার্থীর সঙ্গে নেই।
বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, ইতিমধ্যে আজসু দলের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে সৌজন্যমূলক দেখা করার পাশাপাশি আলোচনাও হয়েছে। আজসু নেতারা নিজেদের এলাকায় তাঁদের মতো করে প্রচার করবেন বলে জানিয়েছেন। কোনও সমস্যার কথা শুনিনি।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির জোট সঙ্গী রয়েছে। আজসু দলের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। এটা দিল্লির বিষয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গৃহমন্ত্রী জোট সঙ্গীদের বিষয়টি দেখছেন।