নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
প্রতিদিন তাপমাত্রা বাড়ছে। আকাশে মেঘের ছিটেফোঁটা নেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জলীয় বাষ্প উধাও হয়ে যাচ্ছে। শুকনো গরমের দাপটে মুখ, শরীরে জ্বালা ধরছে। এই পরিস্থিতিতে সকাল দশটার পর থেকে শহরের রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে অবশ্য বিভিন্ন প্রয়োজনে বাইরে বেরতে হচ্ছে। বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন, মহকুমা প্রশাসনিক ভবন হাসপাতালে চত্বরে মানুষজন আসছেন। এই পরিস্থিতিতে তাপের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই লস্যি, সরবত খাচ্ছেন। সাধারণ দই, লস্যি, লেবু, জলের সঙ্গে চাহিদা মেটাতে ভিন্ন রকমের লস্যি নিয়ে বিক্রেতারা হাজির হয়েছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তরাঁর বাইরেও এবার সাধারণ দই লস্যির সঙ্গে বুরহানি, ছাঁচ, নমকিন লস্যি দেদার বিক্রি হচ্ছে। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের সামনে শেখ মোরসেদ আলি দীর্ঘদিন ধরে লস্যি বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, এবার সাধারণ দই লস্যির সঙ্গে বুরহানি, ছাঁচ, নমকিন লস্যির চাহিদা বেশি। কুড়ি থেকে তিরিশ টাকা দাম। নিমেষে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। নেতাজি স্কোয়ার সংলগ্ন এলাকায় এক আমের সরবত বিক্রেতা বলেন, আমের শাঁস, দই, বরফের টুকরা দিয়ে তৈরি সরবত ভালো বিক্রি হচ্ছে। পনেরো টাকা গ্লাস। বাসুদেবপুর সংলগ্ন লস্যি বিক্রেতা নিমাই ধারা বলেন, লেবুর শরবতের সঙ্গে জলজিরা, পুদিনা, আমপোড়ার সরবত মানুষ বেশি করে খাচ্ছেন। শহরের নামী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক রেস্তরাঁর মালিক বলেন, ক্রেতাদের ভিন্ন স্বাদ দিতে বুরহানি, ছাঁচ, নমকিন লস্যি বিক্রি করছি। দাম এখানে তুলনামূলক বেশি। শহরের ঘিয়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, কাজের জন্য বাইরে বেরতে হচ্ছে। তীব্র গরমে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই গলাতে ভেজাতে লস্যি, সরবত খাচ্ছি। নতুন ধরনের লস্যি খেয়ে ভালোই লাগছে। মহকুমা শাসকের দপ্তরের কর্মী চিরঞ্জিত ভুক্ত বলেন, দুপুরে টিফিন করতে বেরিয়ে চায়ের বদলে পুদিনা, আমপোড়ার সরবত খাচ্ছি। তাতে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। এই গরমে নানা স্বাদের লস্যি, সরবতই ভরসা।