নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে অধীরবাবু বলেন, অনেক কিছু ভুয়ো প্রচার করা হচ্ছে। যাতে কাউন্টিংয়ে কারচুপি করা যায় সেজন্য সাইকোলজিক্যাল গেম শুরু হয়েছে। কাউন্টিং এজেন্টরা যাতে ভগ্ন মানসিকতা নিয়ে যায় যে আমরা হারব, তাতে আর কাউন্টিং করে কী হবে? এসব করছে, যাতে আমরা দুর্বলভাবে কাউন্টিং শুরু করি। আমরা সালারের দিকে কয়েকটা বুথের রি-পোল চাইছি। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা ছ’-সাতটি বুথে পুনর্নির্বাচনের জন্য আবেদন করব।
বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি তথা কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার (ডেভিড) বলেন, পরাজয়ের আগে আগাম অজুহাত তৈরি করে রাখছেন অধীর চৌধুরী। ওঁর দাবির কী ভিত্তি আছে, সেটা জানি না। যদি কোনও বুথে ভোটে কারচুপি হতো, তাহলে এত সংবাদমাধ্যম ঘুরেছে, তারা সারাদিন ধরে তা দেখাত। কিন্তু কেউ কোথাও ঘুরে কোনও বুথের অনিয়মের কোনও ছবি পায়নি। বুথ থেকে আমাদের কর্মীরা যা হিসেব দিয়েছেন, তাতে সাতটি বিধানসভা মিলিয়ে আমাদের প্রার্থী ইউসুফ পাঠান অন্তত এক লক্ষ ভোটে জিতবেন।
বহরমপুরের বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, আমাদের কোনও পুনর্নির্বাচনের দাবি নেই। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী যেভাবে ভোট করে দেখিয়েছে, তাদের রাজ্য সরকারের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কোনও পক্ষপাতিত্ব ছাড়া ভোট হয়েছে। যে কারণে শক্তিপুরের মতো জায়গায় কিছু বুথে তৃণমূল এজেন্ট খুঁজে পায়নি। প্রতিটি বুথে বিজেপি এজেন্ট দিয়েছে। এভাবে ভোট হলে তবেই মানুষের আসল জনমত জানা যায়। আমরা জয়ের ব্যাপারে সম্পূর্ণ আশাবাদী। আমাদের প্রার্থী চিকিৎসক নির্মল সাহা জিতবেন।
এদিকে কংগ্রেস কর্মীরা স্ট্রং রুমে পাহারা দেবে না বলেও জানিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী। অধীরবাবু বলেন, এতদিন ধরে কে পাহারা দেবে? আমাদের ভরসা আছে নির্বাচন কমিশনের উপর।
এদিন রাজ্যপাল ইস্যুতে মুখ খুলে অধীরবাবু বলেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির কাহিনি কোথা থেকে আসছে জানি না। এগুলি তদন্ত সাপেক্ষ সব অভিযোগ। সত্যি সেটাও আমি মনে করি না, আবার সব অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়েও দিতে পারি না। তদন্ত হোক। কিন্তু খারাপ লাগছে এই ধরনের অভিযোগ একটা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আসছে। সত্যি মিথ্যা জানি না। এটা শোভনীয় নয়, এটুকু বলতে পারি।