নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
গত লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মানস ভুঁইয়াকে প্রায় ৮৯ হাজার ভোটে হারান বিজেপির দিলীপ ঘোষ। যদিও এবছর দিলীপবাবুকে মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর পাঠিয়েছে বিজেপি। এদিন মানসবাবুকে সঙ্গে নিয়েই জনতার উদ্দেশে অভিষেক বলেন, গত নির্বাচনে যে সুযোগটা একটু হলেও আপনাদের হাত থেকে হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে, তার বদলা বর্ধমান-দুর্গাপুরের মানুষ নিয়ে নিয়েছেন। দিলীপ ঘোষের পরাজয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। দিলীপবাবুকে কেন মেদিনীপুরে প্রার্থী করল না বিজেপি? অভিষেকই তার যুক্তি দিয়ে বলেন, গত পাঁচ বছরে সাংসদ থেকে যেভাবে মেদিনীপুরের মানুষকে বঞ্চিত করেছেন দিলীপবাবু, ওঁকে এবার মেদিনীপুরে প্রার্থী করলে দু’লক্ষ ভোটে হারতেন।
এদিনের জুন মালিয়ার সমর্থনে প্রচারে এসে মঞ্চ থেকে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে মেদিনীপুরে সাংসদ দিলীপ। বিজেপি দশ বছর ক্ষমতায়। মেদিনীপুরের জন্য আমরা কী করেছি সেই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসব, দিলীপ ঘোষ, নরেন্দ্র মোদি কী করেছেন তার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুক। পরিসংখ্যান সামনে রেখে লড়াই হোক। ভোকাট্টা করে মাঠের বাইরে বের করে দেব। অভিষেকের তোপ, এই দিলীপ ঘোষ কেন্দ্রকে একবারের জন্য একটা চিঠি পর্যন্ত লিখে বলেননি যে আবাস প্রকল্পে গরিব মানুষের বন্ধ টাকা ছাড়া হোক। মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, আমাকে যদি দেখাতে পারেন যে গত পাঁচ বছরে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেদিনীপুরে এসে একটা উন্নয়নমূলক বৈঠক করে মানুষের হাতে দশ পয়সার বাড়তি উন্নয়ন তুলে দিয়েছেন, আমি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখব না কথা দিচ্ছি। তবে, দিলীপবাবুকে আক্রমণের পাশাপাশি অগ্নিমিত্রাকেও তুলোধনা করেন অভিষেক। সন্দেশখালি ইস্যুতে অগ্নিমিত্রার ‘কুকীর্তি’ ফাঁস করেন অভিষেক। তিনি বলেন, সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে উনি বলেছিলেন যে, এই আন্দোলন এমনভাবে মানুষের কাছে পরিবেশন করব, যে এই আন্দোলন সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের থেকে বেশি বড় হবে। তাঁর সংযোজন, সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এখন ওদের মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালই বলছেন সাজানো। কোনও ধর্ষণ হয়নি। মহিলাদের দু’হাজার দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করিয়েছে, যাতে তৃণমূলের নেতাদের গ্রেপ্তার করিয়ে বাংলার মানুষকে কলুষিত, কালিমালিপ্ত করা যায়। গঙ্গাধর বলছেন যে বিরোধী দলনেতা বলেছিল বলে করেছিলাম। সেই বিরোধী দলনেতার শাগরেদের নাম অগ্নিমিত্রা পল। এরপরেই দাঁতনের সভায় পঞ্চাশ হাজার মানুষের সামনে অভিষেক প্রশ্ন ছুড়ে দেন, আমি মেদিনীপুরের মানুষকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, যারা দু’হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলার দশ কোটি মানুষের মর্যাদা, সম্মান দেশের মানুষের কাছে লুণ্ঠিত করেছে, সেই অগ্নিমিত্রা পলকে আপনারা ২৫ তারিখ উচিত শিক্ষা দেবেন না?
দাঁতনের সভায় প্রার্থী জুন মালিয়ার সঙ্গে অভিষেক।