নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
এদিন দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ মঞ্চে উঠে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা দিয়েই বক্তব্য শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ও সংসদে সবচেয়ে জোরালো ও প্রতিবাদী কণ্ঠ। একাই একশো। বিজেপি’র সাংসদদের বিরুদ্ধে একাই লড়াই করে গিয়েছে। তাই ওকে জেতান। ছাত্র-যুব করার সময় থেকে ও আমার সঙ্গে আছে’।
এরপরেই হুগলির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের কথা তুলে ধরেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক নির্বাচনের আগে আমি হুগলি তথা শ্রীরামপুরে আসি। এখানে ব্যান্ডেল চার্চ, ফুরফুরা শরিফ, মাহেশের জগন্নাথ মন্দির, ইমামবাড়া আরও কত কিছু আছে। সেসব আমার প্রিয়। এরাজ্যে সংস্কৃতির মেলবন্ধনের পীঠস্থান হুগলি। হুগলির তাঁতশিল্পের জন্য আমরা কাজ করেছি। এই জেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে’। এরপর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হুগলির কাছে গোটা বাংলা কৃতজ্ঞ। এখানকার মানুষই আমাকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। সেই মাটির সম্মান রক্ষা করতে জীবন দিতে হলেও দেব’।
হুগলি যেমন শিল্প-বলয় আছে, তেমনই রয়েছে কৃষি-বলয়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন একযোগে শ্রমজীবী মানুষের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘ওঁরা কাজ করেন। যাঁরা কোনও কাজ করে না, সেই বিজেপি সরকার এই মানুষদের শ্রমের অধিকার কেড়েছে। আপনাদেরই এর জবাব দিতে হবে’। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের ভরসার জায়গা ছিল পাটশিল্প। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা করে না। ভোট মিটে গেলেই পাটশিল্প নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন নামব আমি’।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ করে বলেন, ‘বিজেপি মানে বদমাইশের গাছ। গাছে বেঁধে ভালো করে আদর করে দিলে বুঝতে পারবে মিথ্যার খেসারত কাকে বলে’। আর এই প্রতিবাদের জন্যই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংসদে পাঠানোর আহ্বান জানান তিনি। এদিন নিজের বক্তব্যেও কল্যাণ বাম এবং বিজেপি প্রার্থীকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, একজন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বলে তাঁর মাটিতে পা পড়ে না। আরেকজনের তো পরিচয় একটাই, আমি তাঁর প্রাক্তন শ্বশুর। দু’জনেই ভোটপাখি। প্রতিবার হারে, আর গায়েব হয়ে যায়। এবার বরাবরের মতো বিদায় দিতে হবে।