নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
কিছু গাছকে বাঁচিয়ে রাস্তা সংস্কারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাকি গাছগুলির ক্ষেত্রে অন্যত্র স্থানান্তরকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত ব্যয়বহুল না হলেও খুব সহজসাধ্য নয়। এজন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিকাঠামো। কিন্তু প্রশাসন, বনদপ্তর এবং পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলির উদ্যোগে তারও বন্দোবস্ত হয়ে যায়।
সহকার সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা তথা সবুজপ্রেমী রূপক দেবশর্মা বলেন, বেশকিছু ধাপ রয়েছে এই বৃক্ষ স্থানান্তরকরণের। প্রথমে একটি বিকল্প জায়গা চিহ্নিত করতে হয় যেখানকার মাটির চরিত্র স্থানান্তরের জন্য বেছে নেওয়া গাছের বর্তমান জায়গার প্রায় অনুরূপ। এরপর পূর্ণবয়স্ক একটি গাছের মূল কাঠামো অক্ষত রেখে ডালপালা ছেঁটে প্রয়োজনীয় সার ও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহারের মাধ্যমে গাছটিকে প্রতিস্থাপন করা হয়। রাজ্যের বহু জেলায় এই প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। প্রথম পর্যায়ে বট, অশ্বত্থের মতো বিশালাকার পাঁচটি গাছের স্থানান্তরকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অনিন্দ্য সরকার বলেন, পূর্ণবয়স্ক গাছের স্থানান্তরকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রশাসনও পরিবেশ বান্ধব উন্নয়নে আগ্রহী। বিজ্ঞান মঞ্চের মালদহ জেলা সম্পাদক সুনীল দাস বলেন, আমরা চাই উন্নয়ন হোক। কিন্তু গাছ কেটে ফেলে নয়। পরিবেশের ক্ষতি করে নয়। আগামীতেও পরিবেশকে বাঁচিয়ে ও বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়ায় বৃক্ষের স্থানান্তরকরণের মাধ্যমে রাস্তা সংস্কারের ও সম্প্রসারণের দাবিতে আমরা সক্রিয় ভূমিকা নেব। ফাইল চিত্র