শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
কাটোয়ার খালপাড়ার কাছে অজয় ও ভাগীরথী নদী মিশেছে। সেখানে শাঁখাই ফেরিঘাট দিয়ে কেতুগ্রাম-২ ব্লকের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। আত্মশাসনকালে সর্বসাধারণের জন্য ফেরি পারাপার বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র আপদকালীন কাজের জন্য ফেরি পারাপার হচ্ছে। অভিযোগ, প্রশাসনের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। কেতুগ্রামের বাসিন্দা মিঠুন মজুমদার, ভৈরব দেবনাথ বলেন, আগে মোটর বাইক সহ একজন মানুষ পারাপার করতে আমাদের পাঁচ টাকা করে মোট ১০ টাকা দিতে হতো। এখন ২০ টাকা দিতে হচ্ছে। শুধু পারাপার করলে আগে তিন টাকা দিতে হতো। এখন ১০ টাকা দিতে হচ্ছে। সর্বাধিক ২৫ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। আমরা বারবার ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষকে বলা সত্ত্বেও কোনও কথাই শুনছে না। ফেরিঘাটের এক কর্মী সাগর দাস বলেন, এখন তেলের দাম বেড়েছে। তাছাড়া বর্ষায় আমাদের নিজেদেরই বাঁশের জেটি তৈরি করতে হচ্ছে। সেই জেটির বাঁশ ভেঙে যাচ্ছে। আমাদেরই তা কিনতে হচ্ছে যাত্রীদের স্বার্থে। তাছাড়া মাস্ক, স্যানিটাইজার এসব কিনতে গিয়ে টাকা খরচ হচ্ছে। তাছাড়া যাত্রীদেরও অনেকে টাকা ঠিকমতো দেয় না। তাছাড়া ঘাটে এখন মাঝিরাই নৌকা চালাচ্ছে। আমাদের কোনও ব্যাপার নেই। কাটোয়া-শাঁখাই ফেরিঘাটে এর আগেও ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তখন প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়। যাত্রীদের একাংশ বলেন, এই ফেরিঘাট দিয়েই কেতুগ্রামের সীতাহাটি, উদ্ধারণপুর, নলিয়াপুর, মৌগ্রাম সহ অনেক গ্রামের যাতায়াতের মূল রাস্তা। কাটোয়া শহরে কাজের জন্য প্রতিদিন আমাদের যাতায়াত করতে হয়। অনেক সময় দিনে তিন থেকে চারবার করে যাতায়াত করতে হয়। ফেরি পারাপার করতে গিয়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। আমরা চাই সরকারি নিয়ম মেনেই ফেরি কর্তৃপক্ষ পারাপার করুক।