পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ৫৭বছর বয়সি প্রৌঢ় কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। গত কয়েকদিন পঞ্চায়েত অফিসে আসছিলেন না। বুধবার পঞ্চায়েত অফিসে নতুন সহায়ক যোগ দেন। সেই উপলক্ষে তিনি এসেছিলেন। অফিসে থাকাকালীনই তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট জানা যায়। সেই খবর শুনে উপস্থিত পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্যান্যদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। তড়িঘড়ি পঞ্চায়েত অফিসে তালা দিয়ে সকলে বাড়ি ফেরেন। পঞ্চায়েত প্রধান কাজল বেরা বলেন, উপপ্রধান করোনা টেস্টের নমুনা দিয়েছেন বলে আমাদের জানা ছিল না। এখন আমরা সকলেই হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি।
তমলুক ব্লকের হিজলবেড়্যা গ্রামে একসঙ্গে তিনজন করোনা পজিটিভ। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৩বছরের এক প্রৌঢ়, ২৩বছরের এক যুবতী এবং ৩২বছরের এক যুবক আছেন। খেজুরি-১ব্লকের কামদেবনগর গ্রামের ১৮বছর বয়সি এক যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বেঙ্গালুরুতে সোনার কাজ করতেন তিনি। কোনও উপসর্গ ছাড়াই তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। খেজুরি-২ব্লকের হলুদবাড়ি গ্রামে ৩৩বছর বয়সি এক গৃহবধূ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই বধূ এবং তাঁর স্বামী কলকাতায় থাকতেন। সেখানে অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন তাঁদের এলাকা ছাড়তে বলে। তিনদিন আগে ওই পরিবার খেজুরিতে গ্রামের বাড়িতে আসে। গৃহবধূ অসুস্থ থাকায় হলুদবাড়ি গ্রামের লোকজন তাঁকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে ওই বধূ চণ্ডীপুরে করোনা লেভেল-১ হাসপাতালে ভর্তি হন। এদিন সেখান থেকে মেচগ্রামে করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পাঁশকুড়ায় পূর্ব ইটারা গ্রামে ৫৭বছর বয়সি একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত কয়েকদিনে পাঁশকুড়ায় পরপর করোনা সংক্রমণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। পাঁশকুড়া পুরসভা এলাকায় দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখা হয়েছে। একটি ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজার করোনায় আক্রান্ত। অপর ব্যাঙ্কটি যে বিল্ডিংয়ে অবস্থিত, তার আবাসিকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের টেকনিক্যাল অফিসার দেবপম হাজরা বলেন, নতুন করে ১০জন করোনা আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদিন বিকেলে লকডাউন কার্যকর নিয়ে তমলুক পুরসভা অফিসে বৈঠক হয়। লকডাউন চলাকালীন পাঁশকুড়া পুরসভা অফিস সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। এদিন সকাল থেকেই শহরজুড়ে লকডাউন সফল করতে মাইকিংও করা হয়েছে।