পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
অন্যদিকে, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ২১টি। বৃহস্পতিবার সন্ধায় ৪টি কমে গিয়ে মোট কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা হয়েছে ১৭টি। প্রেস বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এর মধ্যে বর্ধমান পুরসভায় ছ’টি, আউশগ্রাম-২ ব্লকে একটি, বর্ধমান-১ ব্লকে একটি, বর্ধমান-২ ব্লকে একটি, গলসি-১ ব্লকে একটি, কালনা-১ ব্লকে একটি, কাটোয়া পুরসভায় একটি, মেমারি পুরসভায় একটি, মেমারি-২ ব্লকে একটি, পূর্বস্থলী-১ ব্লকে একটি, পূর্বস্থলী-২ ব্লকে একটি এবং রায়না-২ ব্লকে একটি কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে।
এদিকে, এদিন পশ্চিম বর্ধমানে মোট সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুর্গাপুর শহরেই ছ’জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে দুর্গাপুরের পিএফ অফিসের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকও রয়েছেন। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের বেঙ্গল অম্বুজা এলাকায় এই আধিকারিক থাকতেন। তিনি দাবি করেছেন, তিনি বাইরে কোথাও যাননি। ওই এলাকাতেই গুজরাত থেকে আসা এক দম্পতির শরীরেও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। বেনাচিতি নতুনপল্লি এলাকায় এক বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুরের গান্ধীমোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসেছিলেন এক রোগী। তাঁর রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। এছাড়াও দুর্গাপুর স্টেশন বাজারের একটি নার্সিংহোমে এক রোগীও করোনা পজিটিভ হয়েছেন। দুর্গাপুরের ছ’জনের পাশাপাশি আসানসোলও একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কোন কন্টেইনমেন্ট জোন নেই। কিন্তু, দুর্গাপুরে যেভাবে একের পর এক করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে। যে সব এলাকায় এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে সেইসব এলাকাগুলিকে কন্টেইনমেন্ট জোন করার দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (৩) কেকা মুখোপাধ্যায় বলেন, দুর্গাপুরের ছ’জনের এবং আসানসোলে একজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।