পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
রাজ্যে অনেক আগেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পুলিসও নজরদারি চালাচ্ছে। বহুজনকে গ্রেপ্তার করা সত্ত্বেও একটা অংশের মানুষের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে। কৃষ্ণনগর জেলা পুলিসের অন্তর্গত বহু থানা এলাকায় মাস্ক ছাড়াই অনেককে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। কৃষ্ণনগর শহরের সর্বত্রই অনেকের মুখেই মাস্ক থাকছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ফের পুলিসকে এনিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন। কিন্তু অনেকেই এখনও পুলিসের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতেই ব্যস্ত। আবার কেউ কেউ মাস্ক বুকে বা গলার কাছে ঝুলিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
জেলা পুলিস সূত্রে খবর, গত বেশ কয়েক সপ্তাহে মাস্ক না পরার জন্য দু’হাজার জনের বেশি বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রায় ৩০০টি মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মহামারী আইন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হচ্ছে। পুলিসের পদস্থ কর্তারাও বিভিন্ন জায়গায় সারপ্রাইজ নাকা করে নজরদারি চালাচ্ছেন। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সবটাই হচ্ছে শহর এলাকার প্রাণকেন্দ্রে। অলিগলিতে একেবারেই নজরদারি নেই। মানুষের মধ্যে সচেতনতাও অনেক কম।
জেলার পুলিস সুপার জাফর আজমল কিদওয়াই বলেন, আমরা লাগাতার বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালাচ্ছি। বারবার মাস্ক পরতে বলা হচ্ছে। বহুজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তবে মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। মাস্ক পরাটাকে অভ্যাসের মধ্যে আনতে হবে। অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, গ্রামীণ এলাকাতেও ব্যাপক নজরদারি চালানো হচ্ছে। সারপ্রাইজ নাকা আগের থেকে অনেক বাড়ানো হয়েছে। মাস্ক পরতেই হবে।
অন্যান্য পুরসভা এলাকার থেকে কৃষ্ণনগর পুরসভা এলাকায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা অনেকটাই কম। আর সেকারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্কও অনেকটাই থিতিয়ে গিয়েছে। সকাল-সন্ধ্যায় বহু দোকানের সামনেই আড্ডা জমছে। অনেকের মুখেই মাস্ক থাকছে না। কৃষ্ণনগর শহরের জেলাশাসকের অফিস চত্বর কিংবা পুলিস অফিসের সামনে বহু মানুষকে মাস্ক ছাড়াই দেখা যাচ্ছে। বহু দোকানের ব্যবসায়ীদের মুখেও মাস্ক দেখা যায় না। কিছু দোকানে মাস্ক ছাড়া কিছুই বিক্রি করা হবে না বলে স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তাঁরাই নিয়ম ভাঙছেন। জেলা পুলিসের দাবি, পুলিস সাধ্যমতো সব চেষ্টা করছে। পুলিস সুপার, অতিরিক্ত পুলিস সুপার শহরে হেঁটে পরিদর্শন চালিয়েছেন। অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককে প্রথমবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিদিনই উদাসীনতার ছবি দেখা যাচ্ছে।
করোনায় আক্রান্তর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ায় বুধবারই কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হবে বলে আশা করছেন অনেকে। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক আমোদ প্রসাদ বলেন, মাস্ক পরাটা অত্যন্ত জরুরি। সকলের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।