পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
রাস্তা ও সেতু হল যে কোনও দেশের জীবনরেখা। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের মধ্যেই কাশ্মীরে এই ছ’টি ব্রিজ তৈরি করে ভারত একইসঙ্গে চীন এবং পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, ছ’টি সেতুর মধ্যে চারটি তৈরি করা হয়েছে আখনুর-পাল্লানওয়ালা রোডে। বাকি দু’টি তৈরি হয়েছে কাঠুয়া জেলার তারনা নালায়। মোট খরচ হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা। এই সেতুগুলি তৈরির দায়িত্বে ছিল বিআরও। সরকারি কর্তারা বলছেন, সেতুগুলিকে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের প্রতি উৎসর্গ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসলে বৃহত্তর বার্তা দিলেন। তাঁদের আরও বক্তব্য, পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা কাজ জারি রাখবে ভারত। সেই ইঙ্গিত দিয়েই রাজনাথ এদিন বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামোর উন্নয়নে আমাদের সরকার দায়বদ্ধ। এজন্য প্রয়োজনীয় রসদের অভাব হবে না। জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নে আমাদের সরকার পুরোপুরি আন্তরিক। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে আরও বহু উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলি উপযুক্ত সময়ে ঘোষণা করা হবে। জম্মু অঞ্চলে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি তৈরির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত রসদ যাতে বর্ডার রোডস অর্গানাজেশনের হাতে থাকে, সরকার তা নিশ্চিত করেছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন রেকর্ড সময়ের মধ্যে এই সেতুগুলি নির্মাণের কাজ শেষ করেছে।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিনিয়ত এই প্রকল্পগুলির উপর নজর রাখেন। সময়মতো কাজ শেষ করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত অর্থের ব্যবস্থা করেন।’