পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কিন্তু, এবার গাদিয়াড়া অতিথি-শূন্য! উম-পুন ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি করোনার দাপটে খাঁ খাঁ করছে হাওড়া জেলার অন্যতম এই পর্যটন কেন্দ্র। সে কারণে হতাশ মৎস্যজীবী থেকে হোটেল ব্যবসায়ীরা। শ্যামপুরের গাদিয়াড়া কলকাতা থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হুগলি, রূপনারায়ণ ও দামোদরের সংযোগস্থলে গড়ে ওঠা এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রচুর পর্যটক আসেন। বিশেষ করে ভরা বর্ষায় রূপনারায়ণের ইলিশের টানে পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে ওঠে। কিন্তু, করোনা-আতঙ্ক এই পর্যটন কেন্দ্রের দৃশ্যটাকে এক লহমায় উল্টে দিয়েছে। প্রায় সাড়ে তিনমাস কোনও পর্যটক গাদিয়াড়ায় পা রাখেননি।
হোটেল ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, আপাতত যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি লঞ্চ পরিষেবা চালু হওয়ায় মনে একটু আশা জেগেছিল। কিন্তু করোনার প্রভাব ক্রমশ বাড়তে থাকায় আমাদের ধারণা আগামী কয়েক মাস কোনও পর্যটক এখানে আসবেন না। তাছাড়া গাদিয়াড়ায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হওয়ার খবরের পর থেকেই পর্যটকরা আরও মুখ ফিরিয়েছেন। এমনকী যাঁরা একবেলার সফরে আসতেন, তাঁরাও আসা বন্ধ করে দেওয়ায় চরম সমস্যার মুখে পড়েছি আমরা। তাঁদের মতে, পরিস্থিতি যদি না বদলায় তাহলে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেই আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়বে।
অন্যদিকে, পর্যটক না আসায় সঙ্কটের মুখে এলাকার শতাধিক মৎস্যজীবী পরিবার। তাঁরা বললেন, প্রতিবছর ইলিশের মরশুমে প্রচুর পর্যটক এখানে আসায় হোটেলে ইলিশের চাহিদা বাড়ত। এমনকী অনেকে বাড়ি যাওয়ার আগে এখান থেকে মাছ কিনে নিয়ে যেতেন। ফলে এই সময়টা অতিরিক্ত উপার্জন হতো। এবছর সেই রোজগার বন্ধ হওয়ায় চরম সমস্যার মুখে পড়েছি আমরা। তাঁদের মতে, এমনিতেই নদীতে দূষণের জন্য মাছের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। তার উপরে ইলিশের মরশুমে যেটুকু টাকা হাতে আসত সেটাও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেককেই পথে বসতে হবে।
করোনার থাবায় পর্যটন ব্যবসার ক্ষতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হাওড়া জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ নদেবাসী জানা। তিনি বলেন, এটা সত্যি করোনার থাবা যেভাবে জাঁকিয়ে বসছে, তাতে গাদিয়াড়ার অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়বে। আর সেক্ষেত্রে পর্যটননির্ভর প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রেই সমস্যা হবে। পর্যটকদের অপেক্ষায় সার বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছে নৌকা। -নিজস্ব চিত্র