পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-২ ব্লকের দাদপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, গতবছর আমরা প্রথম কিস্তিতেই প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা পেয়েছিলাম। এবার ৩১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬৯৮ টাকা দেওয়া হবে বলে মেল করা হয়েছে। এবার আরও বেশি টাকা পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু প্রাপ্য টাকায় রাস্তা সংস্কারের কাজই করা যাবে না। বেগুনবাড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, গতবছর প্রথম কিস্তিতে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা পেয়েছিলাম। এবার ৩৬ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে বলে মেসেজ পেয়েছি। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই নয়। এবছর করোনা পরিস্থিতিতে বেশি টাকা দেওয়া উচিত ছিল। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলির অ্যাকাউন্টে কত টাকা ঢুকবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই অবহিত করা হয়েছে। লালগোলার একটি পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, গত বছর দু’কিস্তিতে প্রায় দু’কোটি টাকা পেয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলাম। এবার প্রথম কিস্তিতে ৪৫ লক্ষ টাকা পাব বলে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। কী হিসেবে তা দেওয়া হচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে না।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নদীয়ার করিমপুর ব্লকের পিপুলবেড়িয়া পঞ্চায়েত প্রথম কিস্তিতে ২২লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৫৫ টাকা পাবে। সেই জেলার নাকাশিপাড়া ব্লকের বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েত ৩১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৪৭ টাকা পাবে। উত্তর ২৪পরগনার বনগাঁ ব্লকের ঘাটবউর পঞ্চায়েতের অ্যাকাউন্টে ২৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৮৪১ টাকা আসবে। বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের ধানসিমলা পঞ্চায়েতের অ্যাকাউন্টে ১৭লক্ষ ২৯ হাজার ৫২ টাকা আসবে। বীরভূমের রামপুরহাট-১ ব্লকের বড়শাল পঞ্চায়েত প্রথম কিস্তিতে ২৫ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৬৯ টাকা পাবে। বনহাট পঞ্চায়েতে আসবে ১৯ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৬০ টাকা। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-২ ব্লকের নিশ্চিন্তপুর পঞ্চায়েত ১৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫৭১ টাকা পাবে।
এবছর পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতিতেও পাঠানো হবে। তবে কোনও পঞ্চায়েত সমিতি কত পরিমাণ টাকা পাবে, তার হিসেব এখনও পাঠানো হয়নি। এক আধিকারিক বলেন, এবছর কী হিসেবে টাকা পাঠানো হচ্ছে, তা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যাখা পাঠানো হয়নি। প্রতিটি পঞ্চায়েতই আগের তুলনায় অনেক কম টাকা পাবে। অর্থ কমিশনের টাকার উপর গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন অনেকটাই নির্ভর করে। এবার তা ধাক্কা খাবে।