পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ঝাড়গ্রামের করোনা হাসপাতালের জন্য পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যোগদান করেছেন। এর মধ্যে দু’জন অস্থি বিশেষজ্ঞ, একজন প্রসূতি বিশেষজ্ঞ, একজন প্যাথোলজিস্ট ও একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, এই করোনা হাসপাতালের জন্য চারজন মেডিক্যাল অফিসার, চারজন নার্স ও আ্যসিন্ট্যান্ট সুপার রয়েছেন। এছাড়াও প্যাথোলজি, সিসিইউ, এক্স-রে, ইসিজি, ব্লাড ব্যাঙ্ক মিলিয়ে মোট পাঁচজন টেকনিশিয়ান রয়েছেন। ধাপে ধাপে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হবে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। উপসর্গ সহ কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে এবার তাঁকে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের মানিকপাড়া এলাকায় সেফ হোমে রাখা হচ্ছে। বর্তমানে বিনপুর এলাকায় পাঁচজন করোনা আক্রান্তকে সেফ হোমে রাখা হয়েছে। চারতলা নতুন করোনা হাসপাতালের প্রতিটি তলায় রোগীদের জন্য বেড রাখা হয়েছে। একতলায় অপারেশন থিয়েটার এবং প্রসূতি মহিলাদের ও অপারেশন-পরবর্তী রোগীদের জন্য ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। দ্বিতীয় তলায় পাঁচটি বেডের সিসিইউ করা হয়েছে। তিনতলা ও চার তলায় মেল ওয়ার্ড করা হয়েছে। একতলায় এক্স-রে ইউনিট ও ল্যাব রয়েছে। দু’টি বেডের ডায়ালিসিস ইউনিটও একতলাতেই করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, যেহেতু লিফ্ট নেই, তাই রোগীদের আপাতত স্ট্রেচারে করে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের অনুমোদন পেলে লিফ্ট তৈরির কাজ শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, এই জেলায় এখনও পর্যন্ত ৮৬৪৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলছেন, রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী করোনা হাসপাতাল পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। এবার কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁকে এখানেই ভর্তি করা হবে।