পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মজুমদার বলেন, এক ইনটার্নের জ্বর আসায় করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাঁর পরীক্ষা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওন্দা কোভিড হাসপাতালে তাঁকে পাঠানো হয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে থাকা আরও ১০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ১০জনকে নিয়ে জেলায় মোট ২৮৬জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৪৮জন চিকিৎসার পর করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। নতুন আক্রান্ত জুনিয়র চিকিৎসক সহ মোট ৩৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের ওই জুনিয়র চিকিৎসক ছাড়াও পাত্রসায়রের পাণ্ডুয়ার একজন, ইন্দপুরের গৌরবাজারের দু’জন ও ইন্দাসের একজন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও বাঁকুড়া-১ ব্লকের হেলনাশুশুনিয়া ও জগদল্লা, বিষ্ণুপুরের মড়ার ও গোপালগঞ্জ এবং বাঁকুড়া পুরসভার লোকপুরের একজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের প্রকাশিত কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকায় ৪০টি এলাকা ছিল। ১৪দিন পেরিয়ে যাওয়ায় ওই জায়গাগুলি থেকে ৮টি এলাকা বাদ পড়েছে। অন্যদিকে, যে ন’টি জায়গা থেকে নতুন করে ১০জন আক্রান্ত হয়েছেন, সেই এলাকাগুলিকে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার জেলায় মোট কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৪১টি হয়েছে।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত জুনিয়র চিকিৎসক গত কয়েকদিন ধরে ইন্ডোরের মেডিসিন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। বুধবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর গোটা ওয়ার্ড ভালো করে স্যানিটাইজ করা হয়। অন্যদিকে, রাজ্যের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন কড়াভাবে কার্যকর করতে স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে মাইকিং করা হয়। বাঁশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কাজও শুরু করেছে প্রশাসন।
এদিকে, আরামবাগের চার করোনা আক্রান্ত নিয়ে প্রশাসনের কর্তারা কোনওরকম মন্তব্য করেননি। তবে তাঁরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের বাড়ি পুরশুড়ার ভুটিয়া, খানাকুলের ঘোষপুর, আরামবাগের বাতানল এবং দামোদরপুর এলাকায়। তাঁরা শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছিলেন। গত ৬ তারিখ তাঁদের লালারস সংগ্রহ করা হয়। বুধবার রাতে তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যদিও বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মহকুমায় একটিও কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়নি।
শহরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মহকুমাজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। যদিও শহরে ন্যূনতম সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা হচ্ছে না। তাঁদের দাবি, আনলক প্রক্রিয়া চালু হতেই মহকুমাজুড়ে স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় উঠেছে। এমনকী মাস্কের ব্যবহারও ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। যদিও প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, নিয়ম করে প্রতিদিন আরামবাগ শহরে সরকারি আধিকারিকরা মানুষকে সচেতন করতে টহল দিচ্ছেন। এবিষয়ে মানুষকেই সচেতন হতে হবে।