পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
শনিবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়। বেহালা ও পর্ণশ্রীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল, বিক্ষিপ্ত মাঝারি বৃষ্টিতে বেশ কিছু বাসিন্দার বাড়িতে পর্যন্ত ঢুকে গিয়েছে রাস্তার নোংরা জল। এমনকী, রাস্তার ধারের ছোট দোকানগুলিতেও গোড়ালি সমান জল। বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তা উঁচু করা হলেও পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেনি। বরং, তা আরও খারাপ হয়েছে। রাস্তা এবং বাড়ির উচ্চতার মধ্যে ফারাক না-থাকার কারণে জল সহজেই ঢুকে পড়ছে অন্দরমহলে। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, বর্ষাকালে জলমগ্ন পরিস্থিতি এড়াতে বারবার স্থানীয় কাউন্সিলারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ হয়নি কিছুই। রাস্তা ও নর্দমার জলের সঙ্গে প্লাস্টিক, চিপসের প্যাকেট ইত্যাদি আবর্জনা ঘরে ঢুকে পড়ছে। পাশাপাশি উপদ্রব বাড়ছে বর্ষার জলে ভেসে আসা পোকামাকড়েরও। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থার গোড়ায় গলদ থাকার কারণেই জলমগ্ন দশায় কাটাতে হয়। পুরসভার তরফ থেকে নিকাশি নালাগুলি ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না বলেও অভিযোগ।
পর্ণশ্রী থানার পিছনে বাসস্ট্যান্ডের আশপাশের বিভিন্ন গলিতেও আংশিক জলমগ্ন ছবি ধরা পড়েছে। একইসঙ্গে, ১২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিশোর ভারতী স্কুল চত্বরের বিভিন্ন এলাকার হাল অতি ভয়ঙ্কর। ফি বছর আড়াই-তিন মাস একই সমস্যার মুখোমুখি হন সকলেই। অতি ভারী বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। প্রায় কোমর সমান উচ্চতায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। প্রয়োজনে নৌকাও নামাতে হয়।
বেহালা কলেজের পাশে বসবাসকারী বনমালি নস্কর লেনের বাসিন্দারা বলেন, জল যাতে না জমে তার জন্য বহুবার মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করে কাজ হলেও আদতে
কোনও ফল হয়নি। তবে তাঁদের মতে, বৃষ্টি থামার পর দীর্ঘক্ষণ জল জমে থাকা আগের থেকে কিছুটা কমেছে। সুখ বলতে এটুকুই।