পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, দক্ষিণ বিজয়গড়ের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন ছোটপর্দার উঠতি ওই অভিনেত্রী। সেখানে টাকা ধার নিতে এসেছিল তাঁর ব্যবসায়ী বন্ধু সুমন পাল। সুমনের বাড়ি মধ্যমগ্রামে। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক। তার খোঁজে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অভিনেত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। কলকাতা পুলিসের ডিসি (এসএসডি) প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, বুধবার অভিনেত্রীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ, হুমকির মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, বছর ছাব্বিশের ওই অভিনেত্রী নদীয়ার বাসিন্দা। ছোটপর্দায় মোটামুটি জনপ্রিয় মুখ। বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ও করছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিংও করেন। জানা গিয়েছে, সুমনের সঙ্গে তাঁর আলাপ ২০০৯ সালে। প্রথমে দু’জনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। বন্ধু-বিচ্ছেদ ২০১১ সালের মাঝামাঝি। সেই থেকে তাঁদের মধ্যে কোনও যোগাযোগ ছিল না। ২০১৭ সালে ফের সুমনের সঙ্গে দেখা হয়। সেই থেকেই ধীরে ধীরে শুরু দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক। সুমনের জোরাজুরিতেই এই সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে পুলিসকে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। অভিনেত্রীর দাবি, প্রথম থেকেই সুমন শারীরিক সম্পর্কের জন্য তাঁকে চাপ দিত। তাতে রাজি না হওয়ায় মারধরও করেছে। বাধ্য হয়ে সুমনের মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেন তিনি।
পুলিসকে ওই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল অন্য একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে সুমন। অতীতে নির্যাতনের জন্য বারবার ক্ষমা চাইতে থাকে। ঝামেলা এড়াতেই অভিনেত্রী তার সাথে কথা বলতে শুরু করেন। গত ৩০ জুন ফোন করে সুমন অভিনেত্রীকে জানায়, লকডাউনে ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সামাল দিতে ৩০ হাজার টাকা খুব দরকার। যদি ধার মেলে...। বন্ধুর বিপর্যয়ে পাশে দাঁড়াতে ধার দিতে রাজি হন অভিনেত্রী। সেই টাকা নিতে রবিবার (৫ জুলাই) দুপুরে তাঁর ফ্ল্যাটে হাজির হয় সুমন। অভিযোগ, দু’-চারটে স্বাভাবিক কথাবার্তার পরই তাঁকে ধর্ষণ করে সুমন।