পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বার্সেলোনা: খেতাবের দৌড়ে পিছিয়ে পড়েও লড়াই জারি বার্সেলোনার। বুধবার ক্যাম্প ন্যু’য়ে লুই সুয়ারেজের করা একমাত্র গোলে কাতালন ডার্বিতে এস্প্যানিয়লকে পরাস্ত করল কিকে সেতিয়েন-ব্রিগেড। এই জয়ের ফলে ৩৫ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ৭৬। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সার পয়েন্টের পার্থক্য কমে দাঁড়াল এক। যদিও জিদান-ব্রিগেডের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেললেন মেসিরা। শুক্রবার ঘরের মাঠে আলাভেসকে হারাতে পারলেও আবার চার পয়েন্টের লিড নেবে রিয়াল। এদিন হারের ফলে তিন ম্যাচ বাকি থাকতেই অবনমন নিশ্চিত হল এস্প্যানিয়লের। ১৯৯৩-৯৪ মরশুমের পর ফের দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে গেল তারা। ফলে আগামী মরশুমে লা লিগায় আর কাতালন ডার্বি দেখা যাবে না।
শেষ এক সপ্তাহ বার্সা শিবির একাধিক বিতর্কে জর্জরিত থাকলেও, ভিয়ারিয়ালের বিরুদ্ধে চেনা ছন্দে দেখা গিয়েছিল মেসি-সুয়ারেজদের। তবে বুধবার ফের একবার ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স মেলে ধরল কিকে সেতিয়েনের দল। বিশেষ করে প্রথমার্ধে জার্সি দেখে চিনতে হচ্ছিল বার্সার তারকা ফুটবলারদের। অবনমনের আওতায় থাকা এস্প্যানিয়ল কোচ ফ্রান্সিসকো রুফেতে রক্ষণে পাঁচ ফুটবলার খেলিয়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণের পথ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পক্ষান্তরে গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন দুর্ভেদ্য থাকায় গোল হজম করতে হয়নি বার্সেলোনাকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়াতে নেলসন সেমেডোর জায়গায় আনসু ফাতিকে মাঠে নামান সেতিয়েন। তবে মাঠে নামার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এই তরুণ উইঙ্গার। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ফার্নান্দো কালেরোকে ফাউল করে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখলেও, ভারের সাহায্য নিয়ে তাঁকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। তবে আনুপাতিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ বেশিক্ষণ কাজে লাগাতে পারেনি এস্প্যানিয়ল। তিন মিনিটের মধ্যেই মার্চিং অর্ডার পান তাদের মিডিও পল লোসানো। দু’দলই ১০ জনে হওয়ার পর চাপ বাড়ায় বার্সেলোনা। ৫৬ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় তারা। বক্সের মধ্যে ব্যাকহিলে মেসিকে বল বাড়ান গ্রিজমান। যা থেকে নেওয়া তাঁর শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে প্রতিহত হলে ফিরতি বল গোলে ঠেলে দেন লুইস সুয়ারেজ (১-০)। এই গোলের সুবাদে বার্সেলোনার ইতিহাসে তৃতীয় সর্বাধিক গোলদাতা হিসেবে লাজলো কুবালাকে টপকে গেলেন উরুগুয়ান তারকা। বর্তমানে বার্সেলোনার হয়ে তাঁর গোল সংখ্যা ১৯৫। সামনে আছেন সিজার আলভারেজ (২৩২) ও মেসি (৬৩০)।
এস্প্যানিয়লের বিরুদ্ধে লড়াইটা যে সহজ হবে না তা বিলক্ষণ জানতেন মেসি-সুয়ারেজরা। ম্যাচ শেষে উরুগুয়ের তারকা স্ট্রাইকারটি বলেন, ‘অবনমন বাঁচানোর জন্য প্রতিপক্ষ কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। তা অতিক্রম করে ভালো লাগছে। এখন লক্ষ্য, লিগের বাকি ম্যাচগুলিতে জেতা।’