পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাটুলি শিবতলা এলাকার পাঞ্জাবি মাঠে কয়েকশো বাড়ি রয়েছে। এই এলাকার মূল রাস্তা ইট দিয়ে বাঁধানো হলেও বিভিন্ন ছোটবড় রাস্তা এখনও কাঁচা। সামান্য বর্ষা হলেই রাস্তার উপর হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। সেই জল মাড়িয়েই যাতায়াত করতে হয় এলাকার সিংহভাগ মানুষকে। এই ওয়ার্ড লাগোয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎকানন শিবতলা, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনগর ৩ নম্বর, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপল্লি পূর্ব, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদিরামপল্লি ছাড়াও ২ নম্বর ওয়ার্ডের দিগবেড়িয়া শৈলেশনগর মাঠাপাড়া এলাকার পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর বললেও কম বলা হয়। এখানকার শরৎকানন ও শ্রীনগর তিন নম্বর এলাকায় বহু বাসিন্দার বাড়ি দেখলে মনে হবে যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা। মূল রাস্তা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে বাড়ি হলেও চারদিক জলমগ্ন। বাড়ি থেকে মূল রাস্তায় আসার জন্য কেউ বাঁশ পুঁতে যাতায়াতের রাস্তা বানিয়েছেন, কেউ আবার ছয় ইঞ্চির কাঠের পাটাতন দিয়ে রাস্তা করেছেন। যাদের সামর্থ্য নেই, তাঁদের হাঁটুজল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বেশি বৃষ্টি হলে মাঠের নোংরা জল প্রায়শই ঘরের মধ্যে ঢুকে যায়। এইসব এলাকা জলমগ্ন থাকায় মশার উপদ্রবও মারাত্মক। এছাড়া জলজ সাপ, ব্যাঙের সঙ্গে কার্যত সহবাস করতে হয় বাসিন্দাদের। ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত নিয়েও চরম সমস্যায় পড়তে হয় অভিভাবকদের।
এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, বছরে দু’মাস নিশ্চিন্তে যাতায়াত করা যায়। বাকি সময় জল পেরিয়ে যাতায়াত নিয়তি হয়ে গিয়েছে। ভোট এলেই পাকা রাস্তা, উঁচু ড্রেনের স্বপ্ন দেখায় রাজনীতির কারবারিরা। কিন্তু ভোট ফুরোলে সকলেই ভুলে যায়। উন্নয়নকে সামনে রেখে রাজনীতির নোংরা খেলা চলতে থাকে।
৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলার তথা পুরসভা প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সনৎ বিশ্বাস বলেন, পুরসভার ২৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে সারা বছর জল থাকে আট থেকে ১০টি ওয়ার্ডে। বর্ষা বেশি হলে ১৬টির বেশি ওয়ার্ডে জল জমে যায়। বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে বহু মানুষ। বহুবার সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রাক্তন সিআইসি তথা প্রশাসক বোর্ডের সদস্য নিমাই ঘোষ বলেন, ওই এলাকা অত্যন্ত নিচু ও জলাজমি। মানুষ ওইসব এলাকায় বাড়িঘর বানাচ্ছেন। আমরা ওইসব নিচু জায়গার রাস্তাঘাটও উঁচু করার চেষ্টা করছি। অনেকের জায়গায় জমি সংক্রান্ত সমস্যায় রাস্তার কাজ আটকে আছে।